somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

২২ঘন্টা পর কবর থেকে উদ্ধার জীবন্ত মানুষ(পর্ব-৬)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সুন্দর পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নিলো শাহজাদা৷মানসিক ভারসাম্যহীন হাবিবুর রহমানকে পাঠানো হলো ঢাকার পি. জি হাসপাতালে৷ ঠিক পরদিন গ্রামবাসী বাসস্ট্যান্ডের কাছে অবস্থিত সেই বাড়িটি ভেঙ্গে ধূলিসাৎ করে দিল৷কাজী আবেদ হোসেনকে একের পর এক পরিস্থিতি এত দ্রুত মোকাবেলা করতে হয়েছিল যে,ঘটনার সেই মুহূর্তে অনেক কিছুই তার ভাবনার বাহিরে ছিল৷পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলে বেশ কিছু প্রশ্ন তার মনে দানা বাঁধে৷প্রথমে তিনি ভাবলেন,তাকে ভরাট-ভয়ার্ত কন্ঠে বিচলিতভাবে ফোনটা কে দিয়েছিল?মহিলা ৩জনের একজন কেন তাকে আঙ্গিনার কথা বলল?কবরের মেঝে কেন ঘরের দেয়ালের মত মসৃণ ছিল?অন্ধকার ঐ গুহার মাঝে সুন্দর করে কেন মাদুর বিছানো ছিল? কেন ই বা মাদুরের উপর পাউরুটির অংশ বিশেষ আর বিড়ির পোড়া অংশ ছড়ানো –ছিটানো অবস্থায় পড়ে ছিল? কিভাবে ঐ অন্ধকার গুহায় তারা বেঁচে থাকল?জীবিত দু’জনকে উদ্ধারের পর, সাথে সাথে কেন-ই বা একজন মারা গেল?প্রশ্নগুলো মাথায় আসার সাথে সাথেই তিনি বারহাট্টা থানায় পুলিশ হেফাজতে রাখা সেই তিন মহিলার কাছে ছুটে গেলেন৷তাদেরকে অনেক জিজ্ঞেসাবাদের পর একজন বললেল,তার স্বামী বাবলুই কাজী আবেদ হোসেনকে ফোন করেছিল৷কারণ বাবলুই অপরাধটা সংঘঠিত করেছিল৷অপরাধ করার পর বাবলু যখন বুঝতে পেরেছিল তার বাঁচার কোন পথ নেই তখনই সে-ই তাকে ফোন করেছিল৷মহিলা তিনজনের সহযোগীতায় বাবলুকে গ্রেপ্তার করা হলেও অনেক চেষ্টা করে ও তার কাছ থেকে সত্যি তথ্য উদঘাটন করা গেল না৷প্রকৃত সত্যি ঘটনা ঘাতক বাবলু,শাহজাদা আর হাবিবুর রহমান ছাড়া কেউ-ই জানত না৷ঘাতক বাবলু নিজেকে বাঁচানোর জন্যে নিজের মত গল্প বলতে শুরু করল।যা দিয়ে সত্যতা প্রমান হয় না।বাঁচার জন্যে বাবলু নিজের মত করে বলবে এটাই স্বাভাবিক৷শাহজাদা মৃত৷বাকী থাকল হাবিবুর কিন্তু সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ঢাকার পি. জি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷তাই সত্যি ঘটনা উদঘাটনের জন্য হাবিবুরের সুস্থ হয়ে ফিরে না আসা পর্যন্ত কাজী আবেদ হোসেনকে ও অপেক্ষা করতে হল৷

[চলবে]



বিঃদ্রঃ[তথ্যসূত্র শেষ পর্বে প্রকাশ করা হবে]২২ঘন্টা পর কবর থেকে উদ্ধার জীবন্ত মানুষ এর লিংক
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×