কাজী আবেদ হোসেনের নেতৃত্বে মোহনগঞ্জবাসীর সহায়তায় প্রসারিত হল ‘‘শিয়ালজানির”উৎসমুখ।শুধু উৎস মুখকে যৌবন ফিরিয়ে দিয়ে তারা আনন্দিত হতে পারল না।তারা পুরো ‘‘শিয়ালজানি”কে- ই ভরা যৌবনে দেখতে চাইল ।তাই তারা রুটিন মাফিক খাল খনন করতে থাকল।সবাইকে অবাক করে দিয়ে অবৈধ স্থাপনার মালিকগণ নিজ নিজ অর্থ দিয়ে খাল খননের ব্যাপারে দরিদ্র শ্রমিকদের অনুপ্রাণিত করতে লাগলেন।এ নিয়ে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মাঝে শুরু হল রীতিমত প্রতিযোগীতা।কাজী আবেদ হোসেনের দ্বারা তারা এমন ভাবেই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হল যে,এই মহৎ কাজের জন্যে অর্থ ব্যয় করতে তারা কুন্ঠিত হলেন না।ফলে খাল খনন কর্মকান্ডটি ২ ধাপে বিভক্ত হয়ে গেল।প্রথম ধাপে যারা খাল খনন করত, তারা সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করত।২য় ধাপে ছিল দরিদ্র শ্রমিক শ্রেণী।তারা খাল খননের কাজ করত ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সহায়তায়।এক এক জন ধনাঢ্য ব্যক্তি স্বেচ্ছায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিদিন ২০০জন শ্রমিকের মজুরী প্রদান করতেন।কে কার আগে এই মজুরী পরিশোধ করতে পারে তা নিয়েও চলত ধনাঢ্য ব্যক্তি বর্গের মাঝে কঠিন প্রতিযোগীতা।সুশৃঙ্খল নিয়ম-নীতি আর ধনাঢ্য ব্যক্তি বর্গের প্রতিযোগীতার মধ্য দিয়ে সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলছিল ‘‘শিয়ালজানির”হারানো যৌবন ফিরিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম।ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে ন্যায়-নীতি,সততা আর দক্ষতার মাধ্যমে অক্লান্ত পরিশ্রমের দ্বারা পুরো মোহনগঞ্জবাসীকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে একই প্লাটফর্মে একত্রিত করে তিনি যে মহান দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন তা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল হয়ে থাকবে।
(চলবে)