সুন্দর পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নিলো শাহজাদা৷মানসিক ভারসাম্যহীন হাবিবুর রহমানকে পাঠানো হলো ঢাকার পি. জি হাসপাতালে৷ ঠিক পরদিন গ্রামবাসী বাসস্ট্যান্ডের কাছে অবস্থিত সেই বাড়িটি ভেঙ্গে ধূলিসাৎ করে দিল৷কাজী আবেদ হোসেনকে একের পর এক পরিস্থিতি এত দ্রুত মোকাবেলা করতে হয়েছিল যে,ঘটনার সেই মুহূর্তে অনেক কিছুই তার ভাবনার বাহিরে ছিল৷পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলে বেশ কিছু প্রশ্ন তার মনে দানা বাঁধে৷প্রথমে তিনি ভাবলেন,তাকে ভরাট-ভয়ার্ত কন্ঠে বিচলিতভাবে ফোনটা কে দিয়েছিল?মহিলা ৩জনের একজন কেন তাকে আঙ্গিনার কথা বলল?কবরের মেঝে কেন ঘরের দেয়ালের মত মসৃণ ছিল?অন্ধকার ঐ গুহার মাঝে সুন্দর করে কেন মাদুর বিছানো ছিল? কেন ই বা মাদুরের উপর পাউরুটির অংশ বিশেষ আর বিড়ির পোড়া অংশ ছড়ানো –ছিটানো অবস্থায় পড়ে ছিল? কিভাবে ঐ অন্ধকার গুহায় তারা বেঁচে থাকল?জীবিত দু’জনকে উদ্ধারের পর, সাথে সাথে কেন-ই বা একজন মারা গেল?প্রশ্নগুলো মাথায় আসার সাথে সাথেই তিনি বারহাট্টা থানায় পুলিশ হেফাজতে রাখা সেই তিন মহিলার কাছে ছুটে গেলেন৷তাদেরকে অনেক জিজ্ঞেসাবাদের পর একজন বললেল,তার স্বামী বাবলুই কাজী আবেদ হোসেনকে ফোন করেছিল৷কারণ বাবলুই অপরাধটা সংঘঠিত করেছিল৷অপরাধ করার পর বাবলু যখন বুঝতে পেরেছিল তার বাঁচার কোন পথ নেই তখনই সে-ই তাকে ফোন করেছিল৷মহিলা তিনজনের সহযোগীতায় বাবলুকে গ্রেপ্তার করা হলেও অনেক চেষ্টা করে ও তার কাছ থেকে সত্যি তথ্য উদঘাটন করা গেল না৷প্রকৃত সত্যি ঘটনা ঘাতক বাবলু,শাহজাদা আর হাবিবুর রহমান ছাড়া কেউ-ই জানত না৷ঘাতক বাবলু নিজেকে বাঁচানোর জন্যে নিজের মত গল্প বলতে শুরু করল।যা দিয়ে সত্যতা প্রমান হয় না।বাঁচার জন্যে বাবলু নিজের মত করে বলবে এটাই স্বাভাবিক৷শাহজাদা মৃত৷বাকী থাকল হাবিবুর কিন্তু সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ঢাকার পি. জি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷তাই সত্যি ঘটনা উদঘাটনের জন্য হাবিবুরের সুস্থ হয়ে ফিরে না আসা পর্যন্ত কাজী আবেদ হোসেনকে ও অপেক্ষা করতে হল৷
[চলবে]
বিঃদ্রঃ[তথ্যসূত্র শেষ পর্বে প্রকাশ করা হবে]২২ঘন্টা পর কবর থেকে উদ্ধার জীবন্ত মানুষ এর লিংক