আলসেমি একটি প্রতিভা। আলসেমিকে প্রতিভা বললাম কারণ যে কেউ চাইলেই অলস হতে পারে না। আলসেমি করতে হলে কিছু যোগ্যতা বা বৈশিষ্ট্য লাগে যা সবার নেই। এই যেমন__
১। আলসেমির প্রথম শর্ত হলো সীমাহীন ঘুম। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮- ২০ ঘন্টা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিতে হবে। অনেকেই ঘুমাইতে ঘুমাইতে ক্লান্ত হয়ে যায়। কিন্তু যারা অলস শ্রেণীর তাদের কাছে ১৮- ২০ ঘণ্টা ঘুম কোন ব্যাপারই না
২। ঘুম ভেঙ্গে যাবে বলে সকালে নাস্তা করা যাবে না
৩। বেশি খেতে হলে বেশি চিবোতে হবে তাই কম কম খাওয়া
৪। টিভি / পিসি / ল্যাপটপের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা
৫। কোন গল্পের বই পড়ার আগে সেই বইয়ের সাইজ দেখে নিতে হবে। বইয়ের আকার যদি অনেক বড় হয় তাহলে এত কষ্ট করে সেই বই পড়া হবে কর্মঠ লোকদের কাজ, যা অলসদের বৈশিষ্টের মধ্যে পরে না।
৬। ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পরেও বিছানায় কয়েক ঘণ্টা শুয়ে থাকা
৭। ২- ৩ দিন পর পর গোসল করা। আর শীতের দিনের কথা না ই বা বললাম
৮। মাসে একবার কাপড় ধোয়া ( যদি মনে হয় কাপড় ময়লা হইসে )
৯। লিখতে ও আলসেমি লাগে। তাই পরীক্ষার খাতায় নূন্যতম পাস মার্ক তুলেই খাতা জমা দিয়ে দেওয়া
১০। কাজে ফাকি দেয়ার ক্ষেত্রে অলস মানুষদের প্রতিভা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এদেরকে যে কাজের কথাই বলুন না কেন তারা নানা রকম অজুহাত- পা দেখিয়ে সেই কাজ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিবে
১১। আশে- পাশের মানুষদেরকে সবসময় কঠোর পরিশ্রম করার উপদেশ দেয়া
১২। ফেসবুক অথবা ব্লগে কোন পোস্ট এর নিচে " see more/ বিস্তারিত পড়ুন " লেখা দেখলে সেই পোস্টটি না পড়া
১৩। টিভিতে বিরক্তিকর প্রোগ্রাম হচ্ছে। বিছানায় শুয়ে আছেন। হাতের কাছে রিমোট নেই। চ্যানেল চেইঞ্জ করতে হলে বিছানা থেকে উঠে গিয়ে রিমোট আনতে হবে তাই ওই প্রোগ্রামই দেখা
১৪। গল্প লিখতে হলে অনেক চিন্তা করতে হয়। এত চিন্তা করতেও আলসেমি লাগে। তাই গল্প না লিখা
১৫। অলসদের কাছে বিশ্বের সবচাইতে কঠিন কাজ হলো মশারী টানানো। দরকার হলে মশার কামড় খেয়ে ডেঙ্গু বাঁধিয়ে ফেলবে তারপর ও মশারী টানানো যাবে না
১৬। এবং সবশেষে " আল্লায় কিছু একটা কইরা দিবো " এই নীতি অনুসরন করে ঘরে বসে থাকা
লেখাটা আরো বড় করার ইচ্ছে ছিল। আলসেমির কারণে আর লিখতে ইচ্ছে করছে না
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫