somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অবিলম্বেই ক্রাশ নিতীমালা হোক।

৩০ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আইনের ছাত্র হিসেবে বিভিন্ন ধরণের
ডক্ট্রিন, মতবাদ, ম্যাকজিম পড়তে পড়তে জান
শেষ। আজ এইসব মতবাদের আলোকে "ক্রাশ"
শব্দটার উপযুক্ত ব্যাখ্যা প্রদান করা হবে সেই
সাথে বিভিন্ন ক্রাশ বিজ্ঞানী কতৃক ক্রাশ
নামের এই বিভীষিকাময় ব্যাপারটার
শ্রেণীবিভাগও তুলে ধরা হবে।
ক্রাশ একটি ইংরেজি শব্দ যার আভিধানিক
অর্থ ধাক্কা খাওয়া বা ল্যাও ঠ্যালা। তরুণ-
তরুণী কতৃক বহুল আলোচিত এই ক্রাশ শব্দটা
দিয়েও ধাক্কাই বুঝায় তবে এক্ষেত্র ধাক্কা
বলতে কেবল এবং কেবলমাত্র হৃদয়ের
ধাক্কাটাকেই বুঝায়। এই ধাক্কার তীব্রতা
বেশি হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে ক্রাশসিড
নামের মহৌষধ না খেলে নিস্তার মিলেনা।
ক্রাশ খেতে গেলে নিম্নোক্ত উপাদানসমূহ
আবশ্যক।
১- ইনটেনশন
২- ক্রাশরিয়া (মজনুমন ক্রিয়া)
৩- ক্রাশ খাওয়ার সামর্থ্য
৪- পরিকল্পনা
৫- পূর্বপ্রস্তুতি
বিখ্যাত ক্রাশবিজ্ঞানী জনাব
ক্রাশস্টাইনের মতে ক্রাশ সাধারণত দুই
প্রকারের হয়ে থাকে।
১- মুখ্য ক্রাশ
২ - গৌণ ক্রাশ।
primary crush :- মুখ্য ক্রাশ বলিতে সাধারণত
সেই ধরণের ক্রাশকে বোঝানো হয় যা খুব
স্পর্শকাতর এবং মাঝেমাঝে তাহা
পাগলামিতে রুপ নেয়, উল্লেখ থাকা আবশ্যক
এই ধরণের পাগলামি থেকে কিন্তু প্রেম বা
ভালোবাসা নামের আরেকটা জঠিল
ফ্যাক্টের জন্ম হয় যা অন্য এ্যাক্টের
বিষয়বস্তু এবং তখন সেটার কজ অফ একশন
নির্ধারণ করা দূরহ ব্যাপার হয়ে যায়। 'যতদুর
সম্ভব ঐ এ্যাকটটার নাম হলো মহব্বত এ্যাক্ট
১৪। আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু শুধুই ক্রাশ
এ্যাক্ট ২০০৭ '
মুখ্য ক্রাশ ভক্ষণ করার উপযুক্ত ক্ষেত্র হ্লো
বিয়ে শাদির অনুষ্টানগুলো। ঐ সকল অনুষ্টানে
বালক বালিকারা অতিরিক্ত সাজুগুজু করে
গিয়ে কখন যে ক্রাশরুপ ধারণ করে কার
খাদ্যবস্তুতে পরিণত হয় সেটা বলা মুশকিল।
ঐসকল বিয়ে শাদির অনুষ্টান সমূহে মোরগ-
পোলাও এর সাথে ক্রাশও খাওয়া হয়।
লেখকও মাঝে মাঝে খেতেন একসময়।
মজার ব্যাপার হলো ক্রাশ একটা
বিশেষধরণের খাদ্য যা লবণ ছাড়াও খেতে
সুস্বাদু লাগে।
secondary crush :- গৌণ ক্রাশ হলো সেই
ধরণের ক্রাশ যার কিসিমটা অনেকটা
ব্যাপারনা টাইপের ক্রাশ। ঘোড়াকে যখন
সর্প কামড় দেয় তখন তার দেহে একধরণের
এন্টিভেনাম তৈরী হয় তার ফলে সে দুই
একদিন অসুস্থ থেকে আবার সুস্থ হয়ে যায়।
গৌণ ক্রাশও অনেকটা এরকমই। এটা খাওয়ার
পর ক্রাশভক্ষকের দেহে এক ধরণের
এন্টিক্রাশম তৈরী হয় ফলে সে আর ঘায়েল
হয়না। এটাও লবণ ছাড়া খাওয়া যায়। খেতেও
অনেক সুস্বাদু। এটা সাধারণত বিভিন্ন
গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, মার্কেটে খাওয়া হয়।
সিলেটের জিন্দাবাজার পয়েন্ট হচ্ছে গৌণ
ক্রাশ খাওয়ার উত্তম পয়েন্ট তাছাড়া
বিভিন্ন মার্কেটতো আছেই। গৌণ ক্রাশ
ক্ষাদকেরা শখের বসে ক্রাশ খায় সচরাচর।
এরা মাঝে মাঝে যন্ত্রণাদায়কও। এদের
নিবারণ করে রাখতে আইন প্রণেতাগণ "The
Prevention of Women and Children Act-2000"
একটা আইন প্রণয়ন করেছেন। নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট ভাই ও বোনেরা এই আইনের
প্রয়োগও যথাযথরূপে করছেন।
প্রায়োগিক দিক থেকে চিন্তা করলে
প্রচলিত আইনের সাথে ক্রাশ আইনের একটা
বিশাল সাংঘর্ষিক সম্পর্ক আছে, nemo judex
in cuasa sua ম্যাকজিম বলে কোন বিচারক
সাধারণত সেই সকল মামলা শ্রবণ করবেননা
যাতে উনাদের সম্পৃক্তা আছে কিন্তু যদি
কোন জেলা জজ বা অন্য কোন জজ
কোনভাবে শুনে ফেলেন উনার মাইয়ার উপর
কোন হৃদয়বান যূবক ক্রাশ খেয়ে ফেলেছে
তবে নির্ঘাৎ ওকে ধরে নিয়ে এনে নিজেই
বিচার আরম্ভ করবেন। এই যায়গাটাতে একটা
প্রায়োগিক সমস্যা আছে।
আরেক শ্রেণীর ক্রাশবিজ্ঞানীগণ ক্রাশকে
দেখেছেন অন্য আলোকে তারা বিষয়টাকে
ব্যাখ্যা করেছেন আসক্তি হিসেবে। এই দলে
আছেন রাফায়েল প্রেমে পড়, এনরিক প্রেম
করো, সিজার প্রেম করিয়া, প্রমুখ।
উনারা ক্রাশ খাওয়ার ধরণ থেকেই নির্ধারণ
করেছেন পুরো ক্রাশ ব্যাপারটাকে। উনারা
প্রধানত তিন ধরণের ক্রাশের কথাই উল্লেখ
করেছেন সেগুলো নিম্নরুপ।
ক- হিয়ারসারি ক্রাশ
খ - আই ক্রাশ
গ - সারকামস্টেনশিয়াল ক্রাশ।
ক - এই ধরণের ক্রাশ আর পূর্বে প্রদানকৃত
গৌণ ক্রাশ সাধারণত একই ধরণের হয়।
এগুলোকে পরোক্ষ ক্রাশও বলা যেতে পারে।
সাধারণত কারও মুখে কারও প্রশংসা শুনে
শুনেই এমন ক্রাশ ভক্ষণ করা হয়ে থাকে। এসব
ক্রাশ খেতে হলে সরেজমিন গিয়ে তদন্ত
করার প্রয়োজন নেই। এটা খেতে এতবেশী
সুস্বাদওু হয়না। শুধু খাওয়ার জন্য খাওয়া
আরকি। এই ধরণের ক্রাশ কগনিজেন্সে
নেওয়ার পরে খুব কম সংখ্যক ক্রাশই মহব্বত
এ্যাক্ট ১৪ এর বিষয়বস্তু হয় সাধারণত। ক্রাশ
বিজ্ঞানে এ টাইপের ক্রাশেত গুরুত্ব অনেক
কম এবং মামলার বিচার্য বিষয় নির্ধারণে
এগুলো প্রায় কোন ভূমিকাই রাখেনা। তবে
কিছু কিছু ব্যাতিক্রম আছে এর যেমন কারও
মুখে কারও প্রশংসা শুনে মজনু হ্যে মোবাইল
নাম্বার চুরি করে নিয়ে জ্বালাতন আরম্ভ
করলো সেটা তখন হয়ে যায় জ্বালা নিবারণ
আইন ২০১৬ এর বিষয়বস্তু।
খ:- এটাকে তুলনা করা চলে মুখ্য ক্রাশের
সাথে। এটা হচ্ছে প্রত্যক্ষ ক্রাশ যেমন কোন
কাউকে দেখলেন কোন এক বিয়ের অনুষ্টান
বা অন্য যেকোন ধরণের অনুষ্টাদিতে সাথে
সাথেই গিলে ফেললেন ক্রাশ এবং সরাসরি।
দূরবীন সাঁইয়ের "মারিয়া ভূজংগ তীর কলিজা
করিলো চৌচির" গানটা এই শ্রেণীর ক্রাশ
ক্ষাদকদের জন্য উৎসর্গকৃত। উল্লেখ থাকা
দরকার যে এই শ্রেণীর ক্রাশখোরদের
ক্ষেত্রে তাদের শারিরীক গঠন এক গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করর। তারা মনে করেন তিনারা
দেখতে সুশ্রী এবং চরম স্মার্ট ক্রাশ কেবল
তারাই খেতে পারে কারণ তারা যদি ক্রাশ
খায় তাহলে সেটা ফলপ্রসূ হবে।
গ :- সারকামস্টেনশিয়াল ক্রাশ ও একধরণের
ক্রাশ তবে এটা অন্যগুলোর ছেয়ে কিঞ্চিৎ
ব্যাতিক্রম। ধরুণ একটা মেয়ে ভালো গান
গাইলো আপনি আগে তার গানের প্রেমে
পড়বেন তারপর মেয়েটার প্রেমে এইধরণের
ক্রাশ অবস্থাভেদ ঘটে বলেই এদের বলা হয়
সারকামস্টেনশিয়াল ক্রাশ।
ক্রাশ ব্যাপারটার ক্ষেত্রে এস্টোপেল
নিতীটা কার্যকর নয় কারণ আপনি এক জীবনে
ইনেকের উপর ক্রাশ খেতে পারেন, এই একই
কথা বিভিন্ন জনকে বিভিন্নভাবে বলতে
পারেন। এখানে কোন প্রতিবন্ধকতা নেই।
তবে রেস জুডিকটা বা দোবারা দোষ কিন্তু
এই ক্ষেত্রে খানিকটা খাটে। ধরুণ আপনি
একটা মেয়েকে ক্রাশ খাওয়ার কথা
জানালেন সে আপনাকে অপধস্থ করলো
সেক্ষেত্রে কিন্তু দ্বিতীয় বার আর আপনি
সেই মেয়েটাকে আপনার ক্রাশের কথা বলে
দোবারা দোষ করেননা। যারা ওসব করেন
তাদের বলা যেতে পারে ডুয়েল অফেন্ডার।
উপসংহার :- এতোক্ষণ বক বক করার উদ্দেশ্য
হলো আইন প্রণেতাগণ যাতে অবিলম্বে ক্রাশ
সংক্রান্ত আইনের নিতীমালা প্রণয়ন করেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×