এখানে প্রকৃতি ঘুমিয়ে পড়ে খুব নিরবতায়
-----------মতিয়ার রহমান দিপু
এখানে প্রকৃতি ঘুমিয়ে পড়ে খুব নিরবতায়
এখানে কৃষ্ণচূড়া,শিমুল বকুল ফুটে থাকে সরল হিমতায় ,
কোন এক সন্ধ্যাই এখানে যদি সবাই চলে আসে
সবাই কবি হয়ে যায় এখানে সব রসে ভরে থাকে ।
জীবনের অনেক ঠিকানা এখানে লুকিয়ে থাকে
কবিতার সব কথা কবিরা এখানে এসে বলে ।
চলে যায় সময়,প্রহর,দিন মাস বছর ,
আরো বহু বহু বছর চলে যায়
এখানে প্রকৃতি ঘুমিয়ে পড়ে খুব নিরবতায় ।
পৃথিবীর সীমানা থেকে একটু দূরে
সবাই আসতে না পারে ,
এখানে সবাই সুন্দর নারী হয়ে আসে
ফুলের মালা বদল এখানে এসে তারা করে ,
এখানে প্রভুর থেকে অবিরত শান্তি ঝরে পড়ে
চাঁদের জোৎস্না থেকে,জোনাকি তাঁরার ঝরনা হয়ে ।
পৃথিবীর সব জরুরি কাজ এখানে ফুরায়
নারীর স্পর্শে প্রকৃতি ঘুমিয়ে রয় ।
নারীর কন্ঠে এখানে প্রকৃতির স্রেষ্ঠ অলঙ্কার শোভা পায় ।
পৃথিবীর সীমানা থেকে একটু দূরে
সবাই আসতে না পারে ।
এখানে সবাই জীবন্ত,অমৃত থাকে চিরোদিন
নারীর আলোতে চাঁদ দেখা যায় প্রতিদিন ।
এখানে বসন্ত থাকে সারা বছর
নারীর দুগন্ধে সব ফুল অকেজো গন্ধ সরলতায় ,
এখানে প্রকৃতি ঘুমিয়ে পড়ে খুব নিরবতায় ,
এখানে তারার বৃষ্টি হয়
জোনাকির জলে স্নান করে নারীরা অমৃত সুখ পায় ।
নারীর স্পর্শে ঝরনার পানি সুমধুর
নারীর সুধাতে জীবন্ত তৃপ্তি মধুর ।
এখানে প্রেমের জয় অবিরত
নারীর স্পর্শে এই পৃথিবী স্বর্গ ।
এ এক আজন্ম নতুন পৃথিবী বহুকাল ধরে
এ পৃথিবীর একটি গ্রহ শূধু সে নারী ,
তার আলোতে পৃথিবী জেগে থাকে অনন্তকাল ,
জেগে থাকে পৃথিবীর মাজে সে গ্রহ বহুকাল ধরে
কৈশরে,যৌবনে,বার্ধক্যের শীতল উত্তাপে ।
তবুও আজন্ম কাল ধরে নারী জেগে থাকে
প্রেমের পৃথিবীর উজ্জল গ্রহ হয়ে ।