গতকাল রাতে এবং আজ সকালে দু দুটো মর্মান্তিক দূর্ঘটনা হতে হতে হয় নি।।ঘটনাগুলো আমার চোখের সামনেই ঘটেছে এবং ঘটনার আকস্মিকতায় আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
প্রথম ঘটনাটি গতকাল রাতের। চাষাড়া রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন সড়ক। ট্রেন আসবে বলে ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হয়েছে। আমি একটা ব্যারিকেডের পাশেই রিকশায় ছিলাম। তখন দেখলাম আমার রিকশার পাশ দিয়েই এক দম্পতি তাড়াহুড়ো করে রেললাইন পার হওয়ার চেষ্টা করছিলো।কিন্তু তারা পার হবার আগেই ট্রেন এসে যায় তাদের কাছাকাছি। এই অবস্থায় দম্পতির পুরুষ সঙ্গী ছিলেন লাইনের ভেতরে এবং মহিলা তখন লাইনের ওপর এক পা দিয়েছেন।তখন মহিলার হঠাৎ মনে হয় তিনি পার হতে পারবেন না।তখনই পুরুষের শার্ট টেনে ধরেন তিনি।কিন্তু পুরুষটি প্রায় পার হয়ে গিয়েছিলেন।তাই তিনি মহিলাকে জোরে ধাক্কা দিয়ে নিজেও বাইরের দিকে ঝাঁপ মারেন।ফলে দুইজনই বেঁচে যান। পাশেই এক মুরুব্বি ছিলেন।তিনি পুরুষটির দিকে এগিয়ে যান এবং জিজ্ঞাসা করেন তিনি ঠিক আছেন কিনা।পুরুষটি ঠিক আছি বলার সাথে সাথেই মুরুব্বি পুরুষটির বামগালে কষে একটা চড় মারেন তার বোকামির জন্য।আর এক সেকেন্ড দেরি হলেই দুজনেই কাটা পড়তেন ট্রেনের নিচে।
আজ সকালে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ মহাসড়কে শিবুমার্কেট এলাকায় তাড়াহুড়ো করে রাস্তার মাঝখান থেকে বাসে ওঠার সময় দুই বাসের মাঝে চাপা পড়ে যান এক লোক।যদিও তিনি জীবিত ও অক্ষত। তবে পাজড়ে বেশ ভালো চাপ খেয়েছেন।হয়তো হাড় দুয়েকটা ভেঙেছে।তবে তিনি যেভাবে দুই বাসের মধ্যে আটকে গিয়েছিলেন তাতে যে তিনি বেঁচে ফিরেছেন সেটাই তার ভাগ্য।
আমরা যারা গণপরিবহনে বা ব্যস্ত রাস্তায় যাতায়াত করি আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। ভুল করলে সংশোধন করা যায়, কিন্তু মরে গেলে আর ফিরে আসা যায় না। দেরি হয়ে গেলে হয়তো আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো।কিন্তু আমরা বেঁচে থাকবো। বেঁচে থাকাটাই বড় কথা।সময়ের চেয়ে জীবন গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৭