somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঋণ/কিস্তির ফাঁদে আটকে যাচ্ছে গ্রামের অনেক মানুষ।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় ছেলে-মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর সালমা বেগম (৩৫) নামের এক মা গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ঋনের চাপ সামলাতে না পেরে। এটা গেলো পত্রিকার খরব। এমন আরও অনেক খবর আছে যা পত্রিকায় আসেনা।

ঘটনা-১

আমাদের বাড়ির কাছের ঘটনা।একজন দাদা ছিলেন তিনি এখন মৃত তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে থাকেন। ছেলেটি ঢাকায় চাকরি করে আর মেয়েটি মাত্রই কলেজে ভর্তি হয়েছে। ভালই চলছিল সংসার বিশেষ করে দাদার পেনশনের উপর নির্ভর করে ও জমি জমা করে তারা দিন পার করছিল কিন্তু বছরখানেক আগে সেই দাদি ঋণ নেয় এবং ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তা সুদ আসলে বাড়তে থাকে। বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ধার হাওলাদ করেছেন সেগুলোও ঠিকমত পরিশোধ করতে পারেননা। এভাবে এক সময় টাকার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত মানুষের দাগদায় অতিষ্ট হয়ে উপায় না পেয়ে রাতের অন্ধকারে তিনি তার মেয়ের হাত ধরে পালিয়ে যান। ঘরটি এখন তালাবদ্ধ মানুষগুলো আত্মগোপনে।


ঘটনা-২
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার একটি গ্রাম মিরেরগাঁও। এখানে পলি বেগম নামে এক মহিলা এনজিও থেকে তার নামে এবং তার ননদের নামে কয়েক লাখ টাকা ঋণ নেন। তিনি প্রথম দিকে ভালই ঋণ পরিশোধ করছিলেন কিস্তির মাধ্যমে। কিন্তু শেষ দিকে এসে সমস্যা হওয়ায় অন্য একটি এনজিও থাকে আরও ঋণ নেন এভাবে বেশ কয়েকটি ঋণ নেওয়ার ফলে তার দেনা দিন দিন বাড়তে থাকে এবং ঠিকমতো পরিশোধ করতে না পারায় একসময় এ নিয়ে সালিশ বিচার দরবার শুরু হয় এবং শেষ পর্যন্ত টাকা পরিশোধ করতে না পারে মেয়ে এবং স্বামী নিয়ে ঢাকায় আত্মগোপন করে আছেন।


ঘটনা-৩
পলি বেগমকে সাহয্য করার জন্য তার ননদও ঋণ নেন। কিন্তু ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে সেও তার স্বামী এবং দুই সন্তান নিয়ে যশোরে আত্মগোপন করে আছেন।

ঘটনা-৪
সোহাগী বেগম এর বিয়ে হয়েছে তার খালাতো ভাইয়ের সাথে। ভালই চলছিল সংসার । তার স্বামী গরুর খামার করে এবং শশুর চাকরি করে কিন্তু সোহাগী বেগম আরো ভালোভাবে চলার আশায় ঋণ নেন এনজিও থেকে এবং শেষপর্যন্ত ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে তাদের বিক্রি করে দিতে হয় বসত ভিটা।

এভাবে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে যারা ঋণ পরিশোধ করতে পারেন না তাদের সুদ আসলে টাকা বাড়তেই থাকে এবং একসময় তা এরূপ হয় যে তারা ঋণ এর টাকা পরিশোধ করতে না পেরে ঘরবাড়ি হয় বিক্রি করে দেন না হয় ঘর তালা দিয়ে আত্মগোপন করেন।

যারা ঋণ নিয়ে ইনভেস্ট করেন তারা সময় মত পরিশো করতে পারেন আর যারা শুধু সংসারে খরচ করার জন্য ঋণ নেন তারা মরন ফাঁদে আটকা পড়েন।




ছবি -বিবিসি বাংলার সৌজন্যে।

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৬
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×