ঠিক এই বিজ্ঞপ্তিটি আমাকে দিয়েছেন আমার এক বন্ধু।
হোয়াটএ্যাপ ম্যাসেঞ্জারে এক বন্ধু একটি ইমেজ পাঠিয়েছিলেন আমাকে। একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি। ইমেজটিতে থাকা লেখাগুলো পাঠ করে মনে কিছুটা কষ্ট পেলাম। বন্ধুকে তার ইমেজের জবাবে ছোট্ট একটি মেসেজ দিয়ে উত্তর পাঠিয়েছি। সেই উত্তরটিই সামান্য এডিট করে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য এই পোস্ট।
ইমেজের কথাগুলোতে একটা সত্য উঠে এসেছে। ইমেজের কথাগুলো যিনিই লিখে থাকুন না কেন, যে উদ্দেশ্যেই লিখুন না কেন, আর এই ইমেজের লেখাগুলোতে যদিও হাসির খোরাক থেকে থাকে, কিন্তু দু:খজনক হলেও অনেক এলাকার মসজিদেরই রমজান পরবর্তী বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে ছোট্ট এই ইমেজটিতে। রমজানোত্তর অধিকাংশ মসজিদের দৃশ্য হতাশাজনক। শহরের মসজিদগুলোর অবস্থা একটু ভিন্ন হলেও বিশেষত: আমাদের পাড়া মহল্লা, গ্রামে গঞ্জের যে মসজিদগুলোতে রমজানে তিল ধারণের ঠাই থাকতো না, যে মসজিদগুলোতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ভরপুর মুসল্লি হতো, সেগুলোতে ঈদের পর থেকেই অনেকটা ভিন্ন চিত্র। এক কাতার দু'কাতার মুসল্লি। রমজান চলে গেল তো নামাজেও কি এক অদৃশ্য অলসতা। নামাজ পড়ার জন্য কেমন যেন এখন আর মন টানে না। মনের ভেতরে খা খা শুন্যতা। মসজিদের সাথে সেই যে গভীর সম্পর্ক সেটা কেন যেন পাতলা হয়ে গেল! এমনটা কেন হয়? প্রিয় ভাই, আসুন, নিজের কাছে নিজেই প্রশ্ন করি, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কি শুধু রমজানের এক মাস আমাদের জন্য ফরজ ছিল? ঈদের পর থেকে কি আমাদের নামাজ মওকুফ হয়ে গেল?
এই যে রমজান শেষ হওয়ার সাথে সাথে মসজিদের সাথে মুসল্লিদের, মানে আমাদের সম্পর্কেও যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে গেল, এমনটা কোনোক্রমেই কাম্য নয়। মসজিদের সাথে আমাদের সম্পর্ক হোক প্রতি দিনের প্রতি ওয়াক্ত নামাজের, আমৃত্যু এবং আজীবনের। আল্লাহ পাক আমাদের তাওফিক দান করুন। তিনি সকলের মঙ্গল করুন। সকলে ভালো থাকুন। শুভকামনা।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮