যতই দিন যাচ্ছে যতই বড় হচ্ছি আমার মনে হচ্ছে ঈদের আনন্দ ততই কমে যাচ্ছে। ছোটবেলায় ঈদের জন্য অপেক্ষা করতাম নতুন জামা জুতার জন্য অপেক্ষায় থাকতাম । কেউ যাতে সেই নতুন জামা জুতো না দেখে ফেলে লুকিয়ে রাখতাম। দেখে ফেললেই বুঝি ঈদের আনন্দ কমে যাবে আহা আমার ছেলেবেলা .....। আমার মনে হয় আমাদের জেনারেশন এর অধিকাংশ ছেলে-মেয়ের ঈদ আনন্দ এরকমই ছিল।
অথচ এখন পরিবার-পরিজন, বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন, শ্বশুর শাশুড়ি সবার জন্য কেনাকাটা করে নিজের জন্য কিছু না কিনলেও খারাপ লাগে না । বরং সবাইকে দিতে পেরেছি সেটাই সবচেয়ে আনন্দের মনে হয়।
আগে আশেপাশে সবার ঘরে ঘরে গিয়ে সেমাই পায়েশ পিঠা খাওয়া হতো। এখনো প্রতি ঘরে ঘরে সেমাই সিন্নি নুডলস পায়েস পিঠাসহ আরো হরেক রকম খাবার রান্না হয়। কিন্তু আগের মত কেউ আর তেমন কারও বাড়িতে যায় না কিংবা ব্যস্ততায় যাওয়া হয়ে ওঠে না। আমি আমার বন্ধুর বাড়িতে গেলাম এমন সময় বাড়িতে মেহমান আসায় মেয়েকে রেখে চলে এলাম। আমার মেয়েও বন্ধুর ছেলে মেয়ের সাথে ভালো সময় কাটালো। প্রায় ঘন্টাখানেক পর আবার গেলাম। কথা হল, নাস্তা খাওয়া হলো অনেক। ঘুরে ফিরে সেই ছেলেবেলার কথায় ফিরে গেলাম। ওদেরকে বলার পরেও ওরা ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে আমাদের বাড়ি এলোনা। এভাবেই দিন দিন ঈদ আনন্দ কমে যাচ্ছে। ঈদের আনন্দ কমে না যাক সবার পরিপূর্ণ ঈদ আনন্দ হোক সেই কামনা করি।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪