somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আল্লাহর রহমতে দেখা চার ফেরেশতা সম্পর্কে আলোচনা

২১ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শুরু করিতেছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময় ও অতিশয় মেহেরবান

আল্লাহ আমার বক্ষকে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।আর দেখিয়েছেন তার চার ফেরেশতা।জিব্রাইল(আ) যিনি আমার সাথে পড়ার টেবিলে,আমার ঘরে কথা বলতেন।পরে ভীমরুল হয়ে আল্লাহর কথামত আমার বিশ্বাসকে সুদৃঢ় করেন।ওযুর পানি সম্পর্কে ভীতি দূর করেন।যে কথাগুলো বলেছিলেন-

ছিটা যা চোখে পড়েনা সেগুলোর কারনে ওযু কখনও নষ্ট হয়নি।আর তা পানিতে পড়লেও ওযুর ক্ষতি হয়না।কারন আপনি তা দেখতেই পাননা।আল্লাহ নিশ্চয় মুমিনদের উপর এমন কোন কষ্ট দেননি যা পালন করতে আপনার কষ্ট হয়।আপনার অজান্তে যদি পানিতে কেউ কিছু মিশিয়েও থাকে আপনি যদি তা চোখে দেখতে না পান তো তার জন্যও ওযু ঠিকই থাকবে।ঠিকই অযু হবে।

আর রাখতে পারেন উনি পৃথিবীকে নিজের হাতের তালুতে।তার সাইজ আল্লাহ এত বড় করে দেন।তিনি পৃথিবীর সকল নবী রাসূলদের কাছে আল্লাহর বাণী পৌছে দিতেন।আর আল্লাহ যার প্রতি ইচ্ছা করেন তাকে পাঠাতেন।আর সস্ত আযাব আল্লাহর আদেশে তিনি দিতেন।বিভিন্ন আযাবে তিনি বিভিন্ন রুপ নিতেন।সেই জাতি, যাদের ভক্তি করত আল্লাহ ছাড়া,তিনি তাদের সেই বেশে গিয়ে ধ্বংস করে যন্ত্রণা দিতেন।মূসা (আ)এর সময় সমুদ্রকে দুই পার্শ্ব দাঁড় করান,চোখের ইশারায়।সামেরী তাকে দেখতে পায় আধা মানুষ ও আধা ঘোড়ার রুপে।আর সমকামীদের মাঝে তো উনি সুন্দর বালক সমূহ।তারপর মিশরে মানুষের বেশে গিয়েএক চিৎকার।আবরাহার উপরে পাখির পায়ে পাথর দিয়ে ছেড়েন।আর কতক জাতি তার চিৎকারে উবুড় হয়ে পড়ে থাকত,তার আসার প্রয়োজন ছিলনা।আর কতক জাতিতে ঝড় ঠিকমত বজায় রাখতেন।আর চালাক সম্প্রদায়কে তিনি আল্লাহর হুকুমে ধ্বংস করেন হনুমান বানিয়ে।কতককে তিনি ভূমিকম্প দ্বারা শেষ করেন।তার গতি আল্লাহ অসম্ভব দ্রুত করেন।

তিনি নবী মুহম্মদ রাসূলল্লাহ(সা)এর কাছে হেরা গুহায় অল্লাহর বাণী নিয়ে আসেন।(সূরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত তারপরও অসংখ্যবার)।আমার কাছে তিনি আসার পরও অনেকবার এসেছেন।অনেকবার তিনি অনেক কিছু শিখিয়েছেন।অনেক কিছু তিনি বলে দিয়েছেন ও বলে যান।তিনি আমার আত্নাকে বইতুল আকসা তে বসান।নামাযের পর মুনাজাতের সময়।তারপর তিনি আমার লিখা কথা ইন্টারনেটে দিযেছিলাম তা কাবা শরীরেফর মূল ঘর থেকে পাঠ করে শুনান।সাথে সাথে সপ্তম আসমান জমীন পযন্ত সমস্ত ফেরেশতারা দরুদ শরীফ পাঠ করেন।আমাকে উদ্দশ্য করে বখশান।সালাম করেন এরপর তিনি সবজায়গায় মুহূর্তের মধ্যে বইতুল আকসা ও অল্লহর নবীর মসজিদ সহ পবিত্র জায়গায় আমার বেশ নিয়ে ঘুরেন।তারপর আসমানে আমি তাকে আমার বেশে হজ্জের সাদা পোশাক পরে দাড়িয়ে থাকতে দেখি।সাথে মনে হয়েছিল আল্লাহ তাআলার আরশের অংশ(নির্মল মেঘের মত হয়েএরপর দেখেছিলাম শয়তান আযাযীলএর বিশাল রুপ,কেন তারা দ্রুত সরে গেল বুঝলাম না।হয়ত আল্লাহর বিজয় হয়েছে তাই সে কাঁদছিল।
এরপর কেউ বলল জিবরাইল এর সাথে এখন মীখাইল(আ) আছেন উনার মাথা খুবই বিশাল।আর বেঢপ সাইজের।পরদিন ভোরের নামাযের অযুর পূর্বেও তাকে পুনরায় আসমানে দেখলাম।তাকিয়ে আছেন পৃথিবীর দিকে।তিনি আল্লাহর হুকুমে রিযিক প্রদান করে থাকেন।(ইহুদীরা চালাকি করে ফেরেশতাদের কাজ পরিবর্তন করতে বলেছিল)।

আর আজরইল(আ) তিনি আসেন ভয়ঙ্কর রুপে।আসার পর জান কবচ করে থাকেন।আমাকে মাঝে মাঝে দেখান কার জান কিভাবে কবচ করে ছিলেন।তার জান কবচ করা দেখে মাঝে মাঝে আনন্দ লাগে।মাঝে মাঝে খারাপ লাগে।কখনও ভয়ঙ্কর।তবে জিবরইল (আ)এর মাধ্যমে শুনেছি আজরইল (আ) বলেছেন যে আমার জান কবচে কোন কষ্ট দিবেন না ।শুধু একটা আঙুল দিয়ে টান মেরে মুহূর্তে জান কবচ করে নিবেন।আর জেরুজালেম বিজয় তার পুর্বে আছে।আর এজন্য ধৈর্য্য ধরতে হবে।কেননা অল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে আছেন।

আমার ওফাত হবে ম্ভবত জেরুজালেম বিজয়ের ১৩ বছর পর।

আর একজনকে দেখেছি, ইসরাফীল(আ)ইনি দেখতে চুলআলা অনেকটা মানুষের মত।বাঁশি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন।অনেকটা বীনের মত বাঁশি।পৃথিবীর বাঁশির মই বাঁশি তার বাঁশি।প্রত্যেকটা ছিদ্র দিয়ে বোঝা যায় ওগুলোতে আছে প্রতিটি আসমান নক্ষত্র ,তারা ,সৌরজগতের মত জগত,গেলাক্সী,ছায়াপথ এগুলো প্রথম আসমানের উপাদান।যা দিয়ে তিনি কাফেরদের ব্যস্ত রেখেছেন।এগুলো প্রথম আসমানে আছে।তার ফুঁতে এসব কিছু বাঁশির মধ্যে ঠান্ডা হয়ে যাবে লন্ড ভন্ড হয়ে যাবে।ছিন্ন ভিন্ন হয়ে উড়তে থাকবে।যেমন বাঁশির মধ্যে বালু নিলে যা হয়।তার কাছেই মহাবিশ্ব বালিকনা ছাড়া আর কিছুই মনে হবেনা ধ্বংসের সময়।তবে জিবরাইল (আ) তাকে জানান আমি দেখছি,তাই তিনি খুশি হন।
আর আল্লাহ তাকে আরও ভাল করে দেখতে বলেন।
তিনি খুশি হন।কিয়ামতের আলামত প্রকাশিত হবার পর প্রতিদিন অল্লাহ তাকে আমাকে দেখতে দেন।কারন কিয়ামত খুব দূরে নেই।রাসূল উল্লেখিত সকল ফিতনা দেখা দিয়েছে।আমিও বড় হয়েছি।জিব্রাইল(আ)এসে বলে গেছেন।আর ঈশা(আ) ও পুনরায় আসবেন।আর ইয়াজুজ মাজুজের ফিতনাও শুরু হবে।তাই ঈমানদারেরা আমার প্রতি আল্লাহ ও তার নবীর, প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করুন।অল্লাহর পথে প্রতিষ্ঠিত হন।আল্লাহর আযাব থেকে নিজেকে বাঁচান।আখিরাতে ও পৃথিবীতেও।


আর আপনি বলে দিন -
আপনার শিক্ষক তো অল্লাহ তাআলার আর তার প্রদত্ত ইলহাম।আর জিব্রাইল(আ)।আর পার্থিব বিষয় যা তারা শিক্ষা দেয় যাতে আপনার ও কারও অন্তরে প্রশান্তি আসেনা।আর যাতে কোন কুরআনের আয়াত অনুযায়ী ব্যাখ্যা উল্লাখ থাকেনা।না আপনার রাসূলের কথা।নেয় হয়নি কেন-শুনালে তারা যোগ্য নয় শুনায়।আবার বললে বলে চালাকির কথা।কেন আরবি ও ইসলামের ডিপার্টমেন্ট তো আছে।তারা মূলত অল্লাহর সাথে শঠতাকারী।তারা গুমরাহীর শিক্ষা দিতে নতুন পথ অবম্বন করেছে।বললে বলে মিলিয়ে নাও এরাই সেই চালাক সম্প্রদায় যারা অভিশপ্ত।তাদের শিক্ষায় কোন সওয়াব নেই।আল্লাহর রাসূল তাদেরও মিলিয়ে নিতে বলবেন।জাহন্নাম।
ইহা তাহা যা সম্বন্ধ তোমরা সন্দেহ পোষণ করিতেছিলে।

তাদের শিক্ষায় কোন সওয়াব নেই, নাই তাদের শিক্ষক হিসেবে সম্মান।যেহেতু তারা ইসলামের উপর না থেকে চালাকি করে একই সাথে শাদ্দাদের মত শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান ভবন তুলতে সাহায্য করে।তবে দুনিয়াবী কাজে, উহা অল্লাহর রস্তায় থেকে ব্যবহার কর।

জিব্রাইল(আ) বলতে বলেন
আর আশেপাশের দেশের মানুষ আপনার সম্পর্কে জানে।তারা তাদের সমস্যা থেকে মুক্ত পেতে এমন একজন মানুষকে চাই।তারা বহুলোক এমন যে তারা হিন্দু ও মুসলমান সহ সকলেই নির্যাতিত হয়।প্রচুর পরিমানে জেনা ব্যভীচারের কারনে তারা ডিলুশনও করে থাকে।তাদের অশ্রুকষ্ট বিদআত সষ্টকারী পরিস্থতি ও বুঝতে পারা খুবই করুন ব্যাপার।অল্লাহ সেই দেশের নির্যাতিত মুসলিম মেয়ে পুরুষ সকল সম্পর্কে অবগত আছেন।যেমনটি অল্লাহ সবসময় থাকেন।না তিনি ঘুমান না তিনি ক্লান্তহন।তারা ধর্ম নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট কিছু প্রচার করে।তাদের আধুনিক প্রযুক্তসমূহ মূলত বানোয়াট ও অর্থহীন।তাদের সৃষ্টি কর্তাদের যদি তারাইএভাবে দেখতে পারে তাহলে তারা কেন তা নয়।কারন তারা অল্লাহর সৃষ্ট মানুষ।অতএব নানা ধরনের ফিতনা ব্যাপক আকারে ডিলুশন ও অন্যান্য পাপাচার থেকে তারা যেন বেঁচে থাকে।তারা যেন অল্লাহর আদেশ মান্য করে আর নবী রাসূলদের প্রতি বিশ্বাসস্থাপন করে ।তারা যেন অর্থ বুঝে কালেমা পাঠ করে।তারা যেন এভাবে বুঝে -তোমরা জিনা করিও না।যেমনটি হযরত মূসা(আ) তার জাতিকে বলেছিলেন।

২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×