পুলিশ যখন কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়তে শুরু করেছিলেন তখন সমস্ত আলগা মাটি কোদালের সাথে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছিল।কিছুক্ষণ খোঁড়ার পর মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে এসেছিল সদ্য বাঁশের তৈরি একটা চাটাই ৷চাটাই সরানোর পর বেরিয়ে এসেছিল আড়াআড়ি ভাবে সাজানো কিছু কাঁচা বাঁশ৷বাঁশগুলি দেখে মনে হয়েছিল ঠিক যেন কবরের উপরে সাজানো রয়েছে৷দু’টো বাঁশের মাঝখানে সামান্য একটু ফাঁক ছিল৷কাজী আবেদ হোসেন সেই ফাঁক দিয়ে উঁকি দিতেই বেরিয়ে এসেছিল বিকট ভ্যাপসা এক গন্ধ৷সেই গন্ধে দম যেন বেরিয়ে আসতে চায়।নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রেখে মোবাইলের আলো ভেতরে ফেলে তিনি দেখতে পেয়েছিলেন কবরের একটি মুখ।সেই মুখে উঁকি দিতেই তিনি একটি সুড়ঙ্গ পথ দেখতে পেয়েছিলেন।মোবাইলের আলো আর একটু ভেতরের দিকে দিতেই তিনি দেখতে পেয়েছিলেন ,
২জন মানুষ একজন অন্যজনকে জড়িয়ে ধরে খুবই ধীর গতিতে নড়ছিল।মানুষ ২জন ছিল অর্ধ মৃত প্রায়।তবুও তাদের ছিল বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা।একজন অন্যজনকে সাপের মত পেঁচিয়ে ছিল।তিনি সাথে সাথে তার পকেট থেকে নোটবুক বের করে ফায়ার ব্রিগেডকে ফোন দিয়েছিলেন আর বলেছিলেন বাসস্ট্যান্ডের কাছেই আমি কবর থেকে দু’জন মানুষকে উদ্ধার করছি,যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গাড়ি নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছাতে হবে।বলেই তিনি কবরের মধ্যে নেমে পড়েছিলেন।তার ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাইরেন বাজিয়ে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে গিয়েছিল।তার নির্দেশ মত গাড়িটিকে এমন ভাবে সুড়ঙ্গের মুখের দিকে রাখা হল যাতে অতি সহজেই মানুষ দু’জনকে গাড়িতে তোলা যায়।গাড়িটিকে সঠিক স্থানে রেখে ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা কবরের ভিতর নেমে গিয়েছিলেন্ আর তিনি ছিলেন কবরের সুড়ঙ্গ মুখে। তারা পর্যায়ক্রমে মানুষ দু’জনকে তুলে কাজী আবেদ হোসেনের হাতে দিয়েছিলেন ।তিনি নিজ হাতে একজনকে গাড়িতে তুলেছিলেন এবং অপর জনকে গাড়িতে তোলার সময় কাজী আবেদ হোসেনের হাতের উপর একটা কাঁপুনি দিয়ে তিনি মারা গিয়েছিলেন।
(চলবে)
বিঃদ্রঃ[তথ্যসূত্র শেষ পর্বে প্রকাশ করা হবে]