গণতন্ত্র চার অক্ষরের একটি শব্দ। যার ইংরেজী প্রতিশব্দ Democracy. What is Democracy? Democracy means "For the people, of the people and by the people". কিন্তু পরিতাপের ব্যাপার হলেও সত্য যে গণতন্ত্রের সংজ্ঞাটা সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে শুধুমাত্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে।
"সবার উপরে ক্ষমতা সত্য তাহার উপরে নাই" এই নীতিতে বিশ্বাসী আমাদের লোভী নেতা-নেত্রীরা। দেশ রসাতলে গেলেও যেন কারো কোনও মাথা ব্যাথা নেই। সবাই সবার আখের গোছানোর তালে ব্যাস্ত। এদের চাই কোটি কোটি টাকার পাহাড় আর শতশত বাড়ি-গাড়ি, হোকনা তা বন বিক্রি করার টাকা অথবা সাধারন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা চাঁদার টাকা। এখনতো আবার চলছে গ্যাস বিক্রি করে পকেট ভরানোর ধান্ধা। নিজের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য সাধারণ মানুষ মারতেও এদের হাত কাঁপে না। এরা শুধু ক্ষমতা-লোভীই নয় খুনীও বটে। পাপ কাজ নিজে করা আর অন্যকে দিয়ে করানোতে শাস্তির বিধান সম্ভবত একই। যোঁক যেমন অন্যের রক্ত পান করতেই থাকে ছাড়ার নাম করে না, এরাও তেমনি আমাদের দেশের গায়ে যোঁকের মতো সেঁটে আছে।
পাঁচ বছর পর পর ক্ষমতার হাত বদল হয়, আসে নতুন দল সরকার গঠন করতে। শুরু হয় এই পাঁচ বছরের মধ্যে সব কিছু লুটে-পুটে খাওয়ার চিন্তা। এর ফলাফল হিসেবে আমরা দেখতে পাই সীমাহীন দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, বাড়ি দখল আর জমি দখল, আরও দেখা যায় ঘুষের মাধ্যমে চাকরি দেয়া সহ যাবতীয় কুকর্ম। সবকিছু হয়ে পরে স্বকেন্দ্রিক। নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের কাছে রাজনীতিবিদদের দেওয়া কথা শুধু কথাই থেকে যায়। "শুধু কথায় চিড়া ভেজে না" কথাটি বোধহয় এদের ক্ষেত্রে সত্য নয়। ভোটের আগে এবং পরে এদের আচরণের তফাৎটা হচ্ছে এর প্রমাণ।
স্বাধীনতার আটত্রিশ বছর পরও দেশের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন চোখে পরার মতো নয়। অথচ মালয়েশিয়া আমাদের অনেক পরে স্বাধীন হয়েও আজ পৃথিবীর মানচিত্রে উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত। আমাদের সরকারকে সেখানে দারোস্থ হতে হয় অনুরোধ করতে যেন তারা বাংলাদেশ থেকে শ্রমশক্তি আমদানি বন্ধ না করে! বাংলাদেশের Image বহিরবিশ্বের কাছে নিতান্তই নগন্য। অন্তত আমার কাছে তাই মনে হয়। কেন আমাদের এই দূর্ভাগ্য? আর এর জন্য দায়ীই বা কারা? দেশটাকে যারা পরিচালনা করেন, তাদেরকেই আমার সবচেয়ে বেশি দায়ী মনে হয়। কারণ কলকাঠি তাদের হাতেই থাকে। আমাদের দূর্ভাগ্য যে মহাথির মোহাম্মাদের মতো সৎ, যোগ্য ও মহান চরিত্রের আগমন ঘটেনি যাকে নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। ছোট্ট একটি আশা, যেন যোগ্য ও সৎ ব্যক্তিত্তের উদয় হয় আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে। তাও হয়তো বা সোনার হরিণের মতোই দূর্লভ হয়ে থাকবে।
একটি সুন্দর দেশের জন্য, সাধারণ মানুষের সাধারণ চাহিদাগুলো পূরণ করার জন্য আজ আদর্শ রাজনীতিবিদ বড়ই প্রয়োজন। তাহলেই শুধু আমরা পেতে পারি সুন্দর ও সুস্থ্য গণতন্ত্রের সাথে সোনার বাংলাদেশ।
বি.দ্র.: আজ অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মনে এই ব্লগে আমার মনের কথা গুলো এই প্রথমবারের মতো লিখলাম। ভুল-ত্রুটি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। আশা করি সবাই ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।