ছোট বেলায় হাট-বাজার, বাস স্ট্যান্ড, রেল স্টেশন বা লঞ্চ ঘাটে ভিড় জমিয়ে বা মজমা মিলিয়ে কবিরাজদের ব্যবসায় রাজ করতে দেখে নাই এ রকম লোক খুব কম আছে। গ্রামীণ ডাক্তার, কবিরাজ, জ্যোতিষী, হকার ঢোল বাজিয়ে, গান গেয়ে , বাদর নাচ দেখিয়ে, সাপ খেলা দেখিয়ে লোকজন জড় করে মজমা মিলিয়ে তাবিজ কবজ , দাঁতের মাজন ও সর্বরোগের মহৌষধ বিক্রয় করতে শতভাগ সফল। হকার বা বিক্রেতা ক্রেতাসাধারণের উদ্দেশ্যে যে বক্তৃতা প্রদান করে তাকে ক্যানবেচ বলে আর যিনি ক্যানবেচ করেন তাকে ক্যানবেচার বলে। ক্যানবেচারের লেকচারের সম্ভাবনাময় কথা শুনে সকলে কনভেন্স হয়ে যেত যার প্রমাণ মুখের মতো সেনসিটিভ জায়গায় অখ্যাত মাজন ব্যবহার করতে কেউ পিছপা হতো না। সব ধরনের কাটা-ছেঁড়া-ফাটা বন্ধ/সারাতে করতে ১ টাকার শান্তি মলম কেনে নাই এমন লোক খুঁজে পাওয়া ভাড়। ক্যানবেচারের কথা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শ্রবণ করে পকেটের টাকা উজাড় করে দিয়ে বাজার/সদাই না করে খালি হাতে বা তাবিজ/কবজ/মহৌষধ নিয়ে হেটে হেটে বাড়ি ফিরেছে এমন লোকের সংখ্যা কম নয়।
আধুনিক যুগে ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির ও ডাঃ মুজিবুর রহমান হাট-বাজার, বাস স্ট্যান্ড, রেল স্টেশন বা লঞ্চ ঘাটে ভিড় না জমিয়ে ইউটিউব আর ফেসবুকে লেকচার দিয়ে মজমা জমিয়ে কোটি লোকের মগজ ধোলাই করে বিক্রি করছেন সর্বরোগের মহৌষধ।
অর্গানিক ফুড বা প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি অবশ্যই ভালো। তবে কোন রোগের জন্য কোন খাবার কোন মাত্রায় খেতে হবে তা নির্ধারণ করে ফলাফল মনিটরিং করে সুনির্দিষ্ট পরামর্শদান জরুরি।
কিন্তু তাদের কর্মপদ্ধতি দেখে মনে হয় তারা সর্বরোগের মহৌষধ বিক্রয় করে একজন সফল আধুনিক ক্যানবেচারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে বিজনেস ম্যাগনেট এ রূপান্তরিত হয়ে গেছেন।
বিঃদ্রঃ গতকাল গ্রাম থেকে এক গরীব রোগী ডাঃ জাহাঙ্গীর কবিরের আস্তায় এসে ফ্রী পরামর্শ নিয়ে ১০০০০ টাকার টেস্ট ফী এবং ২৬০০০ টাকার প্রোডাক্ট ফি প্রদান করেছেন। এভাবে এই ক্যানবেচার শত শত রোগীকে ফ্রী পরামর্শ দিয়ে শতকোটি টাকার ব্যবসা করছেন।