ধর্মের হাজারো ক্ষতিকর দিকের মাঝেও সামন্য কিছু উপকারিতা বিদ্যমান, তা বিভিন্ন গবেষনাতে দেখা যায়। এটা অনেকটা মেডিটেশনের মত কাজ করে। টেনশন কমায়, আশাবাদি হতে সাহায্য করে।
সাধারন মেডিটেশনের মাধ্যমেই এই উপকারিতার অনেকটা পাওয়া সম্ভব। কিন্তু পুরোটা না।
আমার মনে পড়ে, আমি আগে যখন পাগল ছিলাম, নামাজ পড়ার পরে একধরনের পবিত্র, শান্তি বা নিশ্চিন্তি অনুভিতি পেতাম। মেডিটেশনের মাধ্যমে টেনশন মুক্তি হলেও আমি সেই পবিত্র অনুভুতিটুকু পেতাম না। আমি এটা নিয়ে অনেক ভেবেছি। আমি সেকুল্যার পদ্ধতিতে নামাজের উপকারিতাটুকু পাওয়ার উপায় বের করার চেষ্টা করেছি। কারন একজন বিজ্ঞানমনস্ক মুক্তচিন্তার মানুষ হিসাবে আমি ধর্মের দারস্থ হতে পারিনা। আমার মনে হচ্ছে আমি সেই পদ্ধতি বের করতক্ষম হয়েছি।
নামজের সময় বিশ্বাস করা হয় যে, স্রষ্টার সাথে তার ইতিবাচক ভাবে সম্পর্ক বা যোগাযোগ হয়েছে। আর বিশ্বাস করা হয় যে, স্রষ্টার যোগাযোগ আছে জগতের বাকি সব কিছুর সাথে। এর ফলে নামাজ পড়ার পরে নামাজির মনে, মহাবশ্বের সাথে কানেক্টেড হওয়ার অনুভুতি জাগে। নিজেকে একাকি মনে হয়না। এটা মনে এক ধরনের পবিত্র শান্তির অনুভুতি তৈরি করে। সুতরাং আমরা যদি এমন ধরনের মেডিটেশন করি বা মেডিটেশনে এমন অংশ যোগ করি যাতে আমরা মহাবিশ্বের সাথে আমাদের কানেক্টেড কল্পনা করা হয়, তাহলেও আমাদের মনে মহাবশ্বের সাথে কানেক্টেড হওয়ার অনুভুতি জাগবে। নিজেকে একাকি মনে হবে না। সেই একই ধরনের শান্তির অনুভুতি পাওয়া যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৫:৪৯