ছোট্ট ছেলেটা দ্বিতীয়বারের মত চিৎকার করে উঠল; মাত্র ৩-৪ বছর হবে বয়স। একজন মধ্যবয়ষ্ক লোক তাকে শক্ত করে ধরে আছে। বিড়বিড় করে ছেলেটার কানে কি যেন বলছে। বোধহয় চুপ করানোর চেষ্টা করছে।
ধারালো অদ্ভূতদর্শন যন্ত্রটা নিয়ে অপর লোকটা আবার ছেলেটার দিকে এগিয়ে গেল। তার চোখমুখ শক্ত। এই পিচ্চিটাকে দ্রুত শেষ করতে হবে। তার বস্ নিশ্চই বিরক্ত হচ্ছে। সে এ লাইনে নতুন এসেছে।
আমি একটু অস্বস্তিতে নড়েচড়ে বসলাম। বেঞ্চটা মোটেও আরামদায়ক নয়। ছোট্ট এই ঘরটিতে আমার পাশে আরও দু'জনকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। আমি আবার বাচ্চাটার দিকে তাকালাম। সে ছাড়া পাওয়ার জন্য হাত-পা ছুঁড়ছে আর চিৎকার করছে। সেই গগনভেদী চিৎকারে বড় পাষন্ডেরও মায়া হবে। কিন্তু, বয়ষ্ক লোকটা তাকে শক্ত করে ধরে রেখেছে। ধারালো যন্ত্র হাতে অপর লোকটি শেষবারের মত এগিয়ে আসছে। তার চোখে ভয়ংকর দৃষ্টি।
আমি চোখ সরিয়ে নিলাম। মাথা নিচু করে ভাবতে লাগলাম, আর এক মিনিট পরেই হয়তো আমার পালা আসবে..........
হঠাৎ করেই ছেলেটার চিৎকার থেমে গেল। মাথা তুলে দেখলাম, মধ্যবয়ষ্ক লোকটা ছেলেটার নিথর দেহটা নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।
ধারালো যন্ত্রহাতের লোকটা এবার আমার দিকে তাকালো। বলে উঠল, "উফ্, আর বইলেননা ভাইজান, পোলাপানের চুল কাটন যে এত মুসিবত, আগে জানতাম না। জীবন শ্যাষ।"
আমি মুচকি হেসে চেয়ারে বসতে বসতে বললাম, " সাইডে-পিছনে
ছোট আর সামনে মিডিয়াম কইরা দাও।"