somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খাদ্যে জীবাণু সংক্রমণ রোধ

২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বেঁচে থাকতে হলে প্রতিদিন আমাদের খাবার গ্রহণ করতেই হয়। প্রতিনিয়ত আমরা ভয়ে থাকি যা খাচ্ছি তা কি আসলেই খাবার না কি বিষ। এটা সত্যি যে, একটু অসতর্ক হলেই আপনার প্রিয় খাবারটাই আপনার জন্য বিষ হয়ে যেতে পারে, যা আপনাকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে। আর একটু সতর্ক থাকলেই খাদ্যে জীবাণু সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব। নিচে সেগুলোর সংক্ষিপ্ত নোট দেয়া হল--
১. প্রথমেই চিন্তা করুন, খাদ্য সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য মাধ্যম কি কি হতে পারে? আপনার হাত, কিচেনে ব্যবহৃত ছুরি, ছাঁকনি, প্যান, বেসিন ইত্যাদি বস্তুই হতে পারে উত্তম মাধ্যম।

২. খাদ্য সংক্রমণ রোধে প্রধান যে জিনিসটাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় সেটা হল কাচা মাংস, রান্নাকৃত খাবার এবং দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার।
আপনার ফ্রিজে কখনো কাঁচা মাংস সবার ওপরের তাকে রাখবেননা। তাতে করে সেখান খেকে দূষিত রক্ত বা জীবাণু যুক্ত পানি চুইয়ে নিচে পড়বে এবং নিচের খাবারগুলোও নষ্ট হবে। সবার ওপরে রাখবেন দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার, তার নিচে রান্নাকৃত খাবার আর তার নিচে কাঁচা মাছ বা মাংস।

৩. খুব ভাল করে মনে রাখবেন, কোন ভাবে যদি দূষিত রক্ত বা পানি আপনার খাবারের সাথে মিশে যায় সেটি ভুলেও খেয়ে টাকা বাঁচানোর চেষ্টা করবেননা। পরে আপনার জীবন বাঁচানোর জন্য টাকার সমস্যা হয়ে যাবে।

৪. বাজার থেকে ফল কিনে এনেছেন। সুস্বাদু ফল। কিন্তু ফরমালিন দেয়া? নো টেনশন। লবণ পানিতে ৫ মিনিট ফল ভিজিয়ে বা ডুবিয়ে রাখুন, ফরমালিনের গুষ্টিসুদ্ধ হয়ে যাবে।

৫. বাজার থেকে অনেক সময় যে শাক সবজি কিনে আনা হয় তা ঠিকমত পরিষ্কার করা হয় না্। ফলে মাটি বা বালি লেগে থাকে। (ব্যাচেলর মেস কিংবা ছাত্রাবাসে এ ঘটনা বেশি ঘটে )। একটু কষ্ট করে বুয়া বা বাবুর্চি কে বলবেন এমনভাবে শাক সবজি ধুতে যাতে কোন ময়লা না লেগে থাকে। মাটিওয়ালা সব্জি খেলে কিন্তু ভাইরাস- ব্যাকটেরিয়া অনেক কিছুই পেটের ভিতর ঢুকে যেতে পারে।

৬. ডাইনিং টেবিলে ভাত বেড়েছেন, তরকারি বেড়েছেন। ভাল কথা, একটু কষ্ট করে ঢেকে দিন না। অনেক ঝামেলা থেকে বেঁচে যাবেন।
৭. কিছু গৃহস্থালি কীট-পতঙ্গ আছে যেগুলো মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। মাছির এদের মধ্যে অন্যতম। ছোটবেলায় আমরা সবাই শুনেছি মাছি যেখানেই বসে সেখানেই বমি করে। কিভাবে করে জানেন? মাছির জিহ্বা অনেক লম্বা। তো ধরুন, মাছি কোন খাবারে গিয়ে বসল, সে তার লম্বা জিহ্বা দিয়ে খাবার টানবে। পরে সে আরেক জায়গায় গিয়ে বসবে। তখন আবার জিহ্বা বের করবে। সে সময় তার জিহ্বায় আগের খাবারের উচ্ছিষ্টাংশ লেগে থাকবে যা পরের খাবারকে দূষিত করবে। আর মাছির জিহ্বায় কম করে হলেও কয়েক লাখ জীবাণু থাকে। ( খাবার ঢেকে রাখলেই কিন্তু এসব ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে পারেন)

৮. এ তো গেলো মাছির কথা। এবার আসি তেলাপোকার কথায়। রান্না ঘরে তেলাপোকা নেই এমন রান্নাঘর পাওয়া কষ্টকর। তেলাপোকা যদি আপনার খাবারের ওপর হেঁটেও যায়, দয়া করে ঐ খাবার আর খাবেন না। আর তেলাপোকা দমনের জন্য বাজারে অনেক কীটনাশক পাওয়া যায়। নিয়মিত কীটনাশক প্রয়োগ করলে তেলাপোকা দমন করা যাবে।(ইঁদুরের ক্ষেত্রেও একই কথা)

৯. চেষ্টা করবেন মাছ বা মাংস কাটার জন্য একটা ছুরি, আর ফল, শাক-সবজি কাটার জন্য একটা ছুরি ব্যবহার করতে। সম্ভব না হলে অবশ্যই মাছ মাংস কাটার পর ভাল করে ছুরি ধুতে হবে।

১০. বেসিন পরিষ্কার রাখতে হবে। কারণ সব জীবাণু তো ঐ রাস্তা দিয়েই যায়। আর হ্যাঁ, সেই সাথে ওপরের ট্যাপটাও। বেসিন ঝকঝকে রাখতে গিয়ে আমাদের আবার ট্যাপের কথা মনেই থাকে না।

১১. চপিং বোর্ড, কিচেনের মেঝে এগুলো নিয়মিত উপযুক্ত ডিটারজেন্ট বা ডিসইনফেক্টেন্ট দিয়ে ধুতে হবে।
আরও অনেক অনেক কথা আছে। সময় করে সেগুলোও অন্য একদিন বলব। ততদিন পর্যন্ত ভাল থাকুক আমাদের ভুড়ি :)
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×