somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি কাল্পনিক আইনের খসড়া।

২৫ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যেহেতু বিভিন্ন নাটক মারফতে ঘরজামাইদের দুর্দশার কথা জানা গিয়েছে সেহেতু সচেতন আইনের ছাত্রসমাজ এই দুর্দশা লাঘব করতে একটি আইনি বিধান প্রণয়ন করতে প্রস্তাব করছে। আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হলো আপাতত।
এই আইন ১লা জুলাই ২০১৭ থেকে কার্যকর হইবে এবং সমগ্র বাংলাদেশে এর ব্যপ্তি থাকবে।
ধারা ১ - এই আইনের নাম হইবে ঘরজামাই হেফাজত প্রবিধানমালা ২০১৭।
ধার ২- সংজ্ঞাসমুহ
ক- ঘরজামাই বলতে সেইসকল নিকাম্মাদের বুঝাবে যারা অকর্মণ্যর মতো শ্বশুর বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে জীবনকে যাপিত করে।
খ- বৈধ বয়স বলিতে অকর্মণ্যদের বয়স ২১ বুঝাইবে।
গ- ঘরজামাই হেফাজত ট্রাইব্যুনাল বলিতে ৯ ধারার অধীন ঘটিত শ্বশুকারী জজ আদালতকে বুঝাবে।
ঘ- চায়েরমেন বলিতে ইউনিয়ন পরিষদের চায়েরম্যান, পৌরসভার চায়েরম্যান অথবা, উপজেলা পরিষদের চায়েরম্যানকে বুঝাবে।
দ্রষ্টব্য এই আইনে চ্যায়ারম্যান শব্দটাকে চায়েরম্যান শব্দ দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে কারণ ইনারা ঘর জামাইয়ের বাড়িতে গিয়ে চা পান করে বিষয়বস্তুর সুরাহা করে থাকেন সাধারণত।
ঙ- বিন্দাস বধূ বলিতে সেইসকল বধূদের বুঝানো হইবে যাহাদের দরুণ জামাই "ঘর জামাই" আকার ধারণ করে।
চ- জাতীয় ঘরজামাই হেফাজত কল্যাণ ট্রস্ট বলিতে ৬ ধারার অধীন ঘটিত হেফাজর ট্রাস্টকে বুঝাবে।
ছ- জেলা ঘরজামাই হেফাজত ট্রাস্ট বলতে ৭ ধারার অধীন ঘটিত হেফাজত ট্রাস্টকে বুঝাবে।
জ- উপজেলা হেফাজত ট্রাস্ট বলতে ৮ ধারার অধীন ঘটিত উপজেলা হেফাজত ট্রাস্টকে বুঝাবে।।
ঝ- এই আইনের অধীন একটি ঘরজামাই নিরাপদাগার থাকবে যেথায় নির্যাতিত অকর্মণ্যদের নিয়ে হেফাজতে রাখা হবে।
ধারা ৩- এই আইনে প্রতিকার সমূহ দেয়া হবে সাধারণত নিম্নোক্ত ৩ উপায়যোগে।
১- নিরাপদাগারে ঘরজামাই প্রতিস্থাপন করে।
২- ঘরজামাইকে বিন্দাসবধূ খাচা থেকে মুক্তি দিয়ে।
৩ বিন্দাস বধূদের দেওয়ানী কারাগারে আটক রেখে।
ধারা ৪- বাংলাদেশে প্রচলিত অন্য যতো আইনই থাকুকনা কেন সবার উর্ধ্বে এই আইনই প্রাধান্য পাবে যখন এই আইনের অধীন কোন বিচার অনুষ্টিত হবে।
ধারা ৫- ঘরজামাইদের একটা বিশেষ অধিকার এই আইন দ্বারা সংরক্ষিত থাকবে যা হলো জামাইয়াধিকার বলবতকরণ। যা গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০২ এর অধীন করা যাবে।
ধারা ৬- জাতীয় ঘরজামাই হেফাজত কল্যাণ ট্রস্ট।
বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ে একটি জাতীয় ঘরজামাই হেফাজত কল্যাণ ট্রস্ট থাকবে। পধাদিকারবলে যার প্রধান থাকবেন সর্বোচ্চ বয়সধারী ঘরজামাই।
জাতীয় এই কল্যাণ ট্রাস্টে যত খেজুর আমদানী হবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তিনি সকল খেজুর সমভাবে বন্টন করে পাটিয়ে দেবেন জেলা পর্যায়ে। খেজুর খুব প্রোটিনিয়াস ফল সুতরাং নির্যাতিতদের খেজুর ভক্ষণ করানো গেলে উনারা বেশ সবল হয়ে উঠবেন।
ধারা ৭- জেলা ঘরজামাই হেফাজত কল্যাণ ট্রাস্টের প্রধান হবেন জেলা পর্যায়ের সর্বকনিষ্ট ঘরজামাই যার প্রধান কাজ হবে উপজেলা পর্যায়ে সমভাবে খেজুর বন্টন করে দেয়া এবং জেলার সকল নিকাম্মাদের কাছে যথাযথভাবে খেজুর পৌছানো।
ধারা ৮- উপজেলা ঘরজামাই হেফাজত কল্যাণ ট্রাস্টের প্রধান হবেন উপজেলা পর্যায়ের সর্বোচ্চ বয়সধারী ঘরজামাই যার কাজ হবে উপজেলা পর্যায়ের সকল ঘরজামাইদের যথযথ পন্থায় খেজুর বন্ঠন করে ইউনিয়ন পর্যায়ে খেজুর বন্ঠন করা।
ধারা ৯- শ্বশুকারী(শ্বশুরবাড়িতে অবস্থানকারী) জজ আদালত বলতে সেই আদালতকে অন্তর্ভূক্ত করা হবে যে আদালতের বিচারক স্বেচ্ছায় বিন্দাসবধূ বরণ করে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছেন।
ধারা ১০- এই আইনের অধীন কোন মামলা বিচারার্থে গ্রহণ করার আগে অন্তত একজন গ্রামপুলিশের লিখিত রিপোর্ট লাগবে। গ্রাম পুলিশ এতবিষয়ে খবর পাওয়ার ৭ কার্যদিবসের ভেতরে তদন্তকার্য সমাধা করবেন। যদি তিনি সেটা না করতে পারেন তাহলে উনাকে গ্রামপুলিশ পদ থেকে অপসারণ করে হাওরপুলিশে রুপান্তরিত করা হবে। তখন উনার কার্য হবে চৌকিদারী কার্যের মতো।
ধারা ১১- যখনই গ্রামপুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতে ৯ ধারা অধিন ঘটিত শ্বশুকারী জজ আদালত কোন মামলা বিচারার্থে গ্রহণ করবেন তখন সাথে সাথে ভিকটিম নিকাম্মাকে তিনি ১ ঝ ধারানুযায়ি ঘটিত নিরাপদাগারে প্রেরণ করবেন , মামলার পূর্ণাংগ সমাপ্তির আগে পর্যন্ত ভিকটিম সেখানেই থাকবেন। অবশ্য নিরাপদ মনে করলে ভিকটিমকে উনার বাপের বাড়িতে পাঠানো যেতে পারে।
ধারা ১২- যখন কোন গ্রাম পুলিশ কোন অপরাধের খবর পাবেন সাথে সাথেই তিনি বিন্দাস বধূর তলব করবেন উনার সকল মেকাপ বক্স জব্দ করবেন। ঘরের সকল বেলাইন জাতিয় জিনিসও জব্দ করা হবে।সেই সাথে উনার টিভির ডিশ সংযোগ বন্ধ করে দেবেন যাতে করে যাতে করে বিন্দাসবধূ আর কোন সিরিয়াল না দেখতে পারেন।
ধারা ১৩- নির্ধারিত দিনে উভয়পক্ষকে শ্রবণের জন্য ডাকা হবে। ভিকটিমের চোখ কালো কাপড় দিয়ে ডাকা থাকবে কারণ বিন্দাসবধূর রাগান্বিত চেহারা দেখে ভিকটিম আবার বেওওকুফ বনে যেতে পারেন।
ধারা ১৪- মামলার প্রথম শুনানীতে শ্বশুকারী জজ বিষয়টির সমাধানের জন্য চায়েরম্যানের কাছে পাঠাবেন। চায়েরমেন বিন্দাসবধূর বাড়িতে গিয়ে বিষয়টির সূরাহা করার চেষ্টা করবেন সাথে সাথে। যদি সুরাহা না হওয় তাহলে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তিনি তা শ্বশুকারী জজ আদালতকে অবহিত করবেন। শ্বশুকারী জজ আদালত তখন বিষয়টির পূর্ণাংগ ট্রায়াল আরম্ভ করবেন।
ধারা ১৫- অপরাধটি যদি হয়ে থাকে বাজার করা সঙ্ক্রান্ত তাহলে অভিযোগকারিকে অতিরিক্ত বাজার করা থেকে বিরত রাখার নিমিত্বে তাকে নিরাপদাকার অথবা ভিকটিমের বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে প্রতিকার করবেন।
যদি অপরাধকারীর শরীরে কোন আঘাত যেমন খামচি বা বেলাইনের বাড়ির দাগ পাওয়া যায় থলে বিন্দাসবধূকে ২৪ মাসের দেওয়ানী কারাগার দেয়া হবে।
যদি ভিকটিম শারিরীক এবং মানুষিক দুইভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকেন তাহা হইলে ভিকটিমকে বিন্দাস বধূ থেকে চিরতরে নিষ্কৃতি দেয়া হবে।
ধারা ১৬- এই আইনের অধীন একটি আপিলেট ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। যেখানে অপরাধী ১ মাসের ভেতরে আপিলের দরখাস্ত দাখিল করবেন।
এটা একটা তফশিলবিহীন আইন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:০১
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×