কয়েকদিন আগে বিকেলের দিকে এক বন্ধুর সাথে শহরের সরকারি কলেজ এর নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছিলাম।
আশে-পাশে বেশ কিছু কপোত-কপোতিও ছিল...
যাদের মধ্যে একজনের গলার শব্দ অতিমাত্রায় বড় হওয়ার কারণে উনার চ্যাঁচামেচি বেশী কানে আসছিল বিধায় তার দিকে চোখে গেলে খেয়াল করি...
উনি তার বয়ফ্রেন্ডের বামহাত তার ডানহাত দিয়ে পেঁচিয়ে ধরে আছেন এবং আশেপাশের বন্ধুদের সাথে কখনো একপায়ে দাঁড়িয়ে কখনো বা দুইপায়ে দাঁড়িয়ে কখনো তার বয়ফ্রেন্ডের শরীরে ভর রেখে নানান ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে হাত পা নেড়ে নেড়ে কথা বলে চলেছেন।
রমণী অনেক সুন্দরী ছিল, কিন্তু দুঃখ পেলাম তার বয়ফ্রেন্ডের শ্রেণি দেখে...।
___ ___ ___
ফেসবুকে কোন সুন্দরী রমণীর প্রেমিকাধর্মী ছবি নিউজফিডে চোখে পড়লে আমি মাঝে মধ্যে দেখি সে কোন ছেলেকে ট্যাগ দিয়েছে কি না। তারপর মহা উৎসাহে ছেলেটার প্রোফাইল ঘেটে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই হতাশ হতে হয়।
এই কারণে যে,
"সুন্দরী রমনীরা শুধুমাত্র কাপড় কিংবা কাপড়ের রং পছন্দ করার ক্ষেত্রেই
পারদর্শী... বয়ফ্রেন্ড পছন্দ করার ক্ষেত্রে খুব কম সুন্দরী রমণীর রুচি প্রশংসার যোগ্য।"
দিনশেষে, সমীকরণের সমাধান একটাই...
যে ছেলে যত বেশী ছ্যাসড়া তার গার্লফ্রেন্ড ততবেশী সুন্দরী। ভালো ছেলেরা ছ্যাসড়ামী কিংবা মিথ্যা বলতে পারদর্শী না হওয়ায় তাদের কপালে প্রেমিকাভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় না।
মিথ্যে বলে সুন্দরীদের মন খুব সহজেই নরম করা যায়... মিথ্যের প্রতি তাদের বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে... কেউ কেউ এমন আছে যে মিথ্যে জেনেও মিথ্যে নিয়ে পড়ে থাকতে পছন্দ করেন...।
অনেকেই হয়তো বলবেন, ভালোবাসলে সুন্দর অসুন্দর দেখতে হয় না... তাদের বলব,
"কিছু মনে করবেন না ভাই/আপা। যারা বলে মনটাই আসল, রূপ কিছু না। তারা নিজেরাও এই যুক্তি মানেন না... তারা নিজেরাই তাদের নিজের জীবনসঙ্গীর মধ্যে ভালো মন আর রূপ- সৌন্দর্যের সুষম একটা মিশ্রণ খুঁজে বেড়ান। "
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০