somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুমনদার দেখা শয়তানের উপাসনার প্রভাব

০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘটনা ঘটেছিল সুমনদার ফ্রেন্ড সার্কেলের মধ্যে।

১৯৯২/৯৩ সাল। কলেজের বন্ধুদের আড্ডা চলছিল।

আড্ডা মারার সময় সুমনদার এক সিনিয়র ফ্রেন্ড নীলক্ষেত থেকে কেনা কালোজাদু আর শয়তানের উপাসনা বিষয়ক বিদেশী এক বইয়ের কথা সবাইকে জানায়।

সিনিয়র বন্ধুর ভাষ্যমতে: ওই বই কিনে আনার পর থেকেই নাকি সিনিয়র বন্ধুর ফ্রেন্ড সার্কেল বিভিন্ন ধরণের সমস্যা ফেস করতে থাকে । একজন ফ্রেন্ডের বাবার দোকান নাকি হঠাৎ করে পুড়ে যায়, আরেকজন ফ্রেন্ড পরীক্ষার আগে সিরিয়াস অসুখে পড়ে যায়। ওই সিনিয়র ফ্রেন্ড নিজেও অনেক ধরনের ঝামেলা ফেস করেছিল । ওই বই যারা যারাই পড়ছিল, তারাই নাকি নানা রকমের বিপদে পতিত হচ্ছিল।

ওই সিনিয়র ফ্রেন্ডের সার্কেলের সাথে সুমনদার এক ক্লোজ ফ্রেন্ডেরও উঠাবসা ছিল। ওই ফ্রেন্ডটাও বিদেশি ওই বইটা কয়েকদিনের জন্য বাসায় রেখে ভালোরকম স্টাডি করে। বইটাতে শয়তানের উপাসনার বেশ কিছু টেকনিক বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা ছিল। একটা তথ্য ছিল : শয়তান নাকি ঘরের উত্তর দিক দিয়ে প্রবেশ করে। সুমনদার ফ্রেন্ড টেকনিকগুলো বাড়িতে বসে বসে প্রয়োগেরও চেষ্টা চালায়।

পরে সিনিয়র ফ্রেন্ডটা যখন এতসব সমস্যার কথা জানলো, তখন বইটা কোথায় জানি ফেলে দেয়।

বইটা ফেলে দিলেও, সুমনদার ক্লোজ ফ্রেন্ডটা কিন্তু শয়তানের উপাসনার সাইড ইফেক্ট থেকে বাঁচতে পারেনি। ফ্রেন্ডের বাসার উত্তর দিকের রুমে ওনার ছোট বোন থাকত। কয়েক মাস পর ছোট বোনটার বিভিন্ন মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। শেষে সমস্যাগুলো এমনই প্রকট আকার ধারণ করে যে, বোনটাকে মানসিক হাসপাতালে পাঠাতে হয়েছিল।

এরপর প্রায় দেড় বছরের মত কেটে যায়। সুমনদা ফ্রেন্ডের আড্ডাতে ওই বইটা সম্পর্কে আবারও জানতে পারে। ওনার আরেক ফ্রেন্ড নাকি বইটা কিভাবে জানি পেয়ে গিয়েছে। কথা শুনেতো উনি বেশ দুশ্চিন্তাতে পড়ে গেলেন। ফ্রেন্ডের বাসাতে গিয়ে ভালোভাবে বুঝায়ে বলেন: এই বইতে ঝামেলা আছে। আমার পরিচিত অনেকে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা ফেস করেছে। তুমি বইটা পুড়ায়ে ফেলো তাড়াতাড়ি। এই কথা শুনে ওনার ফ্রেন্ড বললো যে: আমিতো বইটা অমুককে দিছি পড়ার জন্য। আমার কাছে নাই এখন। উনি যাকে ওই বইটা দিয়েছিল, সেও সুমনদার ভালো বন্ধু।

একদিন বই যার কাছে ছিল সেই ফ্রেন্ড আর বইটা যার কাছ থেকে নিছে সেই ফ্রেন্ড --- দুইজনে মিলে রিক্সা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে একটা ট্রাক এসে রিকশাটাকে সজোরে ধাক্কা মারে।বই যার কাছে ছিল সেই ফ্রেন্ড স্পটেই মারা যায়। অন্য ফ্রেন্ডটা খুব বাজে ভাবে আহত হয়।

সুমনদা এরপর থেকে কালোজাদু,শয়তানের উপাসনা এসব বিষয়কে হালকাভাবে নিতে চরমভাবে অনুৎসাহিত করেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:১৭
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×