গত ২৯ শে সেপ্টেম্বর মুহম্মদ জাফর ইকবাল একটি কলাম লিখেছেন,যার শিরোনাম ছিল,''অস্ট্রেলিয়ায় ঝটিকা সফর''
এক পর্যায়ে পৃথিবীর বাসযোগ্য শহর মেলবোর্নের বর্ননা দিতে গিয়ে,বাস অযোগ্য শহর হিসেবে ঢাকা দ্বিতীয়তম উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন,''আমার ধারনা যারা বাসের অযোগ্যতার সার্টিফিকেট দেন তারা মে মাসের ৫ তারিখে ঢাকা শহরে হেফাজতে ইসলামের তান্ডব দেখার সুযোগ পেলে প্রথম পুরষ্কারটা নির্ঘাত দামেস্ককে না দিয়ে,ঢাকা শহরকে দিয়ে দিতেন''
উনার ইসলাম বিদ্বেষী ভাবটা এখানেই ফুটিয়ে তুলেছেন।
হেফাজতে ইসলাম তসবিহ হাতে যখন মাঠে নামে,প্রতিরোধ করে আবার রাতের আধারে গুলি খেয়েও মরে,সেটাই উনার কাছে তান্ডব!
কিন্তু আওয়ামীলীগ যখন লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ খুন করে,সেটা উনার কাছে একশত ভাগ জায়েয!!
খুনি বাপ্পা দিত্য বসুর সাথে এক মন্ঞে বসতেও উনার চুলকানি উঠেনা।
যখন বিশ্বজিৎকে মারা হয় সেটাও উনারা জায়েয করে দেন।ছাত্রলীগ যুবলীগের তান্ডবে যখন শিশু আরমানকে মরতে হয়,সেটাও উনাদের কাছে তান্ডব মনে হয়না।
আবার যখন দলীয় ভিসিকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় তখন উনার লজ্জা রাখার জায়গা খুজে পাননা।
কিন্তু শিক্ষকদের উপর যখন মরিচের গুড়া স্প্রে করা হয় তা উনারা দেখেন না।
উনাদেরই সামনে যখন শাবিপ্রবির ভিসির বাসায় অবরুদ্ধ করে আগুন দেয়া হয়,সেটা বৈধ!কারন সেখানে তো কাকের মাংস কাকে খায়না,সেখানে কাকের মাংস শকুনে খায়।
আগে ভাবতাম যে উনি একজন শিক্ষক,লেখক ও বুদ্ধিজীবী।উনি হবেন যুব প্রজন্মের আদর্শ।কিন্তু একচোখা নীতির কারনে প্রতিনিয়তই হচ্ছেন বিতর্কিত।
হেফাজতে ইসলাম যখন প্রতিরুধ করে,আর সেটা হয় বাস অযোগ্য শহর হিসেবে প্রথম হওয়ার মত তান্ডব,তাহলে লগি বৈঠার খুনি আওয়ামীলীগের এটা কি?
ছাত্রলীগ যুবলীগের চাঁদাবাজি,টেন্ডারবাজি,বোমাবাজি,দখল,ত্বকি।আরমান,বিশ্বজিৎ মিল্কি হত্যা,সন্ত্রাসি কর্মকান্ড,ছাত্রলীগের মানিক,পান্নাদের ধর্ষনে সেন্চুরী,এগুলোকি উনার কাছে বাসযোগ্য শহরের বৈশিষ্ট্য?
হেফাজতের কারনে যদি বাস অযোগ্য শহরের মাঝে ঢাকা প্রথম হত,তাহলে যে সরকারের কারনে আজ ঢাকা দ্বিতীয় হয়েছে সে সরকারের কেন সমালোচনা করেননা??
এটা কি একচোখা নীতি নয়?
জনাব মুহম্মদ জাফর ইকবালের মনে রাখা উচিত যে,একচোখা নীতিতে রাজনীতিবিদ হওয়া যায়,আবার রাজনীতিবিদদের দালালও হওয়া যায়,কিন্তু যুব প্রজন্মের আদর্শ হওয়া যায়না।যে আদর্শ হতে পেরেছেন উনারই ভাই হূমায়ুন আহমেদ স্যার।