somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দাঁড়িয়ে প্রস্রাব একটি অবৈজ্ঞানিক এবং ক্ষতিকর পন্থা

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



স্কুল কলেজে কিংবা দামী দামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজকাল প্রস্রাব করতে গেলে নিজেই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যাই এমন কিছু দৃশ্য দেখে। যে দৃশ্য মুসলিম হিসেবে আমায় প্রশ্নবিদ্ধ করে। আমাকে অনুশোচিত হতে। আমাকে ভাবায় এইসব প্রতিষ্ঠানের কর্তারা কি মুসলিম নন! তারা কি সত্যটা জানেনা? তারা প্রকৃত উপকার বুঝেনা? তারা আসলে শিক্ষিত কি করে হয়...!

আমরা সেই ইসলামের দিশারী লোকটার কথা শুনিনা কিন্তু বিজ্ঞানের কথা শুনি কিন্তু সেই লোকটার কথাই আজকের আধুনিকে এসে সত্য প্রমাণিত হয়। তিনি যে জ্ঞানী ছিলেন এবং তার উম্মতের কল্যাণ চাইতেন তাই বারবার প্রমাণ করে।

বিজ্ঞান বলে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা ক্ষতিকর কিন্তু কেন ?

চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষনায় দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পুরুষের যেসব মারাত্মক ক্ষতি হয় আসুন তা জেনে নেই।
(১) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পেটের উপর কোনে চাপ পড়ে না। ফলে দূষিত বায়ু বের হতে পারেনা। বরং তা উপর দিকে উঠে যায়। ফলে অস্থিরতা বা্ড়ে, রক্ত চাপ বাড়ে, হৃদযন্ত্রে স্পন্দন বাড়ে, খাদ্যনালী দিয়ে বার বার হিক্কা আসতে থাকে ।

(২) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের থলি সরু ও লম্বা হয়ে ঝুলতে থাকে ফলে প্রস্রাবের দূষিত পদার্থগুলো থলির নিচে গিয়ে জমা হয়। অথচ বসে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের থলিতে চাপ লাগে ফলে সহজেই ওসব দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়।

(৩) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে কিডনিতে অতি সহজে পাথর সৃ্ষ্টি হয় ।

(৪) দীর্ঘদিন দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে প্রস্রাবের বেগ কমতে থাকে।

(৫) যারা নিয়মিত দাড়িয়ে প্রস্রাব করেন তাদের অবশ্যই শেষ জীবনে ডায়াবেটিস, জন্ডিস, কিডনী রোগ হবেই ।

(৬) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পুরুষের যৌন শক্তি কমতে থাকে এবং পুরুষাঙ্গ নরম ও তেনা তেনা হয়ে যায় এবং সহজে সোজা ও শক্ত হতে চায় না। উত্তেজনার সময় যদিও শক্ত হয় কিছুক্ষন পর কিছু বের না হতেই তা আবার ছোট ও নরম হয়ে যায় ।

(৭) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে পরিবেশ দূষিত হয়। সেই দূষিত বায়ু আমাদের দেহে প্রবেশ করে বিভিন্ন জটিল রোগের সৃষ্টি করে ।

(৮) দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে তার ছিটা দেহে ও কাপড়ে লাগে ফলে তা দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে ।

স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বলে উপরোক্ত দৈহিক সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের অতি অবশ্যই বসে প্রস্রাব করা উচিত।

অথচ সর্বশ্রেষ্ঠ স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) চৌদ্দশত বছর আগেই দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে নিষেধ করেছেন এবং বসে প্রস্রাব করার আদেশ দিয়েছেন।
“ওমর ( রাঃ ) বলেন- নবী( সঃ ) কোন একদিন আমাকে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে দেখে বললেন, হে ওমর তুমি কখনই দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করবে না। এরপর আমি আর কখনই দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করিনি”। (তিরমীযি হাদীস/১২)


(সূত্র: পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে মুহাম্মদ ( সঃ ) - মাওলানা মো: আ: ছালাম মিয়া (হুমায়ুন)-পৃষ্ঠা-১৫১, পিস পাবলিকেশন)

দাঁড়িয়ে প্রস্রাব একটি অবৈজ্ঞানিক এবং ক্ষতিকর পন্থা / মিনহাজ উদ্দিন
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×