
গতকাল রাতে কন্যার সাথে প্রতিযোগিতা হল- সে এক থেকে বিশ পর্যন্ত অংকে ও কথায় লিখে দেখাবে আর আমি তার রাতের খাবাড়ে বেগুন ভাজায় নতুনত্ব আনবো।
সে লিখা শুরু করে দিল। আমিও আমার কাজ শুরু করলাম।
প্রথমে ৬-৮টি মাঝাড়ি চিংড়ি খোসা ছাড়িয়ে শীল পাটায় থেতলে/পিষে নিতে হবে, অথবা হামান দিস্তায় থেতলে নিতে হবে, এবার একটি বড় সাইজের পেয়াজ কুচি করে সেটাও থেতলে/পিষে নিতে হবে।
এবার ০১টি বেগুন চাক চাক কেটে নিতে হবে এবং বেগুনের ভিতরের নরম অংশ ছুরির সাহায্যে গোল করে বের করে নিতে হবে। এবং বেগুনের এই নরম অংশটাও শীল পাটায় থেতলে/পিষে নিতে হবে, অথবা হামান দিস্তায় থেতলে নিতে হবে। এবার সব কিছু একসাথে ভাল করে মেখে সাথে রসুন বাটা, গুরা মরিচ, হলুদ গুরা, ধনিয়া গুরা ও লবন দিয়ে নিন।
চুলাতে মিডিয়াম আচের চেয়ে একটু কম রেখে কড়াইতে তেল গরম হলে প্রথমে বেগুনের ফাকা চাকগুলো দিয়ে তাতে সমস্তকিছুর মিশ্রন বা পুর দিয়ে বেগুনের ফাকা অংশ ভরে দিন চামুচের মাধ্যমে এবং এপিট ওপিট ভেজে তুলে নিন। গরম গরম ভাতের সাথে দারুন লাগে।
মেয়ে তার লেখা দেখালো আগে পরে আমার রান্না শেষ হলো। মেয়ে বগুন ভাজা খেয়ে বলে বাবা, এত মজা কেন ? আমি হেসে বলি তোমার পছন্দের চিংড়ি মাছ দিয়েছি সাথে তাই এত মজা হয়েছে।
রোজ রোজ সাধারণ বেগুন ভাজার চেয়ে পুরভরা বেগুন ভাজা অনেক মজাদার।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


