রংপুর র্যাব ক্যাম্পের সূত্র জানান, জেএমবি সদস্যদের তৎপরতা ও নাশকতামূলক কার্যক্রম প্রতিহত করতে জয়পুরহাট এবং রংপুর র্যাব-৫এর উপ-আঞ্চলিক কার্যালেয় থেকে দিনাজপুরের ১৩ উপজেলার সার্বিক বিষয়ে র্যাব সদস্যদের অনুসন্ধান ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশের মতো দিনাজপুর শহরের জেএমবি সদস্যদের সিরিজ বোমা বিস্ফোরণ ও হামলা ঘটনার পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জঙ্গি সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে জেলার সর্বত্র ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছে। সে সময় জেলার সন্দেহভাজন ৩২ জেএমবি সদস্যকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছিল। আটককৃত জেএমবি সদস্যদের প্রত্যেককেই বিশেষ ক্ষমতা আইনে চার মাসের ডিটেনশনে রাখা হয়েছিল। কিন' পুলিশের দায়িত্বহীনতার কারণে সঠিক পদক্ষেপ গ্রেহণ না করতে পারায় ওইসব চিহ্নিত জেএমবি সদস্য জেলহাজত থেকে বের হয়ে আত্মগোপন করে তাদের জঙ্গি কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। তালিকাভুক্ত এবং গ্রেপ্তার করার পর জেলহাজত থেকে মুক্তি পাওয়া জেএমবি সদস্যদের পরে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালিয়ে পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার মধ্যে সবশেষ জেএমবি সদস্যদের বিরুদ্ধে করা তদন্তাধীন মামলার এজহারনামীয় দু’জন এবং সন্দেহভাজন চার জনসহ ছয় জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ এবং র্যাব সদস্যরা একাধিক অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পালিয়ে থাকা জেএমবি সদস্যরা হলো ঘোড়াঘাট উপজেলার কাশিগাড়ি গ্রামের সেকেন্দার আলীর পুত্র এহসার সদস্য শাহিন হোসেন (২৮), একই গ্রামেই গ্রেপ্তারকৃত জেএমবি সদস্য শহিদুল ইসলামের জামাতা কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানা সাদিপুর গ্রামের রেজাউল করিমের পুত্র সোহেল মাহফুজ ওরফে আবু তোহির (৩০) এবং ২০০৫ সালের ১২ ডিসেম্বর পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হওয়া জেএমবি সদস্য ঘোড়াঘাট উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের আনসার আলীর পুত্র আজিজুর রহমান (৩৫) আবদুল মালেকের পুত্র সায়েদ আলী (৪২) ও কৃঞ্চরামপুর গ্রামের মোবারক আলীর পুত্র দলনেতা হাফেজ আবু কাহার (৩৫) ওই এলাকায় করতোয়া নদীর পাড়ে একাধিক সময় জেএমবি সদস্যদের একত্রিত করে জঙ্গি তালিম ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে বলে সে সময় গ্রেপ্তার হওয়া ওইসব জেএমবি সদস্য পুলিশের কাছে জবানবন্দি দেয়।
পুলিশের সূত্রটি আরো জানায়, ওই সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে ঘোড়াঘাট, নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, পার্বতীপুর, বীরগঞ্জ এবং সদর উপজেলার সন্দেহভাজন ৩২ জেএমবি সদস্যকে আটকে করা হলেও পরে তারা জেলহাজত থেকে ছাড়া পেয়ে আত্মগোপন করে।
অন্য একটি সুত্র জানায়, আত্মগোপনে পালিয়ে থাকা ৩২ জঙ্গি দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জেএবি সদস্যদের একত্র করে নাশকাতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
(তথ্যসূত্র দৈনিক আল ইহসান ২৪-০১-২০১০)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


