পৃথিবীতে অধিকাংশ বেশির ভাগই মানুষই খুব অসহায় জীবন-যাপন করছে। কারো জীবন কৌতুহলী, ইতিহাসের মতো হয়ে থাকে আবার কেউ বুকে চাপা রেখে কষ্টে-দুঃখে জীবন কাটায়, কেউ নানান রকম সমস্যায় ভুক্তিভূগী হয়ে থাকে। তাদের সামনে শুধুই অন্ধকার ছাড়া আর কিছু থাকে না। তাদের এই করুনাময় অসহায় জীবনের কাহীনি কেউ বুঝার মতো কেউ নেই, শুনার মতো কেউ নেই ও কিছু করণীয় করার মতো কেউ থাকে না। তাই তারা তাদের মুখটিকে সামাল দিয়ে ভিতরের মানুষটাকে ঘুম পাড়িয়ে বা জোর জবরবস্তি করে সেই ভিতরের জিনিসটাকে ধমিয়ে রাখে। এই রকম মানুষ গুলো নিজেকে টিকিয়ে রাখতে অনেক ভাবে, নানা রকম ভাবে সামাল দেয়া লাগে। অনেকেই নিজেকে সামাল দিতে না পেরে পৃথিবীতে থেকে চলে যেতে চায়। আসলে আমি যখন এসব নিয়ে ভাবি তখন অনেক কিছু আমার কাছে বেড় হয়ে আসে ও প্রকাশ পায়। সেটা হয়তো অনেকেই ভালো ভাবে চিন্তা করলে বুজতে পারবেন। সৃষ্টিকর্তার আমাদের জীবনকে নানান ভাবে তৈরী একটি চক্ররের মতো করে দিয়েছেন। তাই বলে এই নয় যে যাদের জীবন কষ্টে-দুঃখে যাচ্ছে বলে তার জীবনটা এভাবেই গড়া, আসলে তা না----- একটু ভালো করে বুঝার জন্যে ছোট করে একটা গল্প বলছি- ( একটি গ্রামের বন্যার সময়, গ্রামের সবাই সব কিছু নিয়ে অন্যত্রে চলে যায় সেখানে শুধু থেকে এক বৃদ্ধ মহিলা, তাকে কেউ যদি জিজ্ঞেস করে যে আপনি এখনো আছে, কয়েদিনের মধ্যে তো বন্যা হলে আপনি ডুবে মারা যাবেন। তখন ওই মহিলাটি বলে উঠলো যে, যা হবার হবে আমার উপরে আল্লাহ সহায় আছেন। ২/১দিন পর ঝড়ো বৃষ্টিতে বন্যার পানি উঠানে উঠে গেলো, বুড়ো মহিলাটি তখন খাটে বসে রইল, আর আল্লাহকে ডাকছে তাকে উদ্ধার করার জন্য। তারপর নৌকা দিয়ে আরো কিছু মানুষ গ্রাম থেকে সড়ে যাবার সময় তাকে বলেছিলো তাদের সাথে যাওয়ার জন্য। মহিলাটি না বলে সেই আগের মতই উত্তর দিলো। এরপর আরো কয়েকদিন যাবার পর ঘরের অর্ধেক পানিতে ডুবে গেলো তখন বুড়োটি ঘরের টিনের চালের উপরে উঠে বসলো আর আল্লাহকে মনে মনে ডাকতে লাগলো। তখন একটি লঞ্চ এসে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলল সেই বুড়ো মহিলাটি বরাবরই আগের মতই উত্তর দিলো আর এর প্রতিফলে পরের দিন মহিলাটি পানিতে ডুবে মারা যায়। তখন তার আত্মা আল্লাহকে প্রশ্ন করে এ আল্লাহ আমি তোমাকে এতো মন দিয়ে ডেকেছি তুমি শুনতে পারোনি, আর শুনতে পারলে আমাকে উদ্ধার করোনি কেন ? কেন আমাকে মৃত্যু বরণ করতে হলো। আল্লাহ বলে উঠলেন আমি তোমার ডাক বরাবরই শুনেছি আর তাই তোমাকে আমি উদ্ধার করে বাচাঁনোর জন্য প্রথমে নৌকা পাঠিয়ে ছিলাম তারপর লঞ্চ পাঠিয়েছিলাম তুমি তাতে যাওনি, এটা তোমারি বেখেয়ালী দোষ ছিলো) । ঠিক এভাবে এইরকম অসহায় মানুষগুলো কষ্টে-দুঃখে, যাতনা, যন্ত্রনায় থাকে তখন যদি সে শুধু আল্লাহকে ডাকে তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তার ডাকে সাড়া দিয়ে থাকেন। এবং এটা প্রমাণিত হয়তো তিনি এমন কিছু দিবেন বা কিছু একটা করবেন যার জন্য সাড়া জীবনের কষ্ট-দুঃখ নিমিষেই ভুলিয়ে যাবে। জীবন যতই কষ্ট-দুঃখ থাকনা কেন মৃত্যুর পথে আল্লাহতালা কোন সময় নিয়ে যায় না। মৃত্যু জিনিসটা হলো আল্লাহতালার সময় অনুসারিত। আপনি যতই কষ্টে থাক না কেন আল্লাহ আপনাকে শান্তি দেওয়া জন্য কিছু কিছু দিয়েছেন বা তাকে মন থেকে অনুসরন করেন তিনি অবশ্যই কিছু একটা পথ দেখাবেন শুধুমাত্র আমরা ঠিকমতো, ভালো করে দেখা, পথ চিনা ও অনুসরণ করা। তাহলে যত কষ্টই হক না কেন কষ্টে মাঝে অনেক শান্তিতে থাকা যায়, খুজে পাওয়া জীবনে বেচেঁ থাকার নতুন অধ্যায়ন। এক কথায় (রাহমানীর রাহিম) ।
আলোচিত ব্লগ
মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল
হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'
নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ
আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা
গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন
মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.
গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন