ভালবাসার রঙধনু
প্রথম অনুচ্ছেদ
মোঃ মজিবুর রহমান (সাগর)
রঙধনুর মতো ভালবাার হরেক রঙ, যেন ক্ষনে ক্ষনে সিনেমার নায়ক নায়িকার মতো পোষাক বদল করে। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তেই ভালবাসা একের পর এক পরিবর্তীত রূপ ধারন করে। কখনও আদোরের আলতো সবুজ কোমল পরশ, কখনও লাল চোখের কঠিন শাসন, কখনও মান অভিমানের হলদে ভাব, কখনওবা আবার প্রিয়জন বিয়োগের কালো ছায়া। সেই যে শুরু হলো রঙ বদলের পালা, যেন থামতেই চায় না।
১৯৭২ সনের ৪ঠা এপ্রিল নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে অপুষ্টির অভিশাপ নিয়ে জন্ম হলো সাগর নামের একটি ছেলে। অসুখ-বিসুখ যেন লেগেই থাকে সারাক্ষন। বাবা-মা, দাদা-দাদী ও চাচা-চাচী সকলের অতি আদোরের একমাত্র ছেলে সন্তান সে। ভালবাসার সবুজ চাদরে জড়ানো এই সুখ পাখিটি সকলের হাতের উপরে বড় হতে লাগলো। তবুও অসুখ যেন তার পিছু ছাড়ে না। জ্বর, সর্দি, কাশি সব সময় লেগেই থাকে। বয়স তখন সবেমাত্র দুই বছর পেড়িয়ে তিনে পড়েছে। মা ও ছেলে একত্রে দুজনেরই গুটি বসšত দেখা দিল। সমগ্র শরীর ছেয়ে গেল গোটায়, গায়ে কাপড় জড়ানোর উপায় ছিল না। কলা পাতায় শুয়ে দিন কাটত তাদের। এ যাত্রায় দুজনেই বেচে গেল ভয়ংকর মৃত্যুর বিভিষিকা থেকে। অতপর জীবনের ভয়ংকর এক কালো অধ্যায় হয়ে রইল এ বছরটি। দেখতে দেখতে কেটে গেল বাকি দুটি বছর। পঞ্চম বছরে পদার্পন করে বাবার কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিল বর্তমানে সেই সিডোর কবলিত এলাকা বঙ্গোপ সাগড়ের তীড়ে বরগুনা জেলার পাথর ঘাটা থানার একটি গায়েঁ। চলমান..........