somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডিস্টোপিয়া(Dystopia)

২৬ শে মে, ২০১৯ রাত ১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




লেখালিখি শুরু করছি আমি আমার এক শ্রদ্ধেয় স্যারের কথা দিয়ে,

“আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করি।যোগ্যতা থাক আর না থাক অনেক প্রিভিলেজেস ইনজয় করি।কিন্তু যারা নিম্নবিত্ত আছে... আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটা মোড় আছে।ঐ মোড়ে সকালবেলা ভোরের দিক থেকে ডালি এবং কোদাল নিয়ে মানুষগুলো বসে থাকে।মানে এরা দিনমজুরের কাজ করবে, লোকজন এসে ভাড়া করে নিয়ে যায়।তাই না? অতএব, তারা গা গোত্রে খাটে।এই লোকগুলোকে যদি বলা হয়, যে তুমি বম্বে পর্যন্ত, আফগানিস্তান পর্যন্ত, পেশোয়ার পর্যন্ত জায়গা ফাঁকা আছে তুমি কোথায় কাজ করতে চাও যাও।তার কি বাংলাদেশ মানবে? অতএব বাংলাদেশকে আমি যেভাবে দেখি ঐ দিনমজুর সেভাবে দেখে না।এখন আমার দেখবার তার উপর চাপিয়ে দিয়ে হয়তো আপাতত কাজ চালানো যাবে কিন্তু আজীবন কাজ চালানো সম্ভব নয়।”

অধ্যপক আবদুল্লাহ আল মামুন
ইংরেজি বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
নেতাজী সুভাষ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত- সেখানে তিনি এই কথাগুলো বলেন স্মৃতি, ট্রমাঃ ‘অপর’-এর ‘Other ক্ষেত্র সম্ভাবনা’ বত্তৃতা দেবার সময়।

চলে যাচ্ছি মূল প্রসঙ্গে...

“Big brother is wacthing you.”
- Geore Orwell(1984)

বই “1984”, যা লেখা হয়েছিলো ১৯৪৮ সালে, এবং খুব সম্ভবত ডিস্টোপিয়া নিয়ে এরচেয়ে ভালো বই পৃথিবীতে আর নেই।

এখন আসা যাক, আসলে ডিস্টোপিয়া কি?
ডিস্টোপিয়া হলো এমন এক কল্পিত পৃথিবী যেখানে আছে অসীম ভোগান্তি, অন্যায়-অবিচার, একজন শাসনকর্তা বা স্টেট হোল্ডার যাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী পুরো স্টেট পরিচালিত হয় সংক্ষেপে “টোটালিটারিয়ান”, এবং ধ্বংসাত্মক পাশাপাশি নিউক্লিয়ার যুদ্ধ নিয়ে জড়িত এমন একটি রাষ্ট্র।

অনুমান করা হয় ডিস্টোপিয়া নিয়ে সর্বপ্রথম “We(1924)” নামক একটি রাশিয়ান উপন্যাসে বিষয়টি নিয়ে লেখা হয়।বইটি লিখেছেন “ইয়েভগেনি জামেয়েতিন” এবং ইংরেজিতে বইটির অনুবাদ করেন “গ্রেগরি জিলবোর্গ”।এছাড়া “Brave New World(1931)” বইটিও ডিস্টোপিয়া নিয়ে লিখা একটি বিখ্যাত বই।

যেহেতু আমি “1984” এবং “The Giver(1993)” বই দুটো পড়েছি তাই কিছু রিভিউ সহ ব্যক্তিগত মতামত এবং ব্যক্তিবিশেষের রেফারেন্স টানার চেষ্টা করবো।
১৯৮৪ বইয়ে একটা কথা আছে,

“Everybody belongs to everybody else.”

মানে সবাই সবার জন্য।যে যার সাথে ইচ্ছে মত সেক্স করতে পারবে।সেখানে কোন বাবা-মা থাকবে না, প্রেমিক-প্রেমিকা তো দূরের কথা।এখন আপনি যদি কোন একজনের কাছে যান এবং আপনার পিতার পরিচয় থাকে সেটাকেই বরং নোংরা হিসেবে ধরা হয়।তবে এখানে একটু দ্বন্দ্ব আছে, আমার কাছে যেটা ইউটোপিয়া(ডিস্টোপিয়ার বিপরীত) সেটা অন্যর কাছে ডিস্টোপিয়া মনে হতে পারে।উদাহরণস্বরুপ ধরুণ, রোহিঙ্গা ইস্যু।যা মিয়ানমার মনে করছে আমরা তাড়িয়ে দিয়ে ভালো করেছি, আর বাংলাদেশ মনে করছে এটা এক নতুন সমস্যা।আমি শুধু সাইকোলজির ব্যাপারটা লক্ষ্য করে বললাম।যাইহোক, এই বইয়ে দেখানো হচ্ছে সর্বক্ষণ সর্বত্র ক্যামেরা এবং ডিজিটাল মনিটর দিয়ে সবাইকে রাষ্ট্র পরিচালক(বিগ ব্রাদার) মনিটরিং করছেন।মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই দুনিয়ায় থট্ পুলিশ নামক এক ধরণের পুলিশ আছে।এবং আপনি কি করছেন তারচেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনি কি ভাবছেন।আর থট্ পুলিশের কাজ-ই হলো সেই ব্যাপারটা নজরদারীতে রাখা।এমনকি ছোট ছোট বাচ্চাদেরও বলে দেয়া হয় যে, তোমার বাবা-মা ঘুমের ঘোরে কি বলছেন তাও লক্ষ্য রাখতে।একজন সাধারণ মানুষ তার ঘরে নিজের প্রত্যহ দিনের রুটিন লেখার জন্য একটা ডায়েরি পর্যন্ত রাখতে পারবেন না, কোন ধরণের বই তো দুরের কথা।ব্যাপারটা আরো সহজভাবে বলতে গেলে বলতে হয়, আপনি কি খাবেন? আপনি কি পড়বেন? আপনি কোথায় যাবেন? কেন যাবেন? কার কাছে থেকে কোন সেবাটি নিবেন? আর আপনি কি বলছেন? ইত্যাদি তার সবকিছু স্টেট হোল্ডারের প্রেসক্রাইপড্ করা থাকবে এবং আপনি সেটা মানতে বাধ্য।

আপনারা নিশ্চয় জানেন, এক মিনিট নীরবতা বা দুই মিনিটের নীরবতা আমরা এখন বাঙালীরাও পালন করে থাকি।মূলত এসব হলো ক্রিস্টিয়ান ধর্মীয় ট্রাডিশন যা ওয়েস্টার্ণ মানতো বা মানে, ভারতীয় উপমহাদেশ এটা কতখানি মানে তা নিয়ে আমার একটু সন্দেহ আছে।কিন্তু আমরা বাঙালীরা মানছি এবং এটা কেন মানছি সেটা খুব সম্ভবত আমরা নিজেরাও জানিনা।যাকগে, এই সাইলেন্স বা নীরবতার অর্থ হলো, কোন বিশেষ ব্যক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।এটা অনুষ্ঠিত হয় মূলত সকালবেলা যিনি মাত্র মাত্র মারা গেছেন তার জন্যে।অনেকে বলেন, এতে করে সেই ব্যক্তির আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।কিন্তু যদি আপনি “১৯৮৪” বইটি পড়ে থাকেন তাহলে সেখানে পাবেন, “দুই মিনিটের ঘৃণা”।এতে করে লাভ কি? লাভ হচ্ছে, মানুষের মনস্তাত্ত্বিক বিষয় নিয়ন্ত্রণে থাকে।আবার ধরুণ, উইকলি হেইট সেশন উদযাপন করা হচ্ছে।যারা এখানে অংশ নিচ্ছে তাদেরকে আদর্শ ধরা হচ্ছে এবং যারা অংশগ্রহণ করছে না তাদের নোংরা মনে করা হচ্ছে এবং শাস্তির আওতায়ও আনা হতে পারে।কারণ, আপনি যদি কোন জঙ্গীদের আস্তানায় অবস্থান করেন তাহলে খুব সম্ভবত সেখানে প্রতিনিয়ত গোলাগুলি এবং মানুষ ঘুন হতে থাকবে।আর আপনি যখন এত এত লাশ দেখবেন তখন ব্যাপারটা আপনার কাছে নিয়মিত এবং সহজ হয়ে যাবে।আমার মনে হয়, ১৯৮৪ বইটিতে এই দুই মিনিটের ঘৃণা মানুষের মনস্তাত্ত্বিক দিকটাকেই নিয়ন্ত্রণ করে চলছে।এছাড়া এই স্টেটে সমস্ত ইন্সটিটিউট, সমস্ত অফিস মনিটরিং করা হচ্ছে।তবে, এখানে ড্যাবল থিংকিং আছে, কারণ যেটা কারো আছে ইউটোপিয়া বলে মনে হচ্ছে সেটা অন্য কারো কাছে ডিস্টোপিয়া বলে মনে হতে পারে।উদাহরণস্বরুপ ধরুন, যুক্তরাষ্ট্রে লেসবিয়ান বা গে বা সংক্ষেপে LGBTQ নিয়ে কোন সমস্যা নেই, বরং বেশ খোলাখোলি ব্যাপার লক্ষ্যণীয়।এমনকি ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া “কল মি বাই ইওর নেইম” একটি গে সিনেমা অস্কার পায় তখন বুঝা যায় তাদের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা।অন্যদিকে এই একই কথা বাংলাদেশে শুধু বললে সবাই বলবে, “এরকম আবার হয় না কি!” উপর্যুপরি এই প্রশ্ন জুতা পেটা খাবার একটা কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে।

যাইহোক, ঐ রাষ্ট্রে মাত্র একটাই চ্যানেল চলবে।এমনকি আপনার অঙ্গভঙ্গি পর্যন্ত খুব সুক্ষ্মভাবে লক্ষ্য করা হয়।ধরুণ, আপনার স্মৃতি বলছে গতকাল একটা পার্টিতে ছিলেন।সেখানে আপনার কিছু ফটোও আছে।এখন যদি বিষয়টি স্টেট হোল্ডারের জন্য আপত্তিকর হয় তাহলে বিগ ব্রাদার বলবে, আপনার কোন অস্তিত্বই নেই।কারণ আপনার অতীতের সব রেকর্ড মুছে দিয়ে সেখানে নতুন করে নতুন রেকর্ড যুক্ত করার ক্ষমতা তাদের রয়েছে।এর ভালো ব্যাখ্যা, ১৯৮২ সালে মুক্তি পাওয়া “ব্লেড র্যা নার” এবং সদ্য মুক্তি পাওয়া মুভি মানে ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া মুভি “এ কোয়াইট প্লেস” দুটো মুভি দেখলেই বুঝতে পারবেন।এছাড়াও ১৯৮৪ বইটিতে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া আছে।সেসব হলো,

মিনিস্ট্রি অব ট্রুথ
মিনিস্ট্রি অব পিস
মিনিস্ট্রি অব লাভ
মিনিস্ট্রি অব প্লেন্টি ইত্যাদি।

এই ডিপার্টমেন্ট সম্পর্কে শুনতে খুব ভালো লাগছে কিন্তু মিনিস্ট্রি অব পিস কোনভাবেই শান্তি বহন করে না।ভয়ংকর ব্যাপার হলো, বাকি ডিপার্টমেন্টও এভাবে কাজ করে।এখানে ভাষার ব্যবহারও লক্ষ্য করা যায়, যা অত্যন্ত হাস্যকর,

“It’s beatiful thing, the destruction of words. Of course the great wastage is in the verbs and adjectives.”

এখানে good/execellent/splendid এর পরিবর্তে good/plusgood/doubleplusgood ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।

এবার, The Giver(1993) লিখেছেন লুইস লরি, এখানেও তিনি ধার করা কনসেপ্ট-ই ব্যবহার করেছেন কিন্তু অবশ্যই একটু অন্যভাবে।তবে এই স্টেটে দুটো ব্যাপার থমকে দেবার মত, এক- রিলিজ দেওয়া; যেটা উপন্যাসের প্রথম দিকে দেখানো হলো পজিটিভ ভাবে কিন্ত শেষে যখন বুঝবেন যে রিলিজ দেওয়া মানে মেরে ফেলা।বা স্টেট থেকে চিরবিদায় জানানো।কারণ সেখানে কোন দূর্বল/প্রতিবন্ধী/অসুস্থ মানুষ থাকতে পারবে না।কারণ সবাইকে সুস্থ রাখতে গেলে এটা করা জরুরী।আর দুই- সবাইকে নার্কোটাইজ(মাতাল) করে রাখা যাতে কেউ আবেগী হয়ে উঠতে না পারে।কারণ আবেগ থেকেই মায়া এবং ভালোবাসার জন্ম নিবে যা এই স্টেটকে বি-কেন্দ্রিক করে ফেলতে পারে/দিতে পারে।এছাড়াও ফেলে আসা পৃথিবীর একজন মেমোরি হোল্ডার যার ভূমিকাও অসাধারণ ছিলো এই উপন্যাসে।কারণ, যুগ যুগ ধরে একটা মিথ্যে দিয়ে হয়তো এই স্টেট চালানো যাবে না।অন্তত একজন সত্যটা জেনে থাকুক।যে পরবর্তি সময়ে স্টেট পরিচালনার অংশগ্রহণ করুক অথবা অন্য কাউকে সেই মেমোরি ট্রান্সফার করে দিক।

আজ আপনি-আমি যে গোগল, ফেসবুক, ইনস্ট্রাগ্রাম, গোগল ম্যাপ, ইউটিউব, হোয়াটস্ এ্যাপ, ইমো ইত্যাদি যাবতীয় সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সহ বিভিন্ন ইন্টারনেট ভিত্তিক বিভিন্ন ধরণের ওয়েবসাইট ব্যবহার করছি সেক্ষেত্রে কে বলতে পারেন যে, আমাদের দেয়া এই তথ্য চুরি হচ্ছে না? আমাদের বলা কথা রেকর্ড হচ্ছে না? আমাদের টেক্সট ম্যাসেজগুলো রেকর্ড হচ্ছে না?
অথবা স্যাটেলাইট আমাদের মঙ্গলের জন্যই বুঝলাম।কিন্তু আপনি খোলা কোন এক পাবলিক টয়লেটে হিসু করছেন সেটাও যে দেখা সম্ভব এটা আমরা কে জানিনা! এতে করে কি আমাদের প্রাইভেসির বারোভাজা হয়ে যাচ্ছেনা! তার গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি-ই কোথায় পাবেন? ধরলাম আপনি একজন বিশ্বস্ত প্রেমিক কিন্তু রাতেরবেলা আপনার প্রেমিকার খোলা দেহ(নিউড বডি) দেখার ইচ্ছে জাগার কারণে আপনার প্রেমিকা সেটা দিয়ে দিলেন।এখন কে বলতে পারেন সেটা কোন পর্ন ওয়েবসাইট কিনে নিচ্ছে না? বা এই যে গোগল ড্রাইভ ব্যাক-আপ সহ এ ধরণের অনেক ব্যাক-আপ রয়েছে ইন্টারনেট সেবায়- এখন এখানে আপনি আর আপনার প্রেমিকার সঙ্গমের ভিডিও যত্ন সহকারে তুলে রাখছেন।এখন কে বলতে পারে সেই ভিডিওটি চুরি করে কোন পর্ন সাইটে যাবে না? বা কেউ দেখবে না? অথবা ফোনকলে বলা কথাগুলোর ব্যাপারে অন্তত নিরাপত্তা কোথায়!

ডিস্টোপিয়া নিয়ে এ পর্যন্ত বেশ কিছু বই লেখা হয়েছে এবং সিনেমা পর্যন্ত তৈরি হয়েছে।এমনকি বাংলা চলচ্চিত্রেও এমন দু’একটি উদাহরণ মিলে যাওয়া কঠিন কিছু নয়।একনজরে ডিস্টোপিয়া নিয়ে লেখা বইগুলো,

১. 1984 (1949)
২. Brave New World (1932)
৩. Fahrenheit 451 (1953)
৪. The Handmaid's Tale (1985)
৫. A Clockwork Orange (1962)
৬. Do Androids Dream Of Electric Sheep? (1968)
৭. The Road (2006)
৮. The Drowned World (1962)
তথ্যসূত্রঃ গোগল

এছাড়াও আরো অসংখ্য বই লেখা হয়েছে এবং বর্তমানেও হচ্ছে।এখন দেখা যাক, ডিস্টোপিয়া নিয়ে নির্মিত সেরা সিনেমাগুলোর নাম একনজরে,

১. 1984 (1984)
২. Battle Royale (2000)
৩. The City of Lost Children (1995)
৪. Soylent Green (1973)
৫. The Trial (1962)
৬. Twelve Monkeys (1995)
৭. THX 1138 (1971)
৮. Minority Report (2002)
৯. They Live (1988)
১০. The Matrix (1999)
১১. Gattaca (1997)
১২. Brazil (1985)
১৩. Fahrenheit 451 (1966)
১৪. The Road Warrior (1981)
১৫. Children of Men (2006)
১৬. Dark City (1998)
১৭. A Clockwork Orange (1971)
১৮. Akira (1988)
১৯. Metropolis (1927)
২০. Blade Runner (1982)
তথ্যসূত্রঃ আই.এম.ডি.বি ডট কম

এখন হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ডিস্টোপিয়া যদি এত-ই ধ্বংসাত্বক হয় তাহলে এটা নিয়ে বই লেখা বা মুভি বানানোর কি দরকার?
আমি বলবো দরকার আছে।কারণ যখন আপনি খারাপটা কি উপলব্ধি করতে পারবেন তখন ভালোটা বেছে নিতে আপনার জন্য অনেক সুবিধে হবে।তবে এই ভালো বা খারাপের অভিজ্ঞতা একেক জনের একেক রকম হতে পারে, অন্যদিকে যেহেতু আমরা সবাই মানুষ সেহেতু মিলিত বা নিয়মিত একটা উপসংহারে হয়তো পৌঁছাতে পারবো এবং এই ধ্বংসযজ্ঞকে ঠেকাতে পারবো, অন্তত এড়িয়ে যেতে পারবো।

ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:০০
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×