মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলিয়াছেন, আনুপাতিক হারে গুমের হার অতটা(!) আশংকাজনক নয়। আতঙ্কিত না হইলেও চলিবে। আমরা মানে এই দেশের আমজনতা আতঙ্কিত হইব কিনা বুঝিতেছিনা। কারণ আমাদের মাথার উপর মন্ত্রী মহোদয় রহিয়াছেন। তবে কিঞ্চিত সমস্যাও আছে বৈকি। আমরা গুম হইলে কিন্তু মিডিয়াতে কেউ আওয়াজ তুলিবেনা। খালি গুমের কথা বাদই দিলাম, অবস্থা এমন পর্যায়ে দাঁড়াইয়াছে, আমি যদি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণী প্রতিনিধিও হইতে চাই তাহা হইলেও আমার আত্মারাম দেহ হইতে ছুটিয়া যাইতে পারে। এজন্য বোধ হয় শরৎচন্দ্র বলিয়াছিলেন, টিকিয়া থাকাই চরম স্বার্থকতা নহে। আমরা আজিকার দিনগুলো তে বলিব গুম হওয়া থেকে নিজেবে বাঁচাইয়া রাখাটাই চরম স্বার্থকতা। চুনোপুঁটিদের কথা নাই বা বলিলাম। নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমান বলিয়াছেন তাহারও নাকি জীবনের নিরাপত্তা নিয়া সংশয় দেখা দিয়াছে। উনিও থানায় জিডি করিয়াছেন।
সমস্যাাটা হইল আমার। জিডি করা কিংবা পুলিশে অভিযোগ করার ব্যাপারটি ঠিক আমার বোধগম্য হয় না। মস্তকের একটুখানি উপর দিয়া চলিয়া যায়। আমাদের পুলিশবাহিনী কতটুকু নিরাপত্তা দিতে পারিতেছে তাহা আজ দিবালোকের মতই স্পষ্ট। মোদ্দা কথা হইল যে আমাদের জীবনের কোন গ্যারান্টি নাই। কিন্তু আমরাও গুম হইতে নজেদের বাঁচাইয়া রাখতে পারি। কিন্তু সেটি করিতে হইলে কোন রূপ অন্যায়ের বিরুদ্ধাচরণ করা যাইবেনা। ক্লাস ক্যাপ্টেন হইবার কথা কল্পনাও করা যাইবেনা। আর রাজনীতি!! উহা আমাদের জন্য নহে। ইহারা অন্য জাতের মানুষ। সমস্যাটাই এই জায়গায়। আমি তো এগুলো ছাড়িতেও পারিব না। অতএব আমাকে গুম করা হউক।