somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চীন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্ক এবং বাংলাদেশ

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত ২০ জানুয়ারী ২০২১, জো-বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের গদিতে বসার পরপরই কূটনৈতিক পাড়ায় দুটি গুঞ্জন বেশ ঢালাওভাবে চলছে।প্রথমত ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তিতে ফেরা পাশাপাশি মার্কিন-ইরান সম্পর্কে উন্নয়ন ঘটানো।বিগত ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে যা একদম তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।ট্রাম্প তার ক্ষমতা ছাড়ার শেষ দিন অব্দি ইরানের ক্ষতি সাধন করার কথা ভেবে গেছেন।শুরুটা হয়েছিলো ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে Joint Comprehensive Plan of Action (JCPOA) অর্থাৎ "ইরান পরমাণু চুক্তি" থেকে বের করে নিয়ে আসার মধ্য দিয়ে।ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে অস্বস্তিতে পড়ে চুক্তির অন্যতম ইউরোপীয় সদস্য দেশ ফ্রান্স,যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি।উপরন্তু একের পর এক ভারী অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানের অর্থনীতি চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়।তবে কথায় আছে কারো পৌষ মাস তো কারো সর্বনাশ।এক্ষেত্রে ইরানের সর্বনাশ চীনের জন্যে সুবর্ণ সুযোগ বয়ে আনে।গোটা পৃথিবীর প্রায় সব দেশ যখন ইরানের তেলের বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তখনই ইরানের তেলের গ্রাহক হিসেবে পাশে দাঁড়িয়েছে চীন।মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এখন অব্দি ইরানি তেল কেনা অব্যহত রেখেছে চীন।ইরান,চীনকে দেখছে বর্ধমান অর্থনৈতিক শক্তি এবং ডিফেন্স পার্টনার হিসেবে।ইতিমধ্যে ইরান তাদের একটি পোর্ট উন্নয়নের কাজও দিয়েছে চীনা কোম্পানির কাছে।এতে করে ইরান-চীন সম্পর্ক যেমন অগ্রগতি পাচ্ছে তেমনি এই অঞ্চলে চীনের উপস্থিতিও বৃদ্ধি পাচ্ছে ধীরে ধীরে।ট্রাম্প শুধু ইরানের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিয়েই ক্ষান্ত হন নি,২০২০ সালের ৩ জানুয়ারী ইরাকে ড্রোন হামলায় নিহত হয় ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাশেম সোলাইমানি।কাশেম সোলাইমানিকে ইরানিরা অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখতো।এই হামলার পরে ইরানের রাস্তায় লাখোলাখো মানুষের প্রতিশোধপরায়ণ অগ্নিমূর্তি দেখেছে বিশ্ব।প্রতিক্রিয়ায় ইরাকের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা পরিচালনা করেছে ইরান।ট্রাম্প তার শাসনামলের শেষ দিকে এসে ইরানের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসীন ফখরিযাদে কে খোদ ইরানের মাটিতেই হত্যার মধ্য দিয়ে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের শেষ পেরেকটি ঠুকে দেয়।যদিওবা এই হামলার দায়ভার কেউ স্বীকার করেনি তবে এতে যে ট্রাম্প প্রশাসন এবং ইসরায়েলের হাত রয়েছে তা সহজেই অনুমেয়।এছাড়াও আরব-আমিরাতের সাথে ইসরায়েলের সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখা, জেরুজালেম কে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বকৃীত প্রদান,সৌদিআরবকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন,ইরানের পরমাণু প্লান্টে সাইবার হামলা ইত্যাদি নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইরানের আঞ্চলিক স্বার্থ ব্যাহত করার সব ধরনের চেষ্টা করে গেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে ইরানের জন্য সুখবর হল জো-বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের অনেক আগে থেকেই ইরান পরমাণু চুক্তিতে ফেরার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছেন।ইরানও খুব করে চাইছে আবার এই চুক্তিতে ফিরে আসার জন্য।ইরানের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নতি করার জন্য এর বিকল্প নেই।তবে ইরান চায় প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিক।আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা আশংকা করছেন আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই ইরান পরমাণু চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি দেখা যেতে পারে।এতে করে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফেরার পাশাপাশি ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক উন্নতির দিকে যাবে।
বাইডেন প্রশাসনের সামনে আরেকটি বড় প্রশ্ন হল কী হতে যাচ্ছে আগামীর মার্কিন-চীন নীতি?বিগত ট্রাম্প প্রশাসন চীনের বিরুদ্ধে সামরিক,অর্থনৈতিক উভয়ক্ষেত্রেই মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।বিশ্ব অর্থনীতির পরাশক্তি দুই দেশের আপোষহীন বাণিজ্য যুদ্ধ দেখেছে বিশ্ব।উভয় দেশের ক্ষেত্রেই মিত্র রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।এর জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ বলতে গেলে প্রথমেই চলে আসে পাকিস্তান-ভারত প্রসঙ্গ।জর্জ ডাব্লিউ বুশ থেকে বারাক ওবামার দুই শাসনামল, পাকিস্তানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের গভীর সম্পর্ক লক্ষ্য করা গেছে।বিশেষ করে সামরিক ক্ষেত্রে।আফগানিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তান সম্পুর্নভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করে গেছে।পাকিস্তানের সামরিক সদস্যরা নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে গিয়ে সামরিক প্রশিক্ষণ লাভ করে এসেছে।পাকিস্তান সামরিক বাহিনী যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতি বছর মোটা অংকের অর্থ সহযোগিতা পেয়ে এসেছে।এছাড়াও পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম যা আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারে পাকিস্তানের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে।কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় এসেই মার্কিন সুনজর ইসলামাবাদ থেকে সরিয়ে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করেছে।ভারতের মোদি সরকারের সাথে ট্রাম্প প্রশাসনের দহরমমহরম সম্পর্ক ফাটল ধরিয়েছে মার্কিন-পাকিস্তান সম্পর্কে।একদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে সম্পর্ক অন্যদিকে লাদাখ সীমান্তে চীনা আগ্রাসনে রাশিয়ার নিরব ভূমিকা এই দুইয়ে মিলে ভারত-রাশিয়া সম্পর্কে তৈরী হয়েছে দূরত্ব। ফলে যে ভারতকে স্বাধীনতার পর থেকেই রাশিয়ার সাথে গলায় গলায় ভাব আকারে দেখা গেছে সেই ভারতই এখন পশ্চিমা বিশ্বের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলছে।বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশ ফ্রান্সের সাথে ভারতের সামরিক সম্পর্ক বিশেষভাবে লক্ষণীয়।রাশিয়ান সমরাস্ত্র কেনার চেয়ে ভারত এখন পশ্চিমা বিশ্বের সমরাস্ত্র কেনায় আগ্রহ দেখাচ্ছে।ফ্রান্স থেকে সদ্য কেনা অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান রাফায়েল তার প্রমাণ বহন করে।ট্রাম্প শাসনামলে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন কে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র-জাপান-অস্ট্রেলিয়া-ভারত মিলে গঠিত "কোয়াড গ্রুপ" সক্রিয় হয়েছে।এর বিপরীতে চীন এই অঞ্চলে তাদের প্রভাব বুঝাতে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়াকে সাথে নিয়ে সামরিক মহরার আয়োজন করে।পাকিস্তানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি পাকিস্তানে চীনের প্রবেশের দুয়ার খুলে দিয়েছে।বি.আর.আই প্রজেক্টের অংশ হিসেবে একদিকে চীন যেমন পাকিস্তানের গোয়াদার পোর্টকে সংযুক্ত করছে চীনা মূল ভূখণ্ডের সাথে অন্যদিকে পাকিস্তান কে সামরিক দিক থেকে শক্তিশালী করতে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।কারণ ভারতের সামনে একটি শক্তিশালী পাকিস্তান মানেই চীনের জন্যে স্বস্তি।
চীন সুকৌশলে শ্রীলঙ্কা,নেপাল,মিয়ানমার,মালদ্বীপে শক্ত কূটনৈতিক প্রভাব গড়ে তুলেছে।আমাদের বাংলাদেশের বড় বড় প্রজেক্টের কাজ পাচ্ছে চীনা কোম্পানিগুলো। ফলে ভারতীয় উপমহাদেশে চারদিক থেকে ঘিরে পড়ার আশংকায় ভারত ঝুঁকছে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে।তাইওয়ান ইস্যু সহ চীনের সব ধরনের বাড়তি প্রভাব বিস্তারের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলো ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাইডেন কি সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখবেন ?এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কোয়াড গ্রুপ কি আরোও বেগবান হবে নাকি বারাক ওবামা প্রশাসনের মত জো বাইডেনও এই বিষয়ে অনাগ্রহ প্রকাশ করবেন ?চীনের বাড়তি অর্থনৈতিক সক্ষমতাও যুক্তরাষ্ট্রের চিন্তার অন্যতম কারণ।অর্থনৈতিক সক্ষমতার জোরেই এতদিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব শাসনের ক্ষমতা একহাতে নিয়ে বসে ছিলো। একটি অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী চীন মানে যে ক্ষমতার বণ্টন তা অভিজ্ঞ বাইডেন অবশ্যই মাথায় রেখেছেন।তবে সমসাময়িককালে জো-বাইডেনের নির্বাচনকালীন বিভিন্ন মন্তব্য এবং চীনের প্রতি মনোভাব বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করছেন চলমান মার্কিন-চীন বৈরী সম্পর্ক আগামীতে শিথিল হবার সম্ভাবনাই বেশি।এর লক্ষণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের কথা ভাবছে।পাকিস্তানের সাথে সুসম্পর্ক মানে ভারতের সাথে দূরত্ব তৈরী। আর যুক্তরাষ্ট্র,ভারত থেকে যত দূরে থাকবে চীনের জন্য তা ততই স্বস্তির কারণ।
ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উন্নয়ন বাংলাদেশের জন্য খুব একটা মানে রাখে না।কিন্তু চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি বাংলাদেশের দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচ্য।এই অঞ্চলে বাংলাদেশের সামনে সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ মিয়ানমার। আর মিয়ানমারের উপর চীনের প্রভাব যে কতটা বেশি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।সম্প্রতি মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান চীনেরই পরোক্ষ মদতদানের ফল।যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গা গণহত্যার জন্য দায়ী,যে সেনাবাহিনীর জন্য আজ বাংলাদেশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বোঝা বহন করে চলছে আজ সেই সেনাবাহিনীই মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে বসে আছে।যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা বিবেচনা করছে।আর মিয়ানমারের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মানে মিয়ানমারের আরও বেশি চীনের দিকে ঝুঁকে যাওয়া।আর চীনও সেটাই চাইছে।কারণ ভৌগলিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ভারত মুখ খুলে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস দেখাতে পারছে না।এমনকি রোহিঙ্গা ইস্যুতেও জাতিসংঘে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ভোট প্রদানে বিরত রেখেছে নিজেকে। এর ফলে এতদিন যুক্তরাষ্ট্র,ভারত এবন চীন সবাইকে ব্যালেন্স করে চলা বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানের জন্য চীনের প্রতি কিঞ্চিৎ নত হওয়া ছাড়া বিকল্প থাকছে না।আর ভারত অবশ্যই চায় না এই অঞ্চলে তার একমাত্র বিশ্বস্ত প্রতিবেশী বাংলাদেশও চীনের প্রভাব বলয়ে চলে যাক এবং চারদিক থেকেই চীনের বলয়ে আটকে পড়ুক। ভারত অবশ্যই তার সর্বোচ্চ কূটনৈতিক চেষ্টা চালাবে ভারত মহাসাগর এবং এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পশ্চিমা বিশ্বের সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে আর বাংলাদেশ,নেপাল,ভূটান,শ্রীলঙ্কা,মালদ্বীপের মত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশগুলোকে নিজেদের প্রভাব বলয়ে রাখতে।সব কূটনৈতিক বিশ্লেষণ নির্ভর করছে জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিকে কোন দিকে ধাবিত করবেন তার উপর।বাংলাদেশ সে অনুযায়ীই তার কূটনীতি ঢেলে সাজাবে এবং অবশ্যই নিজেদের স্বার্থ মাথায় রেখেই।

লিখা:-নাহিদ হাসান
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২১
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×