somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মুজিব রহমান
সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

গাছের আত্মা/প্রাণ কোথায় আছে?

৩০ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জগদীশচন্দ্র বসু গাছের প্রাণ আছে তার প্রমাণ করেন। যদিও গাছের প্রাণ তো আগে থেকেই ছিল, তিনি শুধু পরীক্ষা করে প্রমাণ করেন। কিন্তু প্রাণ গাছের কোথায় আছে? কিভাবে আছে? মানুষের ক্ষেত্রে না হয় বললাম, প্রাণ আছে হৃদপিণ্ডে বা মগজে। আসলে মানুষের ক্ষেত্রেও তা সত্য নয়। কিন্তু গাছের ক্ষেত্রে কি বলবো? কোষে কি প্রাণ আছে? তাহলে বলতে হয় প্রাণ কি? প্রাণ যদি আত্মা হয় তাহলে বলতে হবে, না গাছের প্রাণ নেই। বলতে হয় গাছও মানুষের মতো জীবন্ত।


প্রাণির শরীরের সবকিছুই কোষ দিয়ে গঠিত। কোষ গুলো একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে এক একটা অঙ্গ সচল রাখে, আর অঙ্গগুলো আমাদের সচল রাখে! সব মিলিয়ে একজন মানুষের শরীরে ৩৭ ট্রিলিয়ন কোষ আছে! কোষগুলোরই বেঁচে থাকতে পুষ্টি লাগে, অক্সিজেন লাগে। দম বন্ধ হলে কোষগুলো সচল থাকে না। ফলে মৃত্যু ঘটে প্রাণির। এই এতগুলা কোষের ক্রিয়াকর্মের কারণেই প্রাণি তথা মানুষ বা উদ্ভিদ বেঁচে আছে।কোষগুলোর সামগ্রিক কর্মকাণ্ড মিলেই একটি প্রাণি বা উদ্ভিদ সচল থাকে।

কোষগুলোতে আসলে কি আছে? কোষগুলোর কিছু কমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তারপরও মোটাদাগে উদ্ভিদ কোষ আর প্রাণি কোষের মধ্যে পার্থক্য থাকায় তা দুইভাগে ভাগ করা হয়। একটি গাছের কোষের সাথে একজন মানুষের কোষের মধ্যে বিপুল পরিমাণ মিল রয়েছে যা বিস্ময়কর। জীবন পরিচালনার জন্য শক্তির প্রয়োজন। সবুজ গাছপালা সেই শক্তি পায় সূর্যালোক থেকে। বাকি সকল প্রাণি শক্তি পায় ওই গাছপালা থেকে। যেমন মানুষ শস্য বা ফল-মূল থেকে শক্তি পায়। আবার অন্য প্রাণি যারা গাছপালা থেকে শক্তি পায় তাদের খেয়েও শক্তি সংগ্রহ করে। তাহলে বলা যায় সকল শক্তির উৎস হল সূর্যালোক। সবুজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণের জন্য আলোক অপরিহার্য। সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। পাতার ক্লোরোফিল অণু আলোকরশ্মির ফোটন শোষণ করে শক্তি সঞ্চয় করে।জীবন পরিচালনার জন্য জীবকোষে প্রতিনিয়ত হাজারো রকমের জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া চলতে থাকে। উদ্ভিদ খাদ্য তৈরি করতে না পারলে উদ্ভিদ দেহে প্রয়োজনীয় শক্তির সংবন্ধন ঘটবে না। এতে করে উদ্ভিদ বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় বিপাকীয় প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে পারবে না। উদ্ভিদ দেহের সমস্ত জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো আর চলতে পারবে না। ফলে উদ্ভিদের খাদ্য প্রস্তুত, বুদ্ধি, পরিবহন, প্রজনন সবকিছুই বন্ধ হয়ে যাবে। পরিণতি মৃত্যু। মানে প্রাণ (?) বেরিয়ে গেল? সেটা বলা যায় না।আবহকাল ধরে প্রাণির বেঁচে থাকার জন্য যে প্রাণ কল্পনা করা হয়েছে প্রকৃতপ্রস্তাবে সেই প্রাণ বলতে কিছু নেই, সেই প্রাণের দরকারও নেই। কোষের সমন্বিত প্রক্রিয়াই প্রাণিকে সচল রাখে, প্রাণ রুপে কোন আত্মা নয়।


জগদীশচন্দ্র বসু সবসময় জীব ও জড়ের মধ্যে ঐক্যের সন্ধান খুঁজতেন। সেটা করতে গিয়ে তিনি বিশ্বকে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে। তিনি তারই আবিষ্কৃত ক্রেস্কোগ্রাফ যন্ত্রের সাহায্যে প্রমাণ করেছিলেন উদ্ভিদের প্রাণের অস্তিত্ব। প্রাণের অনেক অর্থ- আত্মা, মন, জীবনীশক্তি, জড় নয়। প্রাণির মতোই উদ্ভিদও সাড়া দেয়, তারও অনুভূতি আছে, জগদীশ সেটাই প্রমাণ করেছিলেন। মানে হল উদ্ভিদও প্রাণির মতো জীবন্ত, জড় নয়। স্কুল জীবনে যখনই পড়তাম উদ্ভিদের প্রাণ আছে, মনে হতো উদ্ভিদের আত্মা আছে! মনে হতো গাছ মারা গেলে তার আত্মাও পরমাত্মার সাথে মিশে যায় বা বিলীন হয় বা নির্বাণ লাভ করে। জীবন্ত কোষের বাইরে একটি কেঁচোর যেমন কোন আলাদা প্রাণবায়ু/পঞ্চবায়ু বা আত্মা নেই, মহিষের নেই, গাছেরও নেই।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:৪০
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×