একলা রুমে মাথায় হিলিয়াম তৈরি হতে থাকলে এই একটা সমস্যা- নিজেকে আর আটকানো যায় না... উড়ে যেতে হয়।
মাঝে মাঝে খড়কুটা ধরে নিজেকে আটকে রাখি- মাথার উপর চাপিয়ে দেই বাস্তবের বোঝা- যাতে উড়ে না যাই। কিন্তু আজকে সেটাও ইচ্ছে করছে না- এতটাই ক্লান্ত আজকে। তার সাথে মেসির ক্ষিপ্রতার মত হার না মানা কাশি...
চোখ জোড়া একপাক ঘু্রিয়ে নিলাম রুমের চতুর্ভাগে। কিছুই নেই ক্লান্তির ছাপ দূর করার।
ধুর বাল! কিছুই নেই!
বাহ! গালিটা তো কাজে দিয়েছে। ওই যে আলমারির বামপাশে একটা শিশি দেখা যাচ্ছে। কি যেন নাম, ডেক্সপোর্ট নাকি অক্সফোর্ড! কাশির ঔষুধ সম্ভবত।
যাই হোক, ক্লান্তি আর কাশি দূর করতে হবে, অক্সফোর্ড হোক আর ডগফোর্ড হোক খাওয়াটাই লক্ষ্য।
ঢগ ঢগ ঢগ...গিলে ফেললাম পুরো বোতলটাই।
এক বোতল অক্সফোর্ডের ইফেক্ট যে আবার কি হয় কে জানে। আমি তাড়াতাড়ি করে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম।
প্রচন্ড আরাম নিয়ে চোখটা জাস্ট বন্ধ করেছি- আর জীবনের সবথেকে অদ্ভুত ফীলিংসটা পেলাম।
গায়ের উপর থেকে কম্বলটা পরে গেলও মাটিতে। ঘুরতে থাকা ফ্যানের ব্লেডটা ছুটে গেল ডান চোখের ঠিক মাঝখানটা দিয়ে। হাহা- হিলিয়াম... সবই হিলিয়াম।
সিলিং ভেঙ্গে যখন উপরে এলাম- আকাশে তখন মিশমিশে আঁধার। অমি চাঁদটাকে খুঁজতে থাকলাম- একটু আগেও কথা হল- এখানেই তো থাকার কথা।
নেই।
কেউ নেই। নেই চাঁদ, নেই গিব্রীল।
একটু মেঘ থাকলেও হত।
কে জানি আমাকে চুলকাচ্ছে। আমাকে চুলকাচ্ছে মানে এই না যে আমার কিছু একটা অন্য মানুষ চুলকিয়ে দিচ্ছে। মানে হল, আমি যদি আমার হাতটা চুলকাই, তাহলে আমার হাতের যেটা মনে হবে, সেটাই আমার মনে হচ্ছে। খুবই অদ্ভুত একটা অনুভূতি। আমি অনেক্ষণ ইগনোর করার চেষ্টা করেও পারলাম না। চোখ বন্ধ রেখেই চেঁচালাম - "কে? কে আমাকে চুলকায়?"
কোন সাড়াশব্দ নেই।
ব্যাপারটা যথেষ্ট উইয়ার্ড।
যাহ! স্বপ্ন দেখতেছি। আমি শিওর। আমি হাতে চিমটি কাটলাম। নাহ কিছু টের পাই না। তবে যে পরিমান কাশির ওষুধ খাইসি আজকে- সেন্সেটিভিটি কমে যাওয়ার কথা। শরীরের সবথেকে সেন্সেটিভ অংগটার উপর পরিক্ষা চালিয়ে প্রমাণ পাওয়া যায় আপনি স্বপ্নে নাকি বাস্তবে। ওই যে বলে না চিমটি কাটার কথা, সেটা পুরোই আনকনসিয়াস। কারন স্বপ্নেও চিমটি কেটে ব্যাথা অনুভব করা যায়।
অনেক চিন্তা ভাবনা করে ট্রাউজারের ভিতরে হাত ঢুকালাম।
নাহ! ডাজেন্ট রিং এনি বেল। স্বপ্নই দেখছি আসলে...
আহ....আমি শান্তিতে চোখ বুজলাম।
Something in the way....
hm hm.... hm hm...
Something in the way....
hm hm.... hm hm...
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬