বিগত ২৪/১২/’১২ ইং তারিখ এ অনুষ্টিত হয়ে গেল সারা বাংলাদেশের ৩০হাজার এর অধিক প্রকৌশলী’র সংগঠন আ ই বি নির্বাচন। শীতের মৃদু হাওয়া আর কুয়াশার সাথে রোদের লুকোচুরি খেলার মধ্যে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে ছিল ক্যাম্পাসের পুরোনো বন্দ্ধু, ছোট ভাই, বড় ভাই, বিভিন্ন প্রতিষ্টানের পরিচিত প্রকৌশলীর মিলন মেলার আবহ। সারা দিন ছিল ঈদ আনন্দের চেয়েও বেশী কিছু। আমি চট্টগ্রাম আইবি তে পোলিং অফিসার এর দায়িত্ব পালন করেছি। সারা দিন কেটেছে কি এক মোহময় আনন্দে। কেন্দ্রে কিংবা বাহিরে কোন প্রকার কুলষতার লেষমাত্র ছিলনা। ছিলনা কোন অভিযোগ কারো বিরুদ্ধে। দলে দলে সংগঠিত হয়ে আড্ডা আর আড্ডা। সিংগারা সমুছার সাথে লাল চা ফ্রী , কয়েকটি প্যান্ডেল, কেন্দ্রের আশেপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী সব কিছুই হয়েছে আইবি’র অর্থ ও তত্বাবধানে । প্রার্থীদের পক্ষ থেকে কিছু করার সুযোগ নেই। নির্বাচন চলাকালীন প্রকৌশলী নয় এমন কেউ আইবি তে গেলে হতবম্ব হয়ে যেতে বাধ্য, কোথাও কোন পোষ্টার নেই, ব্যানার নেই। থাকার মধ্যে আছে শুধু ভিজিটিং কার্ড আর হ্যান্ডবিল বিতরন। এ এক অনবদ্য নির্বাচন অনুষ্টান, বাংলাদেশে যা বিরল। স্বচ্ছ আর সহনশীলতায় পরিপূর্ণ নির্বাচনের এমন অবস্তা বাংলাদেশের কোন পর্যায়ে নেই বলে আমার বিশ্বাস।
তবে সব আলোর পিছনে যেমন অন্ধকার থাকে তেমনি এখানেও কিছু খারাপ হিসাবে উল্লেখ করা যায় যেমন সরকার সমর্থক প্যানেলের প্রার্থী কতৃক সরকারী পদের প্রভাবে অধীনস্ত প্রকৌশলীদের অনুরক্ত রাখার কৌশল, সরকারী টেলিফোন ব্যবহার,অধীনস্তদের নির্বাচনী কাজে ব্যবহার, সরকারী গাড়ী ব্যবহার, ডিউটিকালীন সময়ে নির্বাচনী প্রচারণা, সরকারী রেষ্ট হাউস, মিটিংরুম সকল কিছু নির্বাচণী প্রচারে ব্যবহার সকল সচেতন প্রকৌশলী একটু হলেও বিচলিত করে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে মিলন মেলার এ মহাযগ্ঘের এ আনন্দের মিলন মেলার জন্য আবার দু’বছরের অপেক্ষা।