এই উপমহাদেশের বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশের একটি বিশেষ ব্যাপার আছে।। মুসলমানদের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটা বেশি প্রবণ। আমরা ধর্ম শিখেছি মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত পীর, সূফি-দরবেশদের কাছ থেকে মূলত। তাদের অক্লান্ত ধর্ম প্রচারের কারণে বেশিরভাগ মানুষ ধর্মভীরু না হলেও ধর্মপ্রিয়। একারণে আবেগ বেশি, হুজুগ বেশি।
আবার অন্যদিকে, আমরা সংস্কৃতি শিখেছি এই অঞ্চল থেকে। ফলে আমাদের অনেক সংস্কৃতির সাথে ধর্মের বিরোধ দেখা যায়। কবি সাহিত্যিকরা আমাদেরকে নারীর অনেক রূপ দেখিয়েছেন। বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুন্ডলার চেহারার যে বর্ণনা তিনি দিয়েছেন আমার তো মনে হয় এটা পড়ে তিনিই তিনবার অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। তো কথা হচ্ছে, আমরা কবি সাহিত্যিতদের বর্ণনা পড়ে উত্তেজিত হই। আবার ধর্মের প্রতি কিছুটা ভয়, লোকলজ্জার ভয়ে সেই ‘রক্ত মাংসের ক্যানভাসের’ স্বাদ নিতে পারি না। এবং এ থেকেই তৈরি হয়(আমার মতে) এক ধরনের মানসিক বিকৃতি। ভীড়ের মধ্যে তো কেউ দেখছেনা। দিই না একটু ছুঁয়ে। আবার ১০-১২ জন মিলে একটা পাপ কাজ(অপরাধ) করলে অপরাধবোধটা তেমন থাকে না। একারণে দলে দলে এই ছোঁয়াছুঁয়ির খেলায় যোগদান করে ব্যাপক কামিয়াবি হাসিল করি। কারণ ঐ যে, আমাদের তো বিশ্বাস আছেই যে, ঈমান থাকলেই একসময় না একসময় বেহেশত নিশ্চিত। সুতরাং খালি ঈমান(আল্লাহ এক এই বিশ্বাস) টা ঠিক রেখে ঝাঁপিয়ে পড়ি ভীড়ের মধ্যে এবং অমৃত সুধা লাভ করি।।