somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মি. বিকেল
আমি মেহেদি হাসান, মি. বিকেল নামে পরিচিত। আমি একজন লেখক, অভিনেতা, সমাজকর্মী, রেডিও জকি, ওয়েব ও অ্যাপ ডেভেলপার, সম্পাদক, উপস্থাপক, রক্তদাতা, এবং নাট্য পরিচালক। মাইক্রোসফটে ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত এবং গল্প বলা আমার প্রধান পরিচয়।

ছোটগল্প: অমরত্বের শেষ প্রহেলিকা (সায়েন্স ফিকশন)

০৭ ই মে, ২০২৫ রাত ১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



রাফি এমন এক পৃথিবীকে দেখছে যে পৃথিবীর সাথে তার পূর্বে কোনো সম্পর্ক ছিলো কিনা তার মনে নেই। চারপাশে আধুনিকতার ছোঁয়া আছে কিন্তু সবখানে যেন একধরণের শ্যাওলা জন্মেছে। এই পৃথিবীর রঙ ধূসর ও বিবর্ণ। কিছু কিছু জায়গায় বড় বড় দালান ও ব্রিজ ধ্বসে পড়েছে। সাথে কেউ একজন হাতটা ধরে আছে। ওর নাম ‘নীলা’। নীলার স্পর্শে আস্থার ছায়া স্পষ্ট।

রাফির জীবনের দীর্ঘসময়ে এমন বিশ্বস্ত মানুষের সাথে দেখা হয় নাই। একইসাথে নীলার চোখের নিচে কালো দাগ। খুব সম্ভবত নীলা চাইছে রাফির জীবনে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে জায়গা করে নিতে, কিন্তু বারবার চেষ্টা সত্ত্বেও সে ব্যর্থ হচ্ছে। নীলা কে দেখে রাফির বরং একটু মায়া-ই কাজ করে। এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে টিকে থাকার ক্ষেত্রে নীলা তূলনামূলক দূর্বল; অন্তত রাফির ধারণা সেটাই।

রাফি চায়, এই যুদ্ধটা ও একা করুক। বাইরের পৃথিবীর আবর্জনার সাথে নীলার পরিচয় করিয়ে দেবার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নাই। সময় সময় রাফি মনে করে, বাইরের পৃথিবীর যে অবিরত আক্রমণ তার সবটুকুই সে একা সমাধান করুক। বিশেষ করে রাফির ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা ও তা ঘিরে ব্যাপক সমস্যা। নো পার্টনারশিপ! কারণ যে কোন পার্টনারশিপ রাফিকে দূর্বল করে তুলতে পারে।

একদিন সন্ধ্যায় মায়িশা রাফি কে ফোন করে। দেখা করতে চায়, গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে। এই মায়িশা চরিত্র বেশ আকর্ষণীয় ও রিভেঞ্জফুল। রাফি কে বারবার তার জীবনে যদি কেউ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে সেটা হলো এই মায়িশা। একদিক থেকে দেখলে মায়িশা রাফির জীবনকে অনেক বেশি জটিল করে তুলেছে। অথচ, রাফির একটা তীব্র আগ্রহ আছে মায়িশার প্রতি। ওদের একে অন্যের সাথে যে প্রেম-প্রেম খেলা চলমান তা দুজনেই যেন খুব উপভোগ করে।

দীর্ঘ সময় পর রাফি ও মায়িশার দেখা। একটি ঘন জঙ্গলের মাঝখানে। পাশে একটা ঝর্ণাধারা আছে। অন্তত ত্রিশ মিনিট ওদের চুপচাপ সময় কেটে গেল। দুজনের মধ্যে কে কাকে বা কি দিয়ে কথা শুরু করবে বুঝতে পারছে না। গত কয়েকবছরে অনেক পরিবর্তনের সাক্ষী দুজনেই। তাদের ব্যক্তিকেন্দ্রিক এই গল্প কিছুটা হলেও ঝাপসা হয়ে গেছে বা, একপ্রকার মরে গেছে।

রাফি শুরু করলো: মায়িশা, নতুন কি ধরণের বদলা নিতে এসেছো? আমি এমনিতেও ভালো নাই। মায়িশা একটু রিভেঞ্জফুল কন্ঠে: তুমি তো বদলা নিয়েছো। এখন তুমি নীলার সাথে সামনে হাঁটছো। শুনেছি তোমরা একই ক্লাউডে নিজেদের সংরক্ষণ করবে?
রাফি: আমার মতে, এই পার্থিব জীবনের সবকিছুর জন্য একটা সীমা থাকা উচিত। এই যে প্রেম-প্রেম খেলা, ছেলেমানুষী ছেড়ে আমি একটি ম্যাচিউর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু তুমি আমার সিদ্ধান্ত এত দূরে থেকেও কীভাবে জেনে যাও!
মায়িশা: কি সিদ্ধান্ত! আমাদের বদলা ও পাল্টা বদলা তো নেওয়া হলো না! আর তুমি ক্লাউডের আশেপাশেও হয়তো আমাকে রাখতে চাইছো না। শোনো, তোমার কাঁচা সিদ্ধান্ত বুঝবার জন্য আমার টেলিপোর্টেশন ক্ষমতার দরকার পড়ে না।

রাফি: সিদ্ধান্ত এই যে, আমাদের মধ্যে তো হচ্ছে না। আমাদের মধ্যে সারাক্ষণ বিবাদ লেগেই থাকে। আমরা কাকে কীভাবে এবং কোথায় একে অন্যকে টক্কর দিতে পারি সে প্রতিযোগীতার-ই তো শেষ হয় না!
মায়িশা: কিন্তু তারমানে এই নয় যে, তুমি অপরিচিতা এক মেয়ের (নীলার) সাথে ক্লাউডে একসাথে থাকার চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে স্বাক্ষর করবে!
রাফি: ক্লাউড... ক্লাউড... এই ক্লাউড তো আমার বাপের না। টেকনোলজির একটি আশীর্বাদ মাত্র। সর্বশেষ আমি চাকুরী করতাম এক সার্ভেইল্যান্স টিমে। আমার সার্ভেইল্যান্স ড্রোন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং নীলা আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। আমরা একই টিমে ছিলাম। এরপর চাকুরীটাও চলে যায় আমার অদক্ষতার জন্য। ক্লাউডে রেজিস্ট্রেশন করতে যে এক হাজার বিটকয়েন লাগতো সেটাও নীলা-ই দিয়েছে!
মায়িশা: তুমি কি বলার চেষ্টা করছো? বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তুমি বিটকয়েন সংগ্রহ করতে। তোমার ওয়ালেট দেখে আমি সবসময় ঈর্ষান্বিত হতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলিংক সেবার নির্বাচিত ছাত্র ছিলে তুমি। একসাথে কতগুলো বিষয়ে পিএইচডি করেছো তার হিসাব শুধু তুমিই জানো। আর এখন হঠাৎ করে বলছো, চাকুরী চলে যাবার পর তোমার ওয়ালেটে মাত্র এক হাজার বিটকয়েন পর্যন্ত ছিলো না!

রাফি: ছিলো... এক হাজারের চেয়ে অনেক বেশিই ছিলো। আমি চাচ্ছিলাম অমরত্ব লাভ যদি করতেই হয় তাহলে আমার পুরো পরিবার সেটা উপভোগ করবে। সবাইকে ক্লাউডে রেজিস্ট্রেশন করার পর হাতে শুধু হাতখরচ ছিলো যা দিয়ে প্রতিদিন একটি ‘নীল’ ট্যাবলেট যোগান দিতে পারতাম।
মায়িশা: ‘নীল’ ট্যাবলেট! যা দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ করা হয়? অবশ্য বাংলাদেশ সরকারের এই ট্যাবলেট ভালো মানের। এই ট্যাবলেট নেবার পর অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় না, বিশুদ্ধ জল খোঁজার দরকার নেই আর সাথে তীব্র তাপদাহ সহন করাও সম্ভব হয়। কিন্তু তুমি যে ক্লাউডে রেজিস্ট্রেশন করেছো তার আশেপাশে কোন স্লট বাকি নাই কেন? এটা কি পরিকল্পিত নয়?

রাফি: ট্রাস্ট মি! মায়িশা, আমি সত্যিই জানি না। এর আশেপাশে বা একই স্লোটে আর কেউ থাকতে পারবে কি পারবে না সে বিষয়ে আমার কাছে তথ্য নাই। বললাম না, ক্লাউড আমার বাপের না!
মায়িশা: তুমি জানো... তুমি তো তোমার কাজিনদের ব্যাপারে এত অনাগ্রহী নও! তোমার একই স্লোটে একটা জায়গা আছে। আর সেটা হলো, তোমার এক কাজিনের স্ত্রীর। শুনেছি ও কে বিয়ে করলে আমি ঐ জায়গাটা পেয়ে যাবো। তারপর পার্থিব মৃত্যুর পর তোমার প্রতিবেশীতে রুপান্তরিত হবো। আর আসল বদলা নেবো ঠিক ওখানেই।
রাফি: এক সেকেন্ড... তুমি এবার শুধু ক্লাউডে জায়গা করে নেবার জন্য আমার কাজিন আরিফের সাথে জৈবিক সম্পর্কে জড়িত হবে? ছিঃ মায়িশা, আমি আবারও বলছি, সবকিছুর একটা সীমা থাকে। আমাদের সুখ-দুঃখেরও সীমা আছে। যা আমাদের মধ্যে হয়েছে তা স্মৃতি হিসেবে মুছে ফেলো। এসব কাজ এখন উপজেলা পর্যায়ে ফ্রি-তে করানো হচ্ছে।
মায়িশা: আর তুমি নীলার সাথে জৈবিক সম্পর্কে যাওনি তার গ্যারান্টি কি? বিয়ের বিষয়টি মাত্র একরাতের জৈবিক সম্পর্কের। আর আরিফের মত ছেলেদের আমার মত এমন বউ পাওয়া মানে স্বর্গে পাওয়া। আরিফের মত মানুষ বুদ্ধিতে খাটো না হলেও, মেয়েদের প্রতি ওদের দূর্বলতা স্পষ্ট। সুতরাং তোমার প্রতিবেশী হওয়া এখন প্রায় নিশ্চিত।

রাফি: আমি আসলে শব্দ হারিয়ে ফেলছি। একেতো তুমি আমার কাজিনকেই ফ্রেম করছো, খুব সম্ভবত আমার কাজিন যে আমাকে মন থেকে ভালোবাসে তার মনে বিষ ঢালতে যাচ্ছো। শোনো, আমি নীলার সাথে আজ পর্যন্ত কোনরুপ জৈবিক সম্পর্কের দিকে যাইনি। তুমি জানো সেজন্যও স্টেটের কিছু দিক-নির্দেশনা আছে। জৈবিক সম্পর্কে যেতে হলে ‘কামসূত্র’ কয়েন দরকার, ক্রিপ্টোক্যারেন্সি তে এই কয়েনের দাম প্রায় পাঁচশো বিটকয়েন।
মায়িশা: এক্সকিউজ মি! নীলা যদি এক হাজার বিটকয়েন; খুব সম্ভবত ওর এক জীবনের আয় দিয়ে তোমাকে ক্লাউডে রেজিস্ট্রার করাতে পারে। তাহলে অন্তত একটি ‘কামসূত্র’ কয়েন ক্রয় করে তা দিয়ে স্টেট থেকে যৌনতার টোকেন নিয়ে তোমরা যৌনতা করতেই পারো। সত্যিটা বলো?
রাফি: হুহ্... সত্যটা হলো, আমরা জৈবিক সম্পর্কে যাইনি। হ্যাঁ, আমরা কিছু অত্যাধুনিক সেক্সুয়াল ভি.আর গেমের সেবা গ্রহণ করেছিলাম ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যৌনতা করার জন্য। আর যদি সত্যিই জৈবিক সম্পর্ক করে থাকি তাহলে তোমার এত আপত্তি কেন? আমরা এমনিতেও তো কেউ কারো নই! কেউ কাউকে কোন প্রমিজও করি নাই!
মায়িশা: হাহা... তোমার চেহেরাটা দেখার মত ছিলো। কিন্তু বদলা আমি এভাবেই নেবো। তবে তোমার কাছে শেষ প্রশ্ন, তুমি নাকি পুরো ক্লাউড সিস্টেম নষ্ট করতে চেয়েছিলে? কেন? ক্লাউডে আমরা নতুন পৃথিবী পাই, নতুন করে বাঁচতে পারি। এই বিদ্রোহী রাফি কীভাবে তোমার মধ্যে জন্ম নিলো?

রাফি: ক্লাউড যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তা আমার কাছে মিথ্যা মনে হয়। আমরা নই, হয়তো আমাদের মত কেউ একটি নতুন গ্রহে থাকার পরিকল্পনা চলছে। এবং এই পরিকল্পনা এত বড় যা সংক্ষেপে ব্যাখ্যাযোগ্য নয়। আর যদি ধরেও নিই, ক্লাউড আমাদের ইমমরট্যাল বানাবে তাহলেও সেটা প্রাকৃতিক নয়, কৃত্রিম হতে যাচ্ছে।
মায়িশা: তাই বলে পুরো ক্লাউড সিস্টেম কে ধ্বংস করার চেষ্টা?
রাফি: হ্যাঁ, আর একারণেই রাষ্ট্র আমাকে টেরোরিস্ট মনে করে। আমার পরিবারের সকল সদস্যদের মেরে ফেলে জোরপূর্বক তাদের ক্লাউডে রাখা হয়েছে। কিন্তু তোমার কথাগুলো বিগ ব্রাদার্সের গুপ্তচরের মত মনে হচ্ছে।
মায়িশা: ছিলাম একসময়, এবং আমি পুরো ক্লাউড প্রক্রিয়া কাছে থেকে দেখেছি। ওরা সত্যিই আমাদের অমরত্ব দিতে যাচ্ছে। অবশ্য তোমার মত টেরোরিস্ট সেটা বুঝবে না। অনেকগুলো পিএইচডি করেছো বলে নিজেকে স্রষ্টা ভেবো না!

রাফি: নীলা আমার জন্য অপেক্ষা করছে, আমার রাতের নীল পীল টা নিতে হবে। আর তাছাড়া তোমার এই এবজার্ড কথোপকথন আমার মোটেই ভাল্লাগছে না।
মায়িশা: ওকে, দেখা হচ্ছে পরের পৃথিবীতে। এমনিতেই আর কয়েকমাসের মধ্যে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।
রাফি বিরুক্ত হয়ে: এখন আর কিচ্ছু আসে বা যায় না... তোমার যা খুশি তাই করতে পারো...

রাফি নীলার ড্রোনে উঠে প্রস্থান করে। অন্যদিকে মায়িশা অসহায়ের মত রাফির দিকে তাকিয়ে থাকে। একটা বিশাল শূন্যতা মায়িশার হৃদয়ে খেলে যায়। কিন্তু মায়িশা বিশ্বাস করে একরাতের একটি গর্হিত কাজ করতে হলেও ফের সে রাফিকে দেখতে পাবে, ও কে বিরুক্ত করতে পারবে কিংবা পুনরায় রাফির সাথে প্রেম-প্রেম খেলা জারি থাকবে। রাফির কাছে যাবার জন্য ক্লাউডে আস্থা এবং রাফির কাজিন আরিফকে বিয়ে করা ছাড়া মায়িশার হাতে আর কোন লিগ্যাল উপায় নাই।

ওদিকে নীলা নীল পীল হাতে নিয়ে রাফির জন্য অপেক্ষা করছে। নীলা জানে রাফি আর মায়িশার কথা। নীলা সবসময় মনেপ্রাণে চেয়েছে রিফার হৃদয়ে মায়িশার জায়গায় নিজেকে প্রতিস্থাপন করতে। একটি ট্র্যাকিং ডিভাইস দিয়ে নীলা এতক্ষণ ধরে ওদের কথাগুলো শুনছিলো। চোখে জল।

রাফি ফিরতেই নীলা কে বললো, “ফা*ক দ্য সিস্টেম! আমি তোমার সাথে একবার জৈবিক সম্পর্কে জড়াতে চাই, তুমি কি এতে রাজী?” নীলা প্রত্যুত্তরে বললো, “এতে আমাদের জেল হতে পারে, এমনকি মৃত্যুদণ্ড। স্টেট নতুন বাচ্চা চাইছে না বা বাচ্চা নেওয়ার চেষ্টা পর্যন্ত। অনেক কষ্ট করে তোমার নাম টেরোরিস্ট তালিকা থেকে হটিয়েছি। এসব জানলে স্টেট আমাদের জন্য ক্লাউড সেবা স্পন্সর করবে বলে মনে হয় না।”

এরমধ্যে হঠাৎ একটি ভিডিও মেসেজ এলো রাফির চশমার লেন্সে। মায়িশা আরিফকে বিয়ে করেছে। আজ ওদের বাসররাত। মায়িশা এত সেল্ফ-ডেস্ট্রাকটিভ হতে পারে তা হয়তো রাফির জানা ছিলো না। মায়িশা আর আরিফের বন্য যৌনতা জুম-ইন ও জুন-আউট করে দেখানো হচ্ছে। আরিফ তিক্ত হাসি হাসছে। দেখে মনে হচ্ছে, আরিফ কাজিন হলেও রাফির প্রতি ভালো ধারণা মোটেই পোষণ করে না। বরং আরিফ আসলে এসব রাফি কে দেখাতে চায়, বুঝাতে চায়, “রাফি তুমি এই প্রতিযোগিতায় হেরে গেছ।”

রাফি ভাবে ধীরে ধীরে কখন জানি সে তার কাছের কাজিনের কাছেও অপ্রসাঙ্গিক হয়ে গেছে, মূল্যহীন হয়ে গেছে। অবাক হয়, বিস্মিতও হয়। ওদিকে নীলা রাফির হাত শক্ত করে ধরে আছে। যেন রাফির কষ্টের ঢালস্বরূপ।

কয়েকমাস পর…

আজ রাফি, নীলা, আরিফ ও মায়িশা জেলা শহরের সবচেয়ে বড় ক্লাউড হাসপাতালে অবস্থান করছে। একটুবাদেই হেমলক দিয়ে ওদের মৃত্যু নিশ্চিত করা হবে। আর এর সাথে সাথেই সবাইকে ক্লাউডে প্রতিস্থাপন করা হবে। একজন নারী ডাক্তার এসে বললেন, “আপনাদের কারো কি কাউকে কিছু বলার আছে? চাইলে বলতে পারেন?”

রাফি এই প্রথমবার তার জীবনে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। আর বিড়বিড় করে বলতে শুরু করে, “Sweet Nila, make me immortal with a kiss...”

ছবি: Chatgpt (Ai)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০২৫ রাত ১:৩৩
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩

বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই

ছবি এআই জেনারেটেড।

ভিনদেশী আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সত্যের বজ্রনিনাদে সোচ্চার হওয়ার কারণেই খুন হতে হয়েছে দেশপ্রেমিক আবরার ফাহাদকে। সেদিন আবরারের রক্তে লাল হয়েছিল বুয়েটের পবিত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকারের বিয়াইন

লিখেছেন প্রামানিক, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৪


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

রাজাকারের বিয়াইন তিনি
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
ওদের সাথে দুস্তি করায়
যায় না রে সম্মান?

কিন্তু যদি মুক্তিযোদ্ধাও
বিপক্ষতে যায়
রাজাকারের ধুয়া তুলে
আচ্ছা পেটন খায়।

রাজাকাররা বিয়াই হলে
নয়তো তখন দুষি
মেয়ের শ্বশুর হওয়ার ফলে
মুক্তিযোদ্ধাও খুশি।

রচনা কালঃ ১৮-০৪-২০১৪ইং... ...বাকিটুকু পড়ুন

দাসত্বের শিকল ভাঙার স্বপ্ন দেখা এক ক্রান্তদর্শী ধূমকেতু ওসমান হাদী।

লিখেছেন মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল), ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪২

বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে যে ধরণের রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু হয়েছে, তাহলো বিদেশী প্রভুরদের দাসত্ব বরণ করে রাজনৈতিক দলগুলোর রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে দেশের মানুষের উপর প্রভুত্ব করা , আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

×