![]()
কোটা পদ্ধতি বাতিলরে আন্দোলন করলে গায়ে ফোসকা পড়ে কেন। রাজাকারদের বিচারের দাবিতে শাহবাগে যখন একত্রিত হইয়া সপ্তাহর পর সপ্তা ছিলাম তখন পুলিশ দিয়া নিজেদের স্বার্থে পাহাড়া দিয়া রাখছিলেন কেন? এখন স্বার্থে আঘাত লাগছে আর পুলিশ লেলিয়ে দিছেন। এখন পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগ লেলিয়ে দিয়েছেন। পার পাবেন না। কোটা বাতিল করতেই হবে।
( ছাত্রলীগের হামলায় ছত্রভঙ্গ বিসিএস শিক্ষার্থীরা)
আমরা যখন রাজাকারদের বিচারের দাবিতে শাহবাগে একত্রিত হই তখনো যানজট হয়। সে সময় তা চেতনার কথা বলে মেনে নিয়েছিলাম। এখন শাহবাগে তরুন মেধাবীরা যে আন্দোলন করছে সেটা অত্যান্ত যুক্তিসংগত ও যুগ উপযোগি আন্দোলন। আর এআন্দোলনের কারণে যানজটকে আমরা কেন মানতে পারছি না। যারা মানতে পারছেন না তাদেরকে বলছি, মানতে হবে। সহ্য করতে হবে। কোটা পদ্ধতি বাতিল আন্দোলন চলবে। সরকারকে তা বাতিল করতে হবে। কোটা বিরোধি আন্দোলন জয় হবেই।
(শাহবাগ রণক্ষেত্র, সড়ক অবরোধ রাজশাহী-সিলেট-সাভারেো)
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ‘বঞ্চিত শিক্ষার্থী’ ব্যানারে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে তারা মিছিল নিয়ে শাহবাগ রওনা হয়।
তবে শাহবাগ মোড়ে আগে থেকে অবস্থান নেয়া পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে হটিয়ে দেয়।
পুলিশও শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নিয়ে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে থাকে। পুলিশ এগোতে থাকলে বিক্ষোভকারীরা টিএসসি থেকে কবি নজরুলের সমাধি কমপ্লেক্সের সামনে পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নিয়ে ইট ছোড়া অব্যাহত রাখে।
সোয়া ১২টার দিকে পুলিশ আরো এগিয়ে এলে বিক্ষোভকারীরা পিছু হটে। এই সময় পুলিশ প্রচুর কাঁদানে গ্যাস এবং ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
পুলিশের আক্রমণে বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। একদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়িতে ইট ছোড়ে। প্রক্টরের কার্যালয়েও ভাংচুর চালানো হয়।
তখন সরকার সমর্থক ছাত্রলীগের এক দলকর্মী আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয়। আন্দোলনকারীদের ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করে কয়েকজনকে মারধরও করা হয়।
৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল বাতিলের দাবিতে বুধবার দিনভর শাহবাগ অবরোধ করে রাখে একদল পরীক্ষার্থী। এর ফলে যানজটে নাকাল হতে হয় রাজধানীবাসীকে।
তাদের আন্দোলনের মুখে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) ওই ফল পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত জানালেও আন্দোলনকারীরা মুক্তিযোদ্ধাসহ সব কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
ওই সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে আন্দোলনকারীরা। চারুকলার সামনে এটিএন বাংলার একটি গাড়িও ভাংচুর করে তারা। এতে গাড়ির চালক মাথায় জখম হন।
এরপর চারুকলা অনুষদের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে ইট ছুড়তে থাকে, সড়কে আগুনও জ্বালায় তারা। পাশাপাশি সব কোটা বাতিলের দাবিতে তারা স্লোগান দিতে থাকে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


