![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/images/thumbs/Nasiruddin1073_1333180656_1-1.jpg)
১১•১১•১১ তারিখ ছিল প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনে ভোট দেয়ার শেষ দিন। ওইদিন রাতেই জানানো হয় তালিকাতে কোন সাতটি স্থান পেয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এদের নাম ঘোষণা হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে। প্রথম সাতে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয়েছে সুন্দরবন। প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যে শীর্ষে থাকা সাতটি স্থান নিয়ে আমার ধারাবাহিক সাতটি পর্বের ২য় পর্ব আজ। ২য় পর্বে থাকছে তালিকায় ২নং এ স্থান করে নেওয়া হা লং বে উপসাগর।
প্রতি সপ্তাহে থাকবে এক একটি পর্ব যাতে থাকবে ঐ স্থান সম্পর্কে যাবতীয় তত্ত্ব ও ছবি।
প্রথমেই আমরা জেনে নেই প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের ইতিবৃত্ত।
![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/images/thumbs/Nasiruddin1073_1333180694_2-2.jpg)
সুইস বংশোদ্ভুত কানাডার নাগরিক বার্নার্ড ওয়েভার প্রতিষ্ঠা করেন ‘দ্যা নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন’। বার্নার্ড ওয়েবার নতুন সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের সংগঠন প্রতিষ্ঠা করলেও এর সঙ্গে সুইস সরকারের কোন সম্পর্ক নেই। ২০০১ সালে পৃথিবীর মানবসৃষ্ট নতুন সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের জন্য সংগঠনটি নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে প্রতিযোগিতার আহ্বান করে। ফল ঘোষণা হয় ২০০৭ সালে। এ সময় সংগঠনটি দাবী করে তারা প্রায় ১০ কোটি এসএমএস ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভোট পেয়েছে। এবার প্রতিষ্ঠানটি প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়।
পৃথিবীর ২২০টি দেশ থেকে ৪৪০টি স্থান প্রাথমিকভাবে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। কিন্তু এ দৌড়ে শেষ পর্যন্ত শীর্ষে টিকে থাকে ৭৭টি স্থান। এরপর সেখান থেকে ২৮টি স্থান অংশ নেয় চূড়ান্ত পর্বে। ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ভোট চূড়ান্ত করে তালিকাটি করা হয়। তবে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারীর মধ্যে। তবে এ নির্বাচনের সার্বিক দিক নিয়েই সমালোচনার মুখে পড়েছে কর্তৃপক্ষ।
হা লং বে:
![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/images/thumbs/Nasiruddin1073_1333180731_3-3.jpg)
ভিয়েতনামের হা লং বে প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চয নিবাচনে ২য় হয়েছে।ভিয়েতনামের হা লং শহরের নামেই এর নামকরন করা হয়েছে।এই উপসাগরটির আয়তন প্রায় ১৫৫৩ বগ’কিলোমিটার।এটি ভিয়েতনামের জনপ্রিয় একটি ভ্রমনের স্থান।
![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/images/thumbs/Nasiruddin1073_1333180758_4-4.jpg)
হা লং বে সম্পকে’ একটি কাল্পনিক গল্প প্রচলিত আছে যে, এখানে ড্রাগনরা সমুদ্রে অবতরন করত।পুরানে উল্লেখিত আছে একটি বড় ড্রাগন দ্বারা হা লং বে সৃষ্টি হয়েছে যেটি একটি পব’তে বসবাস করত।
![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/images/thumbs/Nasiruddin1073_1333180786_5-5.jpg)
এর স্বচ্ছ নীল পানিতে রয়েছে নানা ধরনের চুনাপাথর যা এর সৌন্দয’ বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুন।উপসাগরে কিছুদুর পরপর রয়েছে চুনা পাথরের পাহাড়।হা লং বে তে প্রায় ৯২৮ টি দ্বীপ রয়েছে তবে বড় দ্বীপ রয়েছে মাত্র দুটি।
![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/images/thumbs/Nasiruddin1073_1333180807_6-6.jpg)
দ্বীপগুলোর অস্বাভাবিক আকৃতির কারনে এদের বিভিন্ন নাম রয়েছে।যেমন: Voi Islet (হাতি),Ga Choi Islet(ঝগড়াটে লোক),Mai Nina Islet (ছাদ)। প্রায় প্রতিটি দ্বীপই পৃথক টাওয়ার হিসেবে অবস্তিথ যাদের গড় উচ্চতা প্রায় ৫০ মিটার থেকে ১০০ মিটার।দ্বীপগুলোর উচ্চতা এবং প্রসস্ততার অনুপাত প্রায় ৬।এই দ্বীপগুলোতে পাখি,লিজাড’ সহ বিভিন্ন ধরনের প্রাণি বাস করে।
![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/images/thumbs/Nasiruddin1073_1333180828_7-7.jpg)
হা লং বে এর চারপাশে ১৬০০ লোকের একটি সম্প্রদায় ৪টি ভাসমান গ্রামে বাস করে যাদর প্রধান পেশা মাছ ধরা।তারা মাছ ধরে অথবা জলজ প্রাণী চাষ করে জীবন ধারন করে।
হা লং বে তে প্রায় ১৪ প্রজাতির ফুল, ২০০ প্রজাতির মাছ এবং মলাস্কা পব’ভুক্ত প্রায় ৪৫০ ধরনের প্রাণী রয়েছে।
![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/images/thumbs/Nasiruddin1073_1333180857_8-8.jpg)
১৯৯৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর ইউনেস্কোর ১৮ তম সম্মেলনে হা লং বে কে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষনা করা হয়।
প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য-১ :প্রকৃতির এক অপরিসীম সৌন্দয আমাজন নদী ও বন