somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পূর্ণতা

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



লীনা হন্তদতো হয়ে চৌতির রুমের ঢুকলো। লীনার হাতে একটা সংবাদ পত্র, চৌতির মুখের সামনে ধরলো লীনা: দেখ,অঙ্কন প্রতিযোগিতা চৌতি সংবাদ পত্রের দিকে তাকালো।
লীনা:তুই তোর ছবি গুলো এই প্রতিযোগিতাতে পাঠা চৌতি:না,কি হবে শুধু শুধু মিথ্যে আশা রেখে,
বাবা সেদিন ।
(ফ্লাশব্যাক)
বসার ঘরে,চৌতির বাবা,চৌতিকে বোকা দিচ্ছে পাশে,চৌতির সৎ মা দাঁড়ানো ।
চৌতির বাবা:পড়াশোনা বাদ ছবি আঁকা - বলে চৌতির বাবা তার হাত থেকে চৌতির অর্ধ আঁকা ছবিটা ছিড়ে ফেললো,
বাবা: যে মেয়ের জন্মের সময়ে মা মারা তার আবার বাহাদুরি, আমার সংসারে বোঝা
চৌতির মা:আবার কাঁদে , অলক্ষনি মেয়ে।
(বর্তমান)
চৌতি:আমি আমার আঁকা ছবি গুলো তো ছিড়ে ফেলেছি।
লীনা:আমি খুব দুঃখিত আর কখনো বলবো না তোকে ছবি আঁকার কথা,
না,বলাই ভালো তাহলে আমি খুশি হবো
চৌতি:হুম,না,বলাই ভালো তাহলে আমি খুশি হবো ।
(অন্যদিন)
সেদিন আবার চৈতির বাবা ঢাকার বাহিরে গেছে, চৈতির মা তাদের বুয়া'কে বাসায় থাকতে বলে।
বুয়া বলছে:.... ভাবি, রাতে থাকবার পারবো না,
চৈতি'র মা: ও মা সে কি তুমি না বল্লালে রাতে থাকবে,
বুয়া.... হুম,বলছিলাম, কিন্তু বাচ্চার বাপে ফোন দিয়ে আমারে না থাকতে কয় আমি কি করবো ,আমার বাচ্চা কাঁদবে সে সামলাইতে পারবে না। কাল খুব সকালে চইলা আসমু ভাবি।
চৈতি'র মা:.. আচ্ছা যাও তোমাকে থাকতে হবে না, এদিকে আমার শরীরের জ্বর জ্বর ভাব।
বুয়া.... কি বলেন ভাবি আপনার গায়ে জ্বর..?
চৈতির মা... হুম
বুয়া.... ওষুধ খাইবেন ভাবি ?
চৈতি'র মা..... না থাক,তুমি যাও,
(রাতে) চৈতি পড়ার টেবিলে পড়ছে চৈতির ভাই বলতে লাগলো আপু তাড়াতাড়ি আসো,মায়ের যে খুব জ্বর.!
চৈতি:....কি,বলিস..?? চলতো দেখি।
চৈতির মা জ্বরে কাতরাচ্ছে বিচানায়।
চৈতি.. তার মায়ের পাশে বসে মায়ের কপালে হাত দিল,
চৈতি :ইস,জ্বরে তো শরীর পুড়ে যাচ্ছে.!
চৈতি... যাও তো জিসান ফ্রীজ থেকে বরফ বের করে আইস-ব্যাগে নিয়ে আসো,
চৈতি তার মায়ের সেবা করা শুরু করলো, এমন অবস্থায়....
(ভোর হয়ে গেছে )
সকালে চৈতির মা চৈতির বাবার সাথে ফোনে কথা বলে আর সব কিছু খুলে বলতে লাগলো।
চৈতির বাবা: আগে বললে সকালে টিকেট কাটতাম,
চৈতির মা: না তার কোনো প্রয়োজন হবে না, আর ডাক্তার আমার কাছে আছে, তোমার মেয়ের মমতা মাখা যত্নে আমি ভালো হয়ে গেছি। ও ওহো আমি আমার নিজের ভুল বুঝতে পড়েছি, আমি এতো দিন চৈতির সাথে অন্যায়ে করেছি, নিজের মেয়ে মনে করিনি, আমার খুব ভুল হয়ে গেছে, নিজে ক্ষমা করতে পারছিনা আমি।
চৈতির বাবার:... শান্ত হও ,তোমার একাকি ভুল হয়নি আমি ও নিজে কে দোষী মনে করছি, এবার থেকে আর ভুল হবে না, আমরা দুজন মিলে চৈতিকে অনেক আদর করবো, মায়া মমতা বাড়িয়ে তার সব অভিযোগ কষ্ট মুছে দিবো, দেখো চৈতি অতীতের কথা মনে রাখবে না আর।
চৈতির মা: হ্যাঁ ঠিক বলেছো তুমি, ও যায় চাইবে তাই আমরা করবো,ওর কোনো ইচ্ছে অপূর্ণতা রাখবো না। চৈতির বাবা...... হ্যাঁ চৈতির কোন ইচ্ছায় আর অপূর্ণতায় রাখবো না।
চৈতি তার বাবা ও মা মাঝে বসে তার মায়ের কাঁদে মা আছে
চৈতির মা:আমার লক্ষি মামনি,
আব্বু আম্মু তোমাকে অনেক অনেক আদর করবে ।
আমাদের দোয়া তোমার সাথে সব সময়ে থাকবে,যা মন চাইবে তাই পাবে,
কোনো ইচ্ছে অপূর্ণতা রাখবো না।
চৈতি খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেছে, যেন পৃবিথীর সব আনন্দ সে এক সাথে পেয়ে গেছে ।
চৈতি:আমার আর কিছু চাইবার নেই আমিতো আমার জীবনের সব চেয়ে দামি উপহার পেয়ে গেছি
দেখ খুশিতে আমার চোখে পানি চলে এসেছে ।
চৈতির বাবা:কোনোদিন মন খারাপ করে থাকবে না,
চৈতি: না, বাবা আমি আর কোনোদিন ও মন খারাপ করে থাকবো না ।
চৈতির বাবা:আয়,মা আমার কাছে আয় ।
চৈতি তার বাবাকে আনন্দে জড়িয়ে ধরলো,
চৈতির মা:বাবা মার দোয়া সবসময়ে
থাকবে তোমার সাথে ।
চৈতি:আমি পৃথিবীর সব সুখ এক সাথে পেয়ে গেছি
চৈতির বাবা: কিন্তু মামনি,আমি যে তোমার জন্য একটা জিনিস না কিনে থাকতে পারলাম ,
চৈতি হাসি মুখে বললো
চৈতি:কি বাবা?
চৈতির বাবা:Wait.
চৈতি তার মার দিকে তাকালো,
চৈতির বাবা:দেখ,মামনি,
চৈতি যখন দেখলো তার বাবার হাতের ছবি আঁকা সরঞ্জাম,চৈতি অবাক হয়ে গেলো কি বলে সে ভেবে পাচ্ছে না ।
চৈতির বাবা:তোমার ইচ্ছে গুলো,তোমার পছন্দের জিনিস গুলো আমি তোমার হাতে তুলে দিলাম, একদিন তুমি অনেক বড় শিল্পী হবে, আমাদের নাম উজ্জ্বল করবে ।
চৈতি ছবি আঁকা সরঞ্জাম হাতে পেয়ে খুশিতে ভাষাহীন হয়ে জিনিস গুলোর উপরে হাত বুলাতে লাগলো ।আর বাবা ও মা দিকে হাসি মুখে তাকিয়ে থাকে ।

পরিশেষ:একমাত্র বাবা ও মা পারে তাদের সন্তানদের এগিয়ে নিয়ে যেতে,সন্তানদের উপরে উঠবার সিঁড়ি কেবল মাত্র বাবা ও মা ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×