যখন থেকে প্রতিবছর ত্রিশটি রোজা রাখা শুরু করলাম তখন থেকেই প্রায় বছরই এরকম ঘটে যে একদিন কিংবা দুইদিন সেহরি না খেয়ে রোজা রাখা হয়।
গতরাতে সাড়ে তিনটায় সজাগ হওয়ার পর মেয়েকে ওয়াশরুমে নিয়ে যাব কিন্তু সে কিছুতেই উঠছে না তাই ভাবলাম একটু পরে চারটার দিকে অ্যালার্ম বেজে উঠলে আমি উঠবো মেয়েকে উঠাবো কিন্তু যখন এলার্ম দিলো অ্যালার্ম বন্ধ করে আবার ঘুমিয়ে গেলাম যখন সজাগ হলাম দেখি সাড়ে পাঁচটা বেজে গেছে। তো সেহরি না খেয়ে রোজা রাখলাম নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
যখন ইন্টারমিডিয়েটে পড়ি তখন হোস্টেলেও একবার এরকম হয়েছে। হোস্টেলের বয় সবার দরজা নক করে চলে গেছে উঠব উঠব করে একদম শেষ মুহূর্তে উঠে দৌড় দিয়ে ডাইনিং-এ গিয়ে মাত্র দুই নলা(গ্রাস) খাবার খেয়েছি অমনি আজান পড়ে গেছে।
আমি আবার খুব দ্রুত খাবার খেতে পারি তাই শেষ মুহূর্তে উঠলেও খুব দ্রুত খেয়ে নিতে পারি যা অনেকে তাড়াহুড়া করে খেতে পারেনা কিন্তু যখন একদম আযানের পর উঠি তখন তো আর খাওয়ার কোন সুযোগ থাকে না তাই না খেয়ে রোজা রাখতে হয়। এমন অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই আপনাদেরও আছে। এরকম না খেয়ে রোজা রাখার অভিজ্ঞতার কথা শুনতে চা্ই।
মাহে রমজানে সবার বরকত ও কল্যাণ হোক।
ছবি-নেট থেকে নেয়া।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:০৬