somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারত / পাকিস্তান / যুদ্ধ !!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ফর ইউর ইনফর্মেশন, এইটা যুদ্ধ হে মানব সমাজ।
পৃথিবীর সবচেয়ে অশ্লীল সবচেয়ে নোংরা কান্ড।


ডিয়ার জনগন, এইটা যুদ্ধ, খেলাধুলা না!

পৃথিবী অনেক দূর আগাইছে, রাস্তা ঘাট হইছে, লিফট এস্কেলেটর হইছে, একশ তলা দুইশ তলা হাই রাইজ হইছে, কুত্তার গলায় চেইন বাইধা বিকাল বেলায় হাটাহাটি হইছে, প্যান্টের জিপার হইছে, নাইট ক্লাব হইছে, ফিজিক্স ক্যামেস্ট্রি হইছে।

নাসা মাইক্রোসফট আপেল হইছে, চিন হইছে, জিপিএস, এসি ফ্রিজ আইসা জাতে উঠছে পৃথিবী।

অথচ নিজেরে গোষ্টিবদ্ধ কইরা, দল ভারি কইরা দুর্বল মানুষরে মাইরা ফেলার আগ্রহ টা কমে নাই!

সভ্যতা আসলে আসেই নাই কোন দিন।
যা আসছে, লোক দেখানো ভাবটা আসছে।
চকমকা কাপড় পইড়া বা না পইড়া ল্যাংটা হইয়া সমুদ্রের পাড়ে শুয়ে থাকলেই তো আর সভ্য হইলোনা, আরেকটা মানুষের জন্য দরদ লাগে না?

আমি সাদা, আমি সুন্দর, আমি মুসলিম, আমি নাস্তিক আর তোমরা সব ভুল সব অসুন্দর এই মুর্খামি থেকে বাইর হওয়া দরকার ছিলো না?

যে লেখাপড়া পারমানবিক বোমা বানানো সায়েন্টিস্ট বানায় সেই লেখাপড়ার কি আসলেই কোন দরকার ছিলো?

লেখাপড়া শেখা মানেই মানুষের জন্য ভালোবাসার অনুভব টা বেশি কইরা জাগ্রত হওয়া, সিস্টেম টা এইরকম হওয়া দরকার ছিলো না?

#

ভারত পাকিস্থান একেবারে নাকে নাক লাগায়া দাড়ায়া আছে।
আমার খুব অবাক লাগে আমার অনেক শিক্ষিত বন্ধু বান্ধব একটা যুদ্ধ হইতেছে চিন্তা কইরা মুখে লোল জমায়া বইসা আছে!

এইটা কি ক্রিকেট ম্যাচ?
রিং এর মধ্যে হিংস্র বক্সিং? ফুটবল এর দুই চারটা ফাউল? ম্যাচ পাতানো?

ফর ইউর ইনফর্মেশন, এইটা যুদ্ধ হে মানব সমাজ।
পৃথিবীর সবচেয়ে অশ্লীল সবচেয়ে নোংরা কান্ড।

যুদ্ধ মানে জানেন তো?
বাংলাদেশি মানুষ হইয়া যুদ্ধের মানে জানবেন না, তাতো হওয়ার কথা না।

লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাবে, লক্ষ মেয়ে রেইপড হবে, লক্ষ লক্ষ বাচ্চা না খেয়ে থাকতে থাকতে মাটিতে মিশে যাবে!

চোখ মুছতে মুছতে একবেলার ভাতের বিনিময়ে নিজের আদরের সন্তান কে বেইচা দিয়া বাড়ি ফিরবে বাবা।

আইন থাকবেনা, ধর্ম থাকবেনা, খালি লাশ লাশ আর আহত মানুষের রক্তে ভইরা থাকবে পৃথিবী।

আপনি হাততালি দিবেন, ভারত জিতছে বা পাকিস্থান জিতছে বইলা?

যুদ্ধে কেউ জিতেনা।
যুদ্ধে পৃথিবীর সমস্ত মানুষ হারে , এই টুকু আপনি জানেন না?

ফেইসবুক থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:৩৭
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×