somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

২২ঘন্টা পর কবর থেকে উদ্ধার জীবন্ত মানুষ(পর্ব-৩)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পুলিশ যখন কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়তে শুরু করেছিলেন তখন সমস্ত আলগা মাটি কোদালের সাথে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছিল।কিছুক্ষণ খোঁড়ার পর মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে এসেছিল সদ্য বাঁশের তৈরি একটা চাটাই ৷চাটাই সরানোর পর বেরিয়ে এসেছিল আড়াআড়ি ভাবে সাজানো কিছু কাঁচা বাঁশ৷বাঁশগুলি দেখে মনে হয়েছিল ঠিক যেন কবরের উপরে সাজানো রয়েছে৷দু’টো বাঁশের মাঝখানে সামান্য একটু ফাঁক ছিল৷কাজী আবেদ হোসেন সেই ফাঁক দিয়ে উঁকি দিতেই বেরিয়ে এসেছিল বিকট ভ্যাপসা এক গন্ধ৷সেই গন্ধে দম যেন বেরিয়ে আসতে চায়।নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রেখে মোবাইলের আলো ভেতরে ফেলে তিনি দেখতে পেয়েছিলেন কবরের একটি মুখ।সেই মুখে উঁকি দিতেই তিনি একটি সুড়ঙ্গ পথ দেখতে পেয়েছিলেন।মোবাইলের আলো আর একটু ভেতরের দিকে দিতেই তিনি দেখতে পেয়েছিলেন ,
২জন মানুষ একজন অন্যজনকে জড়িয়ে ধরে খুবই ধীর গতিতে নড়ছিল।মানুষ ২জন ছিল অর্ধ মৃত প্রায়।তবুও তাদের ছিল বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা।একজন অন্যজনকে সাপের মত পেঁচিয়ে ছিল।তিনি সাথে সাথে তার পকেট থেকে নোটবুক বের করে ফায়ার ব্রিগেডকে ফোন দিয়েছিলেন আর বলেছিলেন বাসস্ট্যান্ডের কাছেই আমি কবর থেকে দু’জন মানুষকে উদ্ধার করছি,যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গাড়ি নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছাতে হবে।বলেই তিনি কবরের মধ্যে নেমে পড়েছিলেন।তার ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাইরেন বাজিয়ে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে গিয়েছিল।তার নির্দেশ মত গাড়িটিকে এমন ভাবে সুড়ঙ্গের মুখের দিকে রাখা হল যাতে অতি সহজেই মানুষ দু’জনকে গাড়িতে তোলা যায়।গাড়িটিকে সঠিক স্থানে রেখে ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা কবরের ভিতর নেমে গিয়েছিলেন্ আর তিনি ছিলেন কবরের সুড়ঙ্গ মুখে। তারা পর্যায়ক্রমে মানুষ দু’জনকে তুলে কাজী আবেদ হোসেনের হাতে দিয়েছিলেন ।তিনি নিজ হাতে একজনকে গাড়িতে তুলেছিলেন এবং অপর জনকে গাড়িতে তোলার সময় কাজী আবেদ হোসেনের হাতের উপর একটা কাঁপুনি দিয়ে তিনি মারা গিয়েছিলেন।

(চলবে)

বিঃদ্রঃ[তথ্যসূত্র শেষ পর্বে প্রকাশ করা হবে]
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×