মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে…
১. প্রথমে বলেছেন মৃতদের পেটে কাটাছেড়ার ডাহা মিথ্যা। পরে স্বীকার করেছেন দাগ থাকে।
২. আশ্রমে বৃদ্ধদের চিকিৎসা দেয়া হয় না। কিন্তু চিকিৎসা বাবদ মাসে ৩০/৩৫ লাখ টাকার খরচ হয়।
৩. ৮৩৫টি লাশের হিসাবে সম্পূর্ণ গরমিল। কোনো বিশ্বাসযোগ্য ডকুমেন্ট তিনি এখনো দেখাতে পারেননি।
৪. নিজে ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করেন। ডাক্তারের সিল স্বাক্ষর জাল করেন।
৫. তিনি আশ্রমে কোনো চিকিত্সা দেন না। কিন্তু ডাক্তারদের জন্য ৬০ লাখ টাকার বিশালবহুল গাড়ি কিনেছেন। যা এখন অন্যের গ্যারেজে গোপনে রেখে এসেছে।
৬. তার কাছে রেখে আসা অন্ধ বৃদ্ধকে কার কাছে হস্তান্তর করেছে এখনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
৭. আশ্রমের মধ্যে টর্চার সেল বানিয়ে মিল্টন নিজে হাতে পিটিয়েছেন এমন অন্তত ৮/১০ জনের সাক্ষাতকার ইতিমধ্যে বিভিন্ন মিডিয়ায় এসেছে।
৮. তার কোনো হাসপাতালের অনুমোদন না থাকলেও ভেতরে অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। এই অপারেশন থিয়েটার বেআইনি ও অবৈধ। তিনি এখানে কী করেন জানা দরকার।
৯. মসজিদে বিনামূল্যে লাশ গোসল-জানাজা করালেও কাটাছেড়া নিয়ে প্রশ্ন করায় তিনি এখন ২/৩ হাজার টাকা করে খরচ করে আশ্রমের মধ্যে ২/৩ জন নিয়ে কাজ সেরে ফেলেন। কারণ কী?
১০. বেশিরভাগ সময় তিনি রাতে লাশ দাফন করেন। কারণ কী?
১১. তিনি হোমকেয়ার নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আয় করে ৬৬ লাখ টাকা বৃদ্ধাশ্রমে দান করেছেন বলে সাক্ষাতকার দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে তার হোমকেয়ারের কোনো সার্ভিস নেই। শুধু লাইসেন্স আছে। তাহলে তিনি কার টাকা কাকে দেন?
১২. খ্রিষ্টান ধর্মের চার্চ দখল করতে তিনি মন্ত্রণালয়ের নামে ভুয়া চিঠি তৈরি করেছিলেন। এটার বিষয়ে কোনো উত্তর দেননি।
১৩. একজন মানবতাবাদী মানুষ কী করে নিজের হাতে লাঠি দিয়ে মানুষকে নির্মমভাবে পেটাতে পারে? (ভিডিও প্রকাশ হয়েছে)।
১৪. মিল্টন সমাদ্দার আটক হয়েছিলেন।সেই ঘটনা শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল জানা দরকার।
১৫. কিছু শিশু ছিল , একজন একটি শিশু রেখে ছিল , পড়ে তার কোন খোঁজ নেই । কেন নেই সে কোথায় ?
- আমরা এসব বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করছি।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:০৭