somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রোজা নিয়ে কিছু কথা।

৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


যেসব কারণে রোজা ভাঙে না

১. ভুলে কিছু খেলে বা পান করলে।
২. অনিচ্ছাকৃত বমি করলে।
৩. রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে।
৪. অসুস্থতাজনিত কারণে বীর্যপাত হলে।
৫. স্বামী-স্ত্রী চুম্বন ও আলিঙ্গন করলে।

রোযাদার যদি ভুলক্রমে বা না জেনে বা বাধ্য হয়ে কিছু খেয়ে ফেলে, তবে রোজা নষ্ট হবে না, আল্লাহ বলেন:
হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমরা ভুল করে অথবা অজ্ঞাতসারে দোষে লিপ্ত হই তবে আমাদেরকে পাকড়াও কর না। (সূরা আল-বাকারা : ২৮৬)
আল্লাহ তাআলা বলেন : তবে তার জন্য মহা শাস্তি নয় যাকে কুফরী করতে বাধ্য করা হয়েছে কিন্তু তার অন্তর ঈমানে অবিচল। [সূরা আনু নাহাল : ১০]
আল্লাহ তাআলা বলেন : যা তোমরা অজ্ঞাতসারে ভুল করেছ তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই কিন্তু তা তোমাদের সংকল্প থাকলে অপরাধ হবে। [সূরা আল-আহ্যাব : ৫]
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ভুল করে কিছু খেয়েছে বা পান করেছে। ওই ব্যক্তি যেন তার রোজা পূর্ণ করে। কেননা আল্লাহই তাকে পান করিয়েছেন। (বুখারি ও মুসলিম, মিশকাত)

* অতএব, রোজাদার যদি ভুলবশত: পানাহার করে তবে ভুলের কারণে তার রোজা নষ্ট হবে না। * আর কেউ যদি সূর্য ডুবে গেছে অথবা ফজর এখনও হয়নি এরূপ মনে করে পানাহার করে তবে তার অজ্ঞতার কারণে রোজা নষ্ট হবে।
* যদি কুলি করা অবস্থায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও গলায় পানি চলে যায় তবে রোজা নষ্ট হবে না।
* স্বপ্নদোষ হলেও এতে তার কোন ইচ্ছা না থাকায় রোজা ভঙ্গ হবে না।

রোজা ভঙের কারণ
স্ত্রী সহবাস : রোজাদার যদি রমাযানের দিনে স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হয় তবে সে রোজা কাযা আদায়সহ জটিল কাফ্ফারা আদায় করতে হবে। আর তা হলো : একটি গোলাম আজাদ করা, যদি সামর্থ্য না থাকে তবে ধারাবাহিক দুই মাস (মাঝে বিরতি ছাড়া) রোজা রাখতে হবে আর যদি তার সামর্থ্য না থাকে তবে ৬০ জন মিসকীনকে খাওয়াতে হবে।

বীর্যপাত : জাগ্রতাবস্থায় হস্ত মৈথুন, স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করা, চুমো দেয়া, স্পর্শ করা অথবা অন্য কোন কারণে বীর্যপাত হলে রোজা বিনষ্ট হয়ে যাবে।

পানাহার : উপকারী বা ক্ষতিকারক ( যেমন ধূমপান) কোন কিছু পানাহারে রোজা ভেঙে যায়।
ইনজেকশন যোগে খাদ্যের সম্পূরক খাদ্য জাতীয় কোন কিছু প্রয়োগ করলে। কিন্তু তা যদি খাদ্যের সম্পূরক না হয় তবে শরীরের যেখানেই প্রয়োগ করা হোক যদিও তার স্বাদ গলায় অনুভূত হয় রোজা নষ্ট হবে না।

ইনজেকশন যোগে রক্ত প্রয়োগ : যেমন রোজাদারের যদি রক্ত শূন্যতা দেখা দেয় আর তার ফলে ইন্জেকশন প্রয়োগে রক্ত প্রবেশ করান হয় তবে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে।

মাসিক ঋতু স্রাব ও সন্তান প্রসব জনিত স্রাব।

শিংগা বা এ জাতীয় কিছু লাগিয়ে রক্ত বের করা, তবে যদি রক্ত স্বাভাবিকভাবে যেমন নাক থেকে রক্তক্ষরণ বা দাঁত উঠানোর ফলে বা এ ধরনের অন্য কারণে বের হয় তবে রোযা বিনষ্ট হবে না।

বমি করলে : ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে রোজা নষ্ট হবে কিন্তু অনিচ্ছায় বমি করলে রোজা নষ্ট হবে না।

যেসব কারণে রোজা মাকরুহ হয়

১. বিনা প্রয়োজনে কোনো কিছু চিবালে।
২. তরকারির লবণ টেস্ট করে ফেলে দিলে।
৩. মাজন, কয়লা, গুল বা পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজলে। (তবে সামান্য ভেতরে গেলেও রোজা ভেঙে যাবে)
৪. রাতে ফরজ হওয়া গোসলসহ সারাদিন অতিবাহিত করলে।
৫. রোজা অবস্থায় রক্তদান করলে।
৬. পরনিন্দা, কুৎসা, অনর্থক কথা ও মিথ্যা বললে।
৭. ঝগড়া, ফাসাদ ও গালমন্দ করলে।
৮. ক্ষুধা ও পিপাসার কারণে অস্থিরতা প্রকাশ করলে।
৯. মুখে থুথু জমা করে গিলে ফেললে।
১০. স্ত্রীকে কামভাবের সঙ্গে স্পর্শ করলে।
১১. মুখে কিছু চিবিয়ে শিশুকে খাওয়ালে।
১২. লিপস্টিক লাগালে (যদি তা ভেতরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।)
১৩. বুটের কণার চেয়ে ছোট কিছু দাঁতের ফাঁক থেকে বের করে গিলে ফেললে।

রোজা নিয়ে কিছু কথা / মিনহাজ উদ্দিন

যেসব কারণে রোজা ভাঙে না

১. ভুলে কিছু খেলে বা পান করলে।
২. অনিচ্ছাকৃত বমি করলে।
৩. রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে।
৪. অসুস্থতাজনিত কারণে বীর্যপাত হলে।
৫. স্বামী-স্ত্রী চুম্বন ও আলিঙ্গন করলে।

রোযাদার যদি ভুলক্রমে বা না জেনে বা বাধ্য হয়ে কিছু খেয়ে ফেলে, তবে রোজা নষ্ট হবে না, আল্লাহ বলেন:
হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমরা ভুল করে অথবা অজ্ঞাতসারে দোষে লিপ্ত হই তবে আমাদেরকে পাকড়াও কর না। (সূরা আল-বাকারা : ২৮৬)
আল্লাহ তাআলা বলেন : তবে তার জন্য মহা শাস্তি নয় যাকে কুফরী করতে বাধ্য করা হয়েছে কিন্তু তার অন্তর ঈমানে অবিচল। [সূরা আনু নাহাল : ১০]
আল্লাহ তাআলা বলেন : যা তোমরা অজ্ঞাতসারে ভুল করেছ তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই কিন্তু তা তোমাদের সংকল্প থাকলে অপরাধ হবে। [সূরা আল-আহ্যাব : ৫]
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ভুল করে কিছু খেয়েছে বা পান করেছে। ওই ব্যক্তি যেন তার রোজা পূর্ণ করে। কেননা আল্লাহই তাকে পান করিয়েছেন। (বুখারি ও মুসলিম, মিশকাত)

* অতএব, রোজাদার যদি ভুলবশত: পানাহার করে তবে ভুলের কারণে তার রোজা নষ্ট হবে না। * আর কেউ যদি সূর্য ডুবে গেছে অথবা ফজর এখনও হয়নি এরূপ মনে করে পানাহার করে তবে তার অজ্ঞতার কারণে রোজা নষ্ট হবে।
* যদি কুলি করা অবস্থায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও গলায় পানি চলে যায় তবে রোজা নষ্ট হবে না।
* স্বপ্নদোষ হলেও এতে তার কোন ইচ্ছা না থাকায় রোজা ভঙ্গ হবে না।

রোজা ভঙের কারণ
স্ত্রী সহবাস : রোজাদার যদি রমাযানের দিনে স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হয় তবে সে রোজা কাযা আদায়সহ জটিল কাফ্ফারা আদায় করতে হবে। আর তা হলো : একটি গোলাম আজাদ করা, যদি সামর্থ্য না থাকে তবে ধারাবাহিক দুই মাস (মাঝে বিরতি ছাড়া) রোজা রাখতে হবে আর যদি তার সামর্থ্য না থাকে তবে ৬০ জন মিসকীনকে খাওয়াতে হবে।

বীর্যপাত : জাগ্রতাবস্থায় হস্ত মৈথুন, স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করা, চুমো দেয়া, স্পর্শ করা অথবা অন্য কোন কারণে বীর্যপাত হলে রোজা বিনষ্ট হয়ে যাবে।

পানাহার : উপকারী বা ক্ষতিকারক ( যেমন ধূমপান) কোন কিছু পানাহারে রোজা ভেঙে যায়।
ইনজেকশন যোগে খাদ্যের সম্পূরক খাদ্য জাতীয় কোন কিছু প্রয়োগ করলে। কিন্তু তা যদি খাদ্যের সম্পূরক না হয় তবে শরীরের যেখানেই প্রয়োগ করা হোক যদিও তার স্বাদ গলায় অনুভূত হয় রোজা নষ্ট হবে না।

ইনজেকশন যোগে রক্ত প্রয়োগ : যেমন রোজাদারের যদি রক্ত শূন্যতা দেখা দেয় আর তার ফলে ইন্জেকশন প্রয়োগে রক্ত প্রবেশ করান হয় তবে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে।

মাসিক ঋতু স্রাব ও সন্তান প্রসব জনিত স্রাব।

শিংগা বা এ জাতীয় কিছু লাগিয়ে রক্ত বের করা, তবে যদি রক্ত স্বাভাবিকভাবে যেমন নাক থেকে রক্তক্ষরণ বা দাঁত উঠানোর ফলে বা এ ধরনের অন্য কারণে বের হয় তবে রোযা বিনষ্ট হবে না।

বমি করলে : ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে রোজা নষ্ট হবে কিন্তু অনিচ্ছায় বমি করলে রোজা নষ্ট হবে না।

যেসব কারণে রোজা মাকরুহ হয়

১. বিনা প্রয়োজনে কোনো কিছু চিবালে।
২. তরকারির লবণ টেস্ট করে ফেলে দিলে।
৩. মাজন, কয়লা, গুল বা পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজলে। (তবে সামান্য ভেতরে গেলেও রোজা ভেঙে যাবে)
৪. রাতে ফরজ হওয়া গোসলসহ সারাদিন অতিবাহিত করলে।
৫. রোজা অবস্থায় রক্তদান করলে।
৬. পরনিন্দা, কুৎসা, অনর্থক কথা ও মিথ্যা বললে।
৭. ঝগড়া, ফাসাদ ও গালমন্দ করলে।
৮. ক্ষুধা ও পিপাসার কারণে অস্থিরতা প্রকাশ করলে।
৯. মুখে থুথু জমা করে গিলে ফেললে।
১০. স্ত্রীকে কামভাবের সঙ্গে স্পর্শ করলে।
১১. মুখে কিছু চিবিয়ে শিশুকে খাওয়ালে।
১২. লিপস্টিক লাগালে (যদি তা ভেতরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।)
১৩. বুটের কণার চেয়ে ছোট কিছু দাঁতের ফাঁক থেকে বের করে গিলে ফেললে।

রোজা নিয়ে কিছু কথা / মিনহাজ উদ্দিন
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×