""ওহে বিশ্ব নবীর (সঃ) সাহাবীরা তোমরা কি ভুলে গেছ যে আল্লাহর রাসুল (সঃ) জীবিত থাকতে যাকে ইমামোতির নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি কে? কে হাজারো কষ্ট সহ্য করে রাসুল (সঃ) এর সাথে তাঁর বিপদময় দিন গুলিতে তাঁর পাশে থেকেছেন? কাকে আল্লার রাসুল(সঃ) মদিনা থেকে কোঁথাও যাবার সময় খলিফা হিসাবে মদিনায় রেখে গেছেন? কাকে আল্লার রাসুল (সঃ) ৯ম হিজরি হজ্বের আমীর করে পাঠিয়েছেন???
মনে রাখবে আমাদের সবার মাঝে সেই লোকটি ই অধিক যোগ্যতা সম্পন্ন এবং তাঁর ইলম সবথেকে বেশি। তাই আমি তাঁর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করতেছি। হে আবু বকর সিদ্দিক আপনি হাত বাড়িয়ে দিন।""
কথাগুলি বলেছিলেন ফারুকে আযম উমর বিন খাত্তাব (রাঃ) রাসুল(সঃ) এর মেমবারে দাড়িয়ে। আজো তাঁর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ আমাদের সমাজের ঐ সকল লোকদের প্রশ্নের উত্তর হয়ে আছে যারা আমাদের কাছে প্রশ্ন করেন যে মুসলিম খলিফা কিভাবে নিযুক্ত হবে। হা মনে রাখবেন খলিফা কোন গণতান্ত্রিক নিয়মে নয় মুসলিম বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী লোকদের মাঝে যিনি বেশি আল্লাহ্ ভীরু যার কোরআন হাদিসের জ্ঞান বেশি যিনি নেতৃত্ব দানের যোগ্য তাকেই নিযুক্ত করা হবে।
""যে আবু বকর জীবিত থাকতে খেলাফতের দাবী করবে আমি উমর তাঁর গর্দান উড়িয়ে দেব""
সুতরাং বোঝা গেল মুসলিম বিশ্বের ইমাম বা খলিফা হবে একজন। তিনি জীবিত থাকতে ২য় কেউ দাবী করলে তাকে মুরতাদ বলে তাঁর গর্দান উড়িয়ে দিতে হবে। আশাকরি সবার কাছে ইসলামী খেলাফত নির্বাচন পরিষ্কার হয়েছে।
যারা ইসলামী গণতন্ত্র বা ইসলামী নাম নিয়ে গণতন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাবার জন্য ইলেকশন করেন তারা আর যাই হোক ইসলামী নিয়ম মেনে চলছে না। তাঁর কুফুরি মতবাদের সাথী হয়ে নিজেকে কাফের বানিয়ে ফেলছেন। নামের আগে ইসলামী লাগালেই মদ যেমন হালাল হয় না তেমন গণতন্ত্র ও হালাল হয় না। যারা গণতান্ত্রিক ভাবে ইসলামী ক্ষমতা কায়েম করতে চায় তারা সুস্পষ্ট কাফের।