আজ আমি রবি ঠাকুরের কবিতা বলতে আসি নি।
তোমার গায়ে লাল পাড়ের সাদা শাড়ি;
আর সিঁঁথিতে লাল সিঁদুর পড়াতে আসি নি।
গোরার চারদিকের গোঁড়ামিতে বাধতে আসি নি।
শেষের কবিতার মত তোমায় প্রকৃতির নেঁশায় নিজেকে বেধে ভোলাব না।
মোর হিয়ার মাঝে লুকিয়ে রাখব না।
আজ আমি নজরুলের মত তোমার ঘন কাল কেশ এর সুন্দর খোপাটি বারবার খুলে দেয়ার আবদার করব না।
কিংবা তুমি অপরুপ মায়াবতী বলে, তোমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে তোমার সুন্দর অবয়বকে বাহানা বানিয়ে তুলব না।
আজ আমি সুধাব আমার কবিতা।
যার পঙক্তিগুলোকে ছন্দের বেড়াজালে আটকে রাখব না।
তুমি নারী নাঁটোরের বনলতা সেন নও।
তোমার চারপাশ তোমার চোখে স্বপ্নের আবেশ তৈরী করে যা তোমার চোখের তারায় বারবার খুজে পাই।
যখন তুমি লাল জামার সাথে লাল লিপস্টিকে সেজে বারবার চুলগুলোক গুছিয়ে নাও।
আবার হলুদ বাসন্তি জামায় নিজেকে বারবার সামলে নাও,
আচ্ছা নিজেকে এলোমেলো করে কখনও দেখেছ কি তুমি?
নিজেকে কিভাবে সুন্দরী দেখতে চাও তুমি?
আচ্ছা পৃথিবীর সেরা সুন্দরীর পাশে ,
কখনও মাদার তেরেসা কিংবা আলোকবর্তিকা হাতে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলকে বসিয়ে দেখেছ?
সৌন্দর্যকে তুমি কিভাবে সংজ্ঞায়িত করবে?
আচ্ছা তুমি সরল কান্তিময় প্রশান্ত ভাজ খাওয়া চামড়াতে অপার প্রশান্তির আলোকচ্ছটা কোথাও দেখেছ?
নাকি তোমার কাছে কেবলই সুন্দরী সেই অপরূপ লাস্যময়ী ক্লিওপেট্রা, যার সৌন্দর্য হারানোর ভীতিরূপে প্রতিনিয়ত তাড়া করে ফিরত।
নারী তুমি কেবলই রমণী নও।
শতাব্দীর ছোট্র মিষ্টি শব্দ মা;
কিংবা ঝাঝাল তলোয়ার হাতে সেই যে লক্ষীবাঁঈ মুক্তির স্বপ্ন দেখা,
কিংবা স্বাধীনতার স্বপ্নচারিনী জোয়ান অব আর্ক পরাধীনতার দেয়ালকে যে পেছনে ফেলেছিল।
সুন্দর, মিষ্টি আর ঝাঝাল রঙের তুমি।
নিজেকে কেবল একটি মাত্র আয়নায় বেধে ফেল না।
এ আমার কবিতা, ঝাঝাল মিষ্টি সুরে;
যত খুশি নিজেকে রাঙিয়ে নাও।
তোমাকে রাঙাতেই আমি এসেছি।
যে ভালবাসে সেই কবিতার রঙে রাঙায়।
যেদিন মহাকাল তোমার পায়ে শেকলের নূপুর পড়াবে;
তোমার অপূর্ব অবয়বে যেদিন বার্ধক্য বলিরেখার ভাজ হয়ে ধরা দিবে;
সেদিনও আমি তোমায় একই ছন্দে কবিতার রঙে রাঙিয়ে যাব।
তুমি আমার চির রঙিন কবিতা।


অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



