somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বেজবাবার দেখা ভৌতিক ছায়া

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভৌতিক স্থান:
কবরস্থানের পাশে এক হোটেল যেটা চিটাগংয়ে অবস্থিত (হোটেলের বিশেষ এক রুম হন্টেড, অন্য সবকিছু স্বাভাবিক)

ঘটনার বর্ণনাকারী:
সাকিব চৌধুরী (ক্রিপটিক ফেইট ব্যান্ড)

যে প্রোগ্রামে বলেছিলেন :
ভূত এফ এম (রেডিও ফূর্তি)

ঘটনা ঘটেছিল :
অর্থহীন ব্যান্ডের সুমনের সাথে। (যিনি বেজবাবা নামে সুপরিচিত)

বেজবাবা যা এক্সপেরিয়েন্স করেছিলেন :

সুমন ভাই আর ওনার এক জুনিয়র ফ্রেন্ডকে ব্যক্তিগত কাজে একবার চট্টগ্রামে যেতে হয়। চট্টগ্রামে গেলেই উনি সাধারণত কবরস্থানের পাশে এক হোটেলে উঠতেন। সেবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি, চিটাগংয়ে যাওয়ার পর চেক ইন করলেন ওই হোটেলটাতেই।

সারাদিন ব্যক্তিগত কাজ সেরে, আড্ডা-টাড্ডা মেরে রাত ১০ টার দিকে তারা হোটেলটাতে ফিরে আসে। স্বভাবতই খুব ক্লান্ত থাকায় দুজনেই ঘুমাতে চলে গিয়েছিলেন।

যে রুমে ওনারা থাকছিলেন, সেটা ছিল ডাবল বেডের ছোট্ট একটা রুম। রুমের দরজার কাছের বিছানাতে ঘুমাচ্ছিলেন বেজবাবার জুনিয়র সেই ফ্রেন্ড। বেজবাবার বিছানাটা ছিল দরজার থেকে কিছুটা দূরে।

সময় তখন আনুমানিক রাত ১১ টা। কাশির শব্দে ঘুম ভেঙে যায় সুমন ভায়ের। আওয়াজ শুনে সুমন ভাই প্রথমে ভেবেছিলেন তার জুনিয়র ফ্রেন্ডটার মনে হয় ঠান্ডা লেগেছে, তাই কাশাকাশি করছে।

উনি মাথাটা ঘুরায়ে ফ্রেন্ডের দিকে তাকালে দেখতে পান যে, উনি গভীর ঘুমে নাক ডাকছে। ফ্রেন্ডের মধ্যে ঠান্ডা লাগার কোন লক্ষনই নেই।

কিছুটা কনফিউযড হয়ে বেজবাবা আবার ঘুমাতে চলে যান।

পাঁচ মিনিট পর আবার কাশির শব্দে ওনার ঘুম ভেঙে যায়। বেজবাবা দ্রুত ফ্রেন্ডের দিকে তাকান। তাকায়ে দেখেন যে, আগের মতোই নাক ডেকে আরামে ঘুমাচ্ছে।

উনি পুরা বিভ্রান্ত হয়ে, ফ্রেন্ডটাকে ঘুম থেকে জাগায়ে তুলেন। ফ্রেন্ডটাও থতমত খেয়ে উঠে বেজবাবাকে জিজ্ঞেস করে: কি হইছে , ভাই। কোন সমস্যা নাকি ?

বেজবাবা জানতে চায়: তোমার ঠান্ডা লাগছে নাকি? কাশির শব্দে ঘুম ভেঙে গেল।

প্রশ্ন শুনে ছেলেটা বললো: না, আমিতো একদম ঠিক আছি।

পরে বেজবাবা ব্যপারটা আর বাড়তে না দিয়ে, ফ্রেন্ডটাকে ঘুমায়ে যেতে বলল। উনি নিজেও ঘুমাতে চলে গেলেন।

ত্রিশ মিনিট পর বেজবাবার আবার ঘুম ভেঙে যায়। এবারের কারণ আর সেই কাশির শব্দ নয়। দরজার লক কেউ একজন খুলার চেষ্টা করছে। দরজাতে খচখচ আওয়াজ। আওয়াজ শুনে বেজবাবা দরজার দিকে যান। বাইরে তাকিয়ে দেখেন যে, করিডোরে কেউই নেই।

আবার বিছানাতে ফিরে আসেন। ওনার ফ্রেন্ডটা তখনও বেঘোড়ে ঘুমাচ্ছিল। এতসব ঘটনার কিছুই টের পায়নি।

বেজবাবা যেহেতু প্যারানরমাল ব্যপারে অভিজ্ঞ, সে কারণে উনি কিছুটা সতর্ক হয়ে গেলেন । বিছানায় শুয়ে ঘুমের ভান করতে লাগলেন। কিছুক্ষন পর আবার দরজার লক ঘুরানোর আওয়াজ। উনি এবার ক্ষিপ্র গতিতে বিছানা থেকে উঠে গেলেন। বন্ধুর বিছানার উপর দিয়ে লাফ দিয়ে দরজার কাছে দৌড়ে চলে গেলেন । দরজা এক হ্যাচকাতে খুলে ফেললেন।

বাইরে তাকাতেই দেখলেন ছায়ার মত কিছু একটা চোখের পলকে মিলিয়ে গেল। অবস্থা বেগতিক দেখে ফ্রেন্ডকে ঘুম থেকে জাগায়ে দেন বেজবাবা। ঘুমাতে যাওয়ার মন মানসিকতা একেবারেই উবে যায়। খুব ভোরে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দেন দুজনে।

বাসায় আসার পর সুমন ভাই খাবার টেবিলে তার বাবার কাছে ঘটনাটা শেয়ার করেন। ঘটনা শুনে উনার বাবা বললেন: তুমি কি অমুক নাম্বার রুমে উঠেছিলে নাকি ? সুমন ভাই বললো: হ্যা। উনার আব্বা বললেন: আমিও ওই রুমে থাকার সময় একই ধরণের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলাম। রুমটাতে নিশ্চিত ঝামেলা আছে।

এরপর থেকে চিটাগংয়ে গেলে বেজবাবা আর কখনই ওই রুমে উঠেননি।

সাকিব চৌধুরী ঘটনাটা বলার সময়, হোটেলের নামটা চেপে গিয়েছিলেন। শুধু বলেছিলেন : কবরস্থানের পাশের এক হোটেল যেটা চিটাগংয়ের অনেকেই চিনে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:১৮
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×