somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভয় জাগানিয়া অল্প কয়েক বাক্যের গল্প

২১ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১/ চারপাশে শুধু চিৎকার আর চিৎকার শুনতে পাই।
কিন্তু কিভাবে সেটা সম্ভব ?
আমিতো বধির - কানে শুনি না।

২/ ট্রাঙ্ক খুলতেই ভয়ে গা শিউরে উঠলো। বিভ্রান্ত লাগছে। যা দেখলাম তা বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করছে না।
এটা কিভাবে সম্ভব ?
- গতকালকেই রাখলাম দুটো মৃতদেহ ! আর আজকে দেখছি একটা !!!!!

৩/ নতুন একটা লাইট লাগলাম। হাতে তালি দিলেই, লাইট জ্বলে আর নিভে।
প্রথম প্রথম ব্যাপারটা মজাই লাগছিল। এনজয় করছিলাম।
কিন্তু কয়েক মিনিট পর থেকে শুরু হলো সমস্যা !
যখনই আমি হাত তালি দিয়ে লাইট জ্বালাই, তখনই বিছানার নিচ থেকে হাত তালি দিয়ে কে জানি লাইট নিভিয়ে ফেলে !

৪/ এক মাসের ট্রিপ শেষ করে আবার চলে আসলাম ঢাকায়। কাল থেকে একাকী ব্যস্ত জীবনের শুরু।
ঘরে ঢুকেই চলে গেলাম গোসলে।
গোসল শেষ করার পর, বাথরুমে ঝুলানো টাওয়েলটা ইউজ করতে গিয়ে দেখি - সেটা আগে থেকেই ভেজা।
টাওয়াল কিভাবে ভিজবে ?
শেষ এক মাস তো আমি ঘরেই ছিলাম না

৫/ কলিংবেল বাজতেই দরজা খুললাম।
বাইরে পুলিশের এক লোক দাঁড়ানো।
আমাকে দেখেই পুলিশের লোক বললেন : আপনি কি মিসেস আব্দুস সামাদ ?
আমি বললাম : জি।
পুলিশটি বললেন: সরি ম্যাডাম একটা খারাপ খবর দিচ্ছি - আপনার স্বামী কিছুক্ষণ আগে সড়ক দুর্ঘটনাতে মারা গেছে।
কথাটা শুনে ভয়ার্তভাবে, পিছন ফিরে খাবার টেবিলের দিকে তাকালাম।
- গরম গরম বেড়ে দেওয়া ভাতের প্লেট নিয়ে সামাদের মুখে অদ্ভুত হাসি ,চোখগুলো যেন কোটর থেকে বের হয়ে আসছে।

৬/ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাসি দেওয়ার পরও, আয়নাতে আমাকে হাসতে দেখলাম না।

[৭/ প্রতিদিন অফিস থেকে বাসায় আসতেই বাচ্চার হাসিমাখা মুখটা প্রথমে চোখে পড়ে।
আরো ভালো লাগতো - যদি বাচ্চার মুখের নিচের অংশটাও থাকতো ।

৮/ গাড়ি চালানোর সময় পিছনের আয়নাতে দেখতে পেলাম বন্ধু সুজন সিটে বসে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। বিরক্ত লাগছে এই ভেবে, শালাকে না কালকেই কবর দিয়ে আসলাম !

৯/ এতদিন ভাবতাম আমার বিড়ালটার নিশ্চয়ই কোন সমস্যা আছে ! এক দৃস্টিতে প্রায়ই আমার দিকে চেয়ে থাকে।
কয়েকদিন ভালভাবে লক্ষ্য করার পর বুঝতে পারলাম - বিল্লিটা আমার দিকে নয়, আমার পিছনে থাকা কারো দিকে চেয়ে থাকে !

১০ গ্রামের লোকেরা বলাবলি করে, জংগলে নাকি ভূত থাকে! ব্যাপারটা আমার কাছে হাস্যকর লাগে। কারণ জংগলে আমি ছাড়া আর কেউই থাকে না।

১১/ আমার বোন বললো, আম্মু নাকি ওকে মেরে ফেলেছে
আর আমার আম্মু বললো, আমার নাকি কোন বোনই নেই !

১২/ অনেক বছর পর মেহেদীর সাথে দেখা। চুটিয়ে গল্প হল অনেকক্ষণ। রাতে খাবার টেবিলে ছোট ভাইকে মেহেদীর সাথে দেখা হওয়ার ব্যপারটা জানানোর পর, ছোট ভাই ভয় পেয়ে ভীত কন্ঠে বললোঃ মেহেদী ভাইতো ৫ বছর আগে রোড এক্সিডেন্টে মারা গিয়েছে।

১৩/ অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার সময়, রাস্তার এক ভিক্ষুক আমার পথ রোধ করে পেপার পড়তে দিল। পেপারের দিকে তাকিয়ে দেখলামঃ সেটাতে আগামীকালের তারিখ দেওয়া। আরও ইন্টারেস্টিং ব্যপারঃ পেপারের হেডলাইনে ভিক্ষুকের হাতে আমার খুন হওয়ার খবর!!

১৪/ মেকাপ ঠিক করতে আয়নার দিকে তাকাতেই শাহানা লক্ষ্য করলো, আয়নাতে ওনার কোন প্রতিচ্ছবি নেই।

১৫/ প্রচন্ড ক্লান্ত। শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দিতেই রাজ্যের ঘুম জেঁকে বসল।
হঠাৎ কানের কাছে ফিসফিসিয়ে কে জানি বলে উঠল: টেবিলে খাবার বাড়া হয়েছে ! খেতে আসুন।
বুক ধক করে কেঁপে উঠল !
- ওই ফ্ল্যাটেতো আমি লাস্ট ২ বছর ধরে একা থাকি !

১৬/ বাচ্চাকে ঘুম পাড়াচ্ছিলাম। বাচ্চাটা ভীত কণ্ঠে বললো: মা, আমার বিছানার নিচে যেন কি !
বিছানার নিচে উঁকি দিতেই, আমার বাচ্চার মতো দেখতে আরেকটা বাচ্চা কান্না কণ্ঠে বলতে লাগলো: মা, আমার বিছানার উপরে জানি কি !!






















সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৯
৮টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×