ইচ্ছা ও আক্ষেপ
------মতিয়ার রহমান দিপু
শৈশবে একবার ভেবেছিলাম মস্ত বড় কবি হব
কবিতাকে বুক পকেটে পুঁজি করে করে জয় করব প্রেম।
বিজয়ের আগেই সে প্রেম ধুলিসাৎএ গিয়েছে!
এই থেকে কবিতাকে বড্ড ভালোবাসি
নারীদের চেয়ে কবিতাই আমার যেন বেশি প্রিয়।
যারা আত্বছলনাময়ীর মত স্বপ্ন ফেরি করে,
তাদের কবিতায় কোন অধিকার নেই,
অধিকার নেই কোন স্বপ্ন দেখবার,
তবুও তারা মানুষের স্বপ্ন চুরি করে।
তারুণ্যে ভেবেছিলাম মস্ত বড় প্রেমিক হব
সেই থেকে প্রেমের মন্ত্র খুঁজেছি আজীবন।
বিশ্বাসের চাদর মুড়ি দিয়ে কিছু অসভ্য পশু
হৃদয়ের রক্ত খেয়েছে স্বর্থপরতায়।
তবুও তারা নাকি মানুষ হিসেবে দাবি করে মাঝে মাঝে,
আমি বলি “তোরা তো বেজম্মার দলে সমবেত”
তাহলেও তোদের বাঁচবার অধিকার আছে,
নয়ত বড্ড বেশি ক্ষমা পাবি তোরা।
শুনবি স্বার্থন্বেষীদের ভয়ানক আর্তচিৎকার
তখন তুই মুক্তি পাবি মৃত্যুর প্রয়াসে।
সব চাওয়া পাওয়া শেষে এখন আমি মানুষ হতে চাই।
বিলাসী পথিকের মত পথে পথে ঘুরতে চাই।
মাঝে মাঝে অসভ্যতার জুলন্ত লাশ দেখ মনে হয়;
পৃথিবীতে মানুষ পরিচয়ে সবাই জন্মাক।
আমরণ অনশনে ভেঙ্গে যাক অসভ্য কঙ্কাল
পশুরা সভ্যতার নিকটে আসুক মানুষ পরিচয়ে বাঁচুক।
অসভ্য শিঁকড় ছিড়ে নতুন পৃথিবী আসুক,
আজীবন সভ্য সুরে পৃথিবী সাজুক।
যাইহোক মানুষের মত করে অবিরত মানুষ আসুক।
বেজম্মার জাত ভুলে সকলে মানুষে মানুষ।