বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচাইতে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি। এই ছোট্ট একটি দেশের পক্ষে এই বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যার দৈনন্দিন বিভিন্ন প্রকার চাহিদা পূরণ করা খুবই কঠিন কাজ। অনেক মানুষ অভাবগ্রস্ত অবস্থায় জীবন কাটাতে বাধ্য হয়। শুধু তাই নয়, পরিবেশের উপরও মারাত্মক প্রভাব পড়ে। বনজঙ্গল উজাড় করে জনবসতি গড়া ও ফসলি জমি বানিয়ে তাতে আবাদ করা হয়, অতিরিক্ত মানুষের প্রয়োজন মেটানোর জন্য। ফলে বন্য প্রাণীর আবাসস্থল সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। মানুষ প্রাণী হত্যা করে তাদের উজাড় করে ফেলে। অতিরিক্ত মানুষ অতিরিক্ত বর্জ্য তৈরি করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে। আজকে যদি ১৬ কোটি জনসংখ্যার বদলে ৫ কোটি জনসংখ্যা থাকত, তাহলে কি আজকে সুন্দরবন বাঁচানোর জন্য আন্দোলন করতে হত? বাংলাদেশ সরকারের উচিত জনসংখ্যাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা আখ্যায়িত করে তা সমাধানের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করা। অনেক গরিব মানুষ বুড়োকালের আশ্রয়ের কথা চিন্তা করে বেশি সন্তান নেয়। তাদের নিরুৎসাহিত করার জন্য সরকারের উচিত, ঘোষণা করা যে যেই দম্পতির একটি সন্তান অথবা সন্তানহীন হবে, সেই দম্পতির বুড়োকালের দেখাশোনার দায়িত্ব সরকার নেবে। এর ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকে কমিয়ে আনা, এমনকি এই হারকে নেগেটিভে নিয়ে আসা, অর্থাৎ জনসংখ্যা হ্রাস করা সম্ভব হবে। এভাবে সব মানুষের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন, বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষা এবং পরিবেশের ভারসাম্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:৪০