somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং কিছু উৎপাতকারী

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই কিছু ছাত্র নামধারী উৎপাতকারী থাকে যাদের কাজ হচ্ছে বাজারের হিজড়াদের মতো "তোলা" উঠানো। যারা "তোলা" সর্ম্পকে জানেন না তাদের জন্য বলছি, হিজড়া সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ বাজারে বিক্রেতাদের কাছ থেকে ফাও কিছু জিনিসপত্র (সবজি বিশেষত) নিয়ে নেয়। তারা ভাবে এগুলো তাদের জন্যই। এরকম করে "তোলা" উঠানো তাদের অধিকার।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও এমন কিছু ছেলেপেলে থাকে। এরা টং দোকানে নাস্তা করবে, বিল দিবে না। বিল চাইলে ছাত্রের বাইরে যে তার আরও একটা তথাকথিত পরিচয় আছে সেটা সদর্পে, সগর্বে প্রকাশ করবে। প্রেমিকা নিয়ে ফুচকা খাবে, বিল দেয়ার কথা ভুলেও মনে আনবে না। ক্যাম্পাসে শোডাউন দিবে, ফুডকোর্টে খাবে কিন্তু পয়সা দেবে না। এখানেই শেষ নয়, নিয়মিত চাঁদা উঠাবে, হলের ডাইনিংয়-ক্যাফেটেরিয়ায় ফাও খাবে, সাথে ধমকধামক তো আছেই। "তোলা" না দিলে হিজড়েরা যেমন অকথ্য গালিগালাজ করে তারা কিন্তু এখানে থেমে থাকে না। এককাঠি সরস হয়ে গায়ে হাত তুলতে পারলে তারা আত্মতৃপ্তি পায়। তাদের এই সরস আচরনের জন্য যখন একটা সাদাসিধে ছেলেকে ডাইনিং কিংবা টংয়ে একবেলা বাকি দিতে দোকানদার উসখুশ করে তখন তাদেরকে দোষ দিতে পারি না।

বিশ্ববিদ্যালয় মানুষ গড়ার কারখানা । বিশ্ববিদ্যালয় এখানে পুরোপুরি ব্যর্থ না হলেও কিছুটা ব্যর্থ। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের কিছু ছেলে যখন এমন হয় তখন ব্যাপারটা খুবই লজ্জাজনক। একটা টং দোকানি কিংবা একটা ফুচকাওয়ালা, কিংবা মাত্র ২ টাকা লাভে খাবার বিক্রি করা ডাইনিং মালিককেও যখন এসব পাতি নেতাদের চাঁদা দিতে হয় তখন সাধারন ছাত্ররা রাজনীতি দুরে সরে যাবে এটা কি খুব বেশি অস্বাভাবিক? রাজনীতি কাউকে চুরি ছ্যাঁচড়ামি শিখায় কিনা আমার জানা নেই। খুব সম্ভবত উত্তরটা না হবারই কথা।

এখানেই তাদের শেষ নয়। ছোটখাটো ছ্যাঁচড়ামি, চাঁদাবাজি করতে করতে তাদের কলজেটা বড় হয়ে যায়। শুরু করে টেন্ডারবাজি। ক্যাম্পাসে উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে? আমার চাঁদা দাও, নয়তো কাজ বন্ধ। আবাসিক হল সংস্কার হচ্ছে? আমি সরকারি দলের রাজনীতি করি।আমার অনুমতি(!) না ছাড়া কাজ চলবে না। অতঃপর রাজার নজরানা, তারপর কাজ চালানোর সদয় অনুমতি। ক্যাম্পাসে তারা অলিখিত রাজা। সবাই তাদের নজরানা দিবে, ভেট দিবে, আর তারা ড্রপের পর ড্রপ দিয়ে, মেয়ে নিয়ে ফুর্তি করে আমাদের ধন্য করবে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৭
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×