যে কোন ঘটনা কিংবা দুর্ঘটনা হলেই আমরা একটা কাজ সবাই করি- সরকারের বা কোন কর্তৃপক্ষের চৌদ্দগোষ্ঠি উদ্ধার করি। তা কোন সাধারন বা অসাধারন যে কোন ঘটনাই হোক, আমরা গড়পড়তা সরকার, রাজনীতিবিদ বা সুনির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধুয়ে ফেলি। কিন্তু, ঘটনার পেছনের কারন কি, এই ঘটনা থেকে কারা উপকৃত হলো, এটা কি কোন আইওয়াশ কি না এসব কিছু আমরা ভাবি না।
মেজর রাশেদকে খুন করা হলো না ক্রয়ফায়ারে দেয়া হলো, পরিকল্পিত হত্যাকান্ড নাকি দুর্ঘটনা এসব ভাবারও আগে একটা বিষয় ভাবা উচিত, তার মৃত্যুতে কে লাভবান হলো এবং তার মৃত্যুর সাথে যারা জড়িত বা যাদের নাম উঠে আসছে, তাদের সাথে কারা জড়ির, তারা কার স্বার্থে কাজ করে বা তাদের লিয়াঁজু কাদের সাথে। এতকিছু ভাবার পেছনে কারন- মেজর রাশেদ প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সদস্য। খুব সহজ কথায় দেশের নিরাপত্তার সাথে সম্পৃক্ত। এটা কি নিছকই কোন হত্যাকান্ড নাকি সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন এর সাথে জড়িত, তাও একবার ভাবা উচিত।
আজকে রেলের মাহবুব কবির মিলন স্যারকে ওএসডি করা হয়েছে। এজন্য সবাই মোটামুটি সমালোচনা করছে, মিডিয়াও ব্যাপারটা প্রচার করছে, তিনি নিজেও নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ থেকে এবং কয়েকটি বড় ফেসবুক গ্রুপে বিষয়টি পোষ্ট করেছেন। বিষয়টি কি কেবলই তাকে সরানো নাকি সাধারনের দৃষ্টি তার দিকে ঘোরানো আইওয়াশ, নাকি অন্য কিছু তা একবার ভাবতে হবে আমাদের।
একটা কথা যদি আমরা বুঝে যাই যে, সরকার বা আমলা কিংবা রাজনৈতিক মহলে যে ঘটনাগুলো ঘটে তার যে কারন আমরা বুঝি বা আমাদের বুঝানো হয়, তার বাইরেও কারন নিহীত থাকতে পারে। কারন ছাড়া, কোন পক্ষের লাভ ছাড়া উপরের দিকে কোন ঘটনা ঘটে না। কিংবা কোন কাজ করাও হয় না।