somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মুজিব রহমান
সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

টানা পড়ে রেকর্ড করেছিলাম যে বই!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমার টানা পড়ার রেকর্ড বিমল মিত্রের ‘সাহেব বিবি গোলাম’ উপন্যাস। সকাল ১০টার পড়তে বসে, রাত ২টায় শেষ করেছিলাম প্রায় সাড়ে ৪শ পাতার বইটি। ছাত্রাবস্থায় হলে থাকার কারণেই সম্ভব হয়েছিল। ১৯৯১ সালে বইটি পড়ি বিমল মিত্রের মৃত্যুর সংবাদ শোনার পরে। তিনি বইটি লিখেছিলেন ১৯৫৩ সালে। যদিও কাহিনী ১৯১২ সাল পর্যন্ত। ধনাঢ্য ব্যবসায়ী জমিদার সাহেব, বাড়ির ছোট বউ হল বিবি-যে চেয়েছিল সত্যিকারের স্ত্রী হতে যেখানে থাকবে সুখ, সম্ভোগ, রোমান্সময় এক দাম্পত্য জীবন, আর মোহিনী সিঁদুরের কেরানী গোলাম ভুতনাথ ক্ষয়িষ্ণু জমিদার বাড়িতে আসেন দূরের গ্রাম থেকে তারই এক আত্মীয়ের কল্যাণে। সেই গ্রামেই একদিন জমিদারবাবু নিজের সুন্দরী কন্যা জবাকে শিশুকালে বিয়ে দিয়েছিলেন ব্রাহ্মণপুত্র অতুল চক্রবর্তীর সঙ্গে। পছন্দের পাত্রের সাথে জবার বিয়ে চূড়ান্ত হওয়ার সময়েই জমিদার বিষয়টি প্রকাশ করেন এবং ভুতনাথকেই দায়িত্ব দেন অতুল চক্রবর্তীর খোঁজ আনার। ভুতনাথ কেঁপে উঠেছিল। সে জানে তাঁর নামই অতুল। মিলে যায় গ্রামের নাম এবং পিতার নামও। কিন্তু এই বিয়ের কথা তার মনে নেই অথবা আবছা মনে আছে। তবুও তিনি খোঁজ করতে যান। ভুতনাথ অতুলের ভুয়া মৃত্যু সংবাদই প্রকাশ করেন। অথচ জবা যখন জেনেছিল তার স্বামী রয়েছে সেটা মেনেও নিয়েছিল। ভূতোনাথ প্রথমে চিঠি লিখে জানিয়েছিল পরে সাক্ষাতে জানায়। প্রেমিকের সাথে বিয়ের আহবান জানায়। জবার অস্বস্তি দেখে নিজেই উদ্যোগী হয়ে বিয়ে সম্পন্ন করে দেয়। কতো আগের পড়া তবুও দুর্বল কিন্তু অসাধারণ চরিত্র ভুতনাথের কথা মনের গহীনে রয়েছে। জবার সাথে তাঁর আরেকবার বিয়ে কি সম্ভব ছিল? এ উপন্যাসটি লেখক লিখেছেন আর বিয়ে না করা ভূতোনাথের কাছ থেকে গল্প শুনে। এ উপন্যাসের মূল নারী চরিত্র জবা নয়- ছোট বৌঠান!মোহিনী সিঁদুরের বিজ্ঞাপনে সব সমস্যার সমাধানের নিশ্চয়তা থাকতো। কিন্তু মালিক পক্ষের পরিবারের ভিতরে বাইরে থাকা কোন সমস্যাই এই সিঁদুর দূর করতে পারেনি। বড়বাড়িটি হাতছাড়া হয়ে যায়। সবাই বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। থেকে গিয়েছিল সেই ছোট বৌঠানই। ভূতোনাথ বাড়ি ভাঙ্গা তদারকি করতে এসে পেয়েছিল একটি কঙ্কাল! সেটি ছোট বৌঠানেরই।


আমার পড়া বৃহৎ বইয়ের মধ্যে বিমল মিত্রের ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ অন্যতম। ওটা সাহেব বিবি গোলামের চেয়েও অনেক বড়, পড়তে সময় লেগেছিল ৭দিন। পাবলিক লাইব্রেরিতে সকালে ঢুকতাম, লাইব্রেরির লোকেরা বেরিয়ে যেতে বললে বের হতাম। এখন ৪/৫শ পৃষ্ঠার বই পড়তেই ৭দিন লেগে যায়। রিভারগড ও দ্য দা ভিঞ্চি কোড পড়তে এমন সময় লাগে কারণ দিনে অফিস থাকে রাতে পড়তে হয় আর শুক্র-শনিবার। সাথে বিভিন্ন কাজ করতেই হয়। গত বছর ‘নাস্তিক পণ্ডিতের ভিটা অতীশ দীপঙ্করের পৃথিবী’ পড়েছি টানা ৪দিনে। অফিস থেকে ফিরেই ফাঁকা কক্ষে পড়লে ভাল মতোই পড়া যায়। করোনাকালে রিভারগড ও ভিঞ্চিকোডের সিরিয়ালগুলো পড়তে পেড়েছি।সংসারের মধ্যে থেকে বেশি পড়া সম্ভব হয় না। আবার টানা পড়তে না পারলে বই পড়ে মজা পাওয়া যায় না। টানা পড়ার সময় চরিত্রগুলো সঠিক মনে থাকে ও রসাস্বাদন হয় পরিপূর্ণভাবে।
কিছু বই এখনো পড়া হয়নি। আগ্রহ আছে পড়ার। যেমন অশোক মিত্রের ‘তিন কুড়ি দশ’। শুনেছি এর দ্বিতীয় খণ্ডে বিক্রমপুরের কথা লেখা হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫২
১৩টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×