somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

প্রায় সাড়ে ১৩০০ বছর পরে দুই সাহাবীর অবিকৃত লাশ এবং কবর স্থানান্তরের বিস্ময়কর, ঐতিহাসিক এবং ঈমান জাগানিয়া সেই ঘটনাটি

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কুরআন হাদিসের আলোকে শহীদগনের বিশেষ মর্যাদা:
শহীদগন পার্থিব জীবন ত্যাগের পরেও অমর হয়ে থেকে যান। তারা মৃত্যুর পর কবরের যিন্দেগী বা আলমে বরযখে অনন্য হায়াতে জীবিত থাকেন। তবে একে আমরা ‍উপলব্ধি করতে পারি না। এ প্রসঙ্গে পবিত্র আল কুরআনে বিভিন্ন স্থানে আলোচনা করা হয়েছে। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন--
وَلَا تَقُولُوا لِمَن يُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتٌ ۚ بَلْ أَحْيَاءٌ وَلَٰكِن لَّا تَشْعُرُونَ
“আল্লাহর পথে যারা নিহত হয়, তোমরা তাদেরকে মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত। তবে তা তোমরা উপলব্ধি করতে পারো না।”
(সূরাহ বাকারা, আয়াত নং ১৫৪)

শহীদগন কবর বা বারযাখেও জীবিত, শুধু এতটুকুই শেষ নয়, তারা মহান প্রতিপালকের পক্ষ থেকে রিযিকপ্রাপ্তও হয়ে থাকেন:
তাই শহীদগণ সেই অনন্য জীবনে জীবিত মানুষের অনেক বিশেষ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হন। সে সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন--
وَلَا تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا ۚ بَلْ أَحْيَاءٌ عِندَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ
“যারা আল্লাহর পথে নিহত (শহীদ) হয়েছে, তোমরা তাদেরকে মৃত জ্ঞান করো না। বরং তারা জীবিত; তাদের রব-প্রতিপালকের নিকট তারা রিযিকপ্রাপ্ত হয়।” (সূরাহ আলে ইমরান, আয়াত নং ১৬৯)

প্রায় ১৩০০ বছর পরে দুই সাহাবীর অবিকৃত লাশ এবং কবর স্থানান্তরের বিস্ময়কর ঐতিহাসিক ঘটনা
মুহাক্কিকগনের প্রবল ধারণা, বক্ষমান নিবন্ধের ঘটনাটি যে মহান দুই সাহাবীকে নিয়ে তারাও শহীদের মর্যাদাপ্রাপ্ত অনন্য সৌভাগ্যের অধিকারী হয়ে থাকবেন। সুদীর্ঘ প্রায় সাড়ে ১৩০০ বছর পরে তাদের দু'জনের অবিকল অবিকৃত তাজা লাশ এক কবর থেকে উঠিয়ে নিয়ে অন্য কবরে দাফনের মাধ্যমে প্রমান হয়েছে, এ ঘটনা ইসলামের সত্যতার অনন্য নিদর্শন হিসেবে আল্লাহ তাআ'লার পক্ষ থেকে বিশেষ ঘটনা। ১৩৫০/৫১ হিজরি সালের ২০ জিলহজ, সোমবার দুপুরের (এপ্রিল, ১৯৩২ সাল) এক বিস্ময়কর ঘটনা। দু'জন বিশিষ্ট সাহাবির কবর খোলা হয় এক স্বপ্নের ইশারায়। ২০ জিলহজ কবরদ্বয় খোলার পর দেখা যায়, দুই সাহাবির লাশ অক্ষত অবস্থায় বিদ্যমান। তাদের শরীর কিংবা কাফনে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি, মনে হচ্ছিল যেন কিছুক্ষণ আগে তাদের দাফন করা হয়েছে। সাড়ে তেরোশ বছর পূর্বে যারা ইন্তেকাল করেন, দাফনের এত শতাব্দী পরও তাদের লাশ এভাবে অপরিবর্তনীয় থাকার এক বিস্ময়কর দৃশ্য দেখে তখন ইহুদি-খৃস্টানদের বিপুলসংখ্যক লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। আজ থেকে ৮৭ বছর পূর্বের এ বিস্ময়কর ঘটনা মানুষকে চিরকাল ইসলামের সত্যতা ও অনাবিল শান্তির পয়গাম দিতে থাকবে। ঘটনাটি যেভাবে ঘটেছিল তার বিস্তারিত বর্ণনা সহৃদয় পাঠক ভাই বোনদের খেদমতে উপস্থাপন করছি-

১৯৩২ সাল। ঐতিহ্যবাহী নগরী মাদায়েন যার বর্তমান নাম সালমান পার্ক।

সালমান পার্ক, একটি প্রাচীন জনপদ, যার অবস্থান ইরাকের রাজধানী বাগদাদ থেকে ৪০ মাইল দূরে। একসময় এটি ছিল পারস্য সম্রাজ্যের রাজধানী। কিন্তু কালক্রমে ছোট হতে হতে এটি আজ ছোট জনবসতির আকারে এসে ঠেকেছে।

সালমান পার্কে সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে সর্বপ্রথম কবরস্থ হন বিখ্যাত সাহাবী হযরত সালমান ফার্সী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু। এর প্রায় তেরশত বছর পর সেখানে সমাহিত হন আরো দু'জন সাহাবী ! একজন হলেন হযরত হুজাইফাতুল ইয়ামান রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু এবং অপরজন হযরত জুবাইর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু।

প্রথমে সাহাবীদ্বয় রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুমার কবর ছিল সালমান পার্ক থেকে দুই ফার্লং দূরে একটা অনাবাদী জায়গায়, যার নিকট দিয়ে বয়ে চলছে ঐতিহাসিক দজলা নদী। একটি বিস্ময়কর ঘটনার কারণে তাদের কবর সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।

তখনকার ইরাকের বাদশাহ বাদশাহ ফয়সাল। বকে রাতে তিনি স্বপ্নে দেখেন হযরত হুজাইফা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলছেন- “আমাদের বর্তমান অবস্থান থেকে সরিয়ে অন্যত্র দাফন করা হোক। কারণ, আমার কবরে পানি জমতে শুরু করেছে, আর হযরত জুবাইর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু -এর কবরে পানি প্রবেশ করার উপক্রম হয়েছে”।

রাষ্ট্রীয় কাজের চাপে থাকায়, বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে বাদশাহ ফয়সাল স্বপ্নের কথা ভুলে যান। পরের রাতেও তিনি একই স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু এবারও নানাবিধ ঝামেলার কারণে স্বপ্নের সে নির্দেশ পালন করতে পারেননি।

তৃতীয় রাতে হযরত হুজাইফা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু ইরাকের প্রধান মুফতি সাহেবকে স্বপ্ন যোগে একই নির্দেশ দেন। সেই সাথে এও বলেন যে, আমি পরপর দু’রাত বাদশাকে এ ব্যাপারে অবহিত করেছি। কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেননি। এখন আপনার দায়িত্ব হচ্ছে, আমার এ নির্দেশটি তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়া এবং যথাশীঘ্র আমাদেরকে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করা।

পরদিন সকাল হওয়া মাত্রই মুফতী সাহেব প্রধানমন্ত্রী নূরী আসসাঈদকে টেলিফোন করলেন। বললেন, 'আমি বিশেষ প্রয়োজনে আপনার কাছে এক্ষুণি আসছি। আপনার রুটিনমাফিক রাষ্ট্রীয় কোন কাজ থেকে থাকলেও মেহেরবানী করে আমাকে আগে সময় দিয়ে সে কাজের জন্য পরে বের হবেন।'

প্রধানমন্ত্রী বললেন, 'ঠিক আছে আপনি আসুন। আমি আপনার অপেক্ষায় থাকছি।'

প্রধানমন্ত্রী নূরীর সাথে সাক্ষাৎ হলে মুফতি সাহেব স্বপ্নের বিস্তারিত বিবরণ পেশ করলেন। সবকিছু শুনে প্রধানমন্ত্রী তৎক্ষণাৎ বাদশাহর সাথে মুফতি সাহেবের সাক্ষাতের সুযোগ করে দেন, সাথে নিজেও তার সাথে উপস্থিত হন। মুফতি সাহেবের মুখ থেকে সব কিছু শুনে বাদশাহ বলেন, 'হ্যাঁ, আমিও পরপর দু'রাত এই একই স্বপ্ন দেখেছি এবং একইরকম নির্দেশও পেয়েছি। আমি তো ভেবেই পাচ্ছিলাম না, এ আমি কি দেখলাম! আর কি আমার করা উচিত! আপনি এসে ভালোই করেছেন। এখন আপনিই বলেন, করণীয় কি হতে পারে।'

মুফতি সাহেব বললেন, 'তিনি তো স্পষ্ট করেই লাশ সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাই, আমার মনে হয় অতিসত্বর তাঁর আদেশ পালন করা উচিৎ।'

বাদশাহ বললেন, 'ঠিক আছে, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক আপনি এইধরণের সুদীর্ঘ শত শত বছর পরে কোনো লাশ স্থানান্তর করার বিষয়ে কুরআন হাদিসের আলোকে ফায়সালামূলক ফতোয়া উপস্থাপন করুন, যাতে আমরা কোনো ভুল পদক্ষেপ না নিয়ে বসি।'

তখন মুফতি সাহেব সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুমার কবর স্থানান্তর করার ফতোয়া লিখে দেন। এরপর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, সামনের কুরবানীর ঈদের দিন যুহরের নামাজের পর সম্মানিত দুই সাহাবীর কবর খুঁড়ে লাশ মুবারক তুলে কোনো নিরাপদ স্থানে দাফন করা হবে।

ইরাকের পত্র পত্রিকায় খবরটি প্রচারিত হওয়ার সাথে সাথে সমগ্র ইরাকে আনন্দের ঢেউ খেলে যায়। তাছাড়া রয়টারসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোও মুহূর্তের মধ্যে খবরটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়।

বলা বাহুল্য, তখন ছিল হজের মৌসুম। তাই লক্ষ লক্ষ মুসলমান মক্কা নগরীতে সমবেত ছিলেন। এ সংবাদ শোনার পর হাজী সাহেবরা বাদশার কাছে আবেদন জানালেন, তারাও মহান সাহাবীদের চেহারা দর্শনে আগ্রহী, তাই অনুগ্রহপূর্বক তারিখটা আরো কয়েকটা দিন পিছিয়ে দিলে ভালো হয়। এদিকে ইরান, তুরস্ক, লেবানন, ফিলিস্তিন, হেজাজ, বুলগেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা, রাশিয়া, ভারত প্রভৃতি রাষ্ট্র থেকে বাদশাহর কাছে একই আবেদন সম্বলিত অসংখ্য বার্তা আসতে থাকে।

বাদশাহ ফয়সাল পড়লেন মহাবিপাকে। একদিকে গোটা মুসলিম বিশ্বের তারিখ পেছানোর আবেদন আর অন্যদিকে দ্রুত লাশ স্থানান্তরে দুই মহান সাহাবির পক্ষ থেকে স্বাপ্নিক নির্দেশ। এমতাবস্থায় কি করবেন তিনি? তার চিন্তা হলো, যদি সত্যি সত্যি মাজারে পানি এসে থাকে, তবে তো বিলম্ব করার কারণে মাজারদ্বয়ের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

অবশেষে এ ব্যপারে পরামর্শ হলো। বহু আলোচনা পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত হলো, আপাততঃ কিছুদিন যাতে কবরের ভিতরে পানি প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য নদীর দিক থেকে দশ ফুট দূরে একটা গভীরগর্ত করে সেখানে কাঁকড় ফেলা হবে। আর সারা বিশ্বের মুসলমানদের আগ্রহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন পূর্বক পূর্বের তারিখটি আরো দশ দিন পিছিয়ে দেয়া হলো। অর্থাৎ, লাশ স্থানান্তর করা হবে পবিত্র ঈদুল আযহার দশ দিন পরে সোমবার দুপুর বারটায়, ইনশাআল্লাহ।

এ ঘোষণার পর ক'দিনের মধ্যেই সালমান পার্কের ছোট্ট জনপদটি লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। অনেক জ্ঞানী-গুণী, রাষ্ট্রদূত, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও লক্ষ লক্ষ রাসূল প্রেমিকের ঢল নামে সালমান পার্কে। লাখো মানুষের সমাগমে আরেক বাগদাদে পরিণত হয় সালমান পার্ক এলাকাটি। হাজারো তাবুতে ভরে যায় মাদায়েনের ঐতিহাসিক মাঠটিও। একটি গ্রহণযোগ্য হিসাব অনুযায়ী আগত দর্শনার্থীদের সংখ্যা ছিল প্রায় পাঁচ লাখ।

অবশেষে সেই দিনটি এলো। লক্ষ লক্ষ জনতার উপস্থিতিতে কবর খোঁড়া হলো। দেখা গেল সত্যিই হযরত হুযাইফাতুল ইয়ামান রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর কবরে কিছু পানি জমে গেছে এবং হযরত জুবাইর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর কবরে কিছুটা আর্দ্রতা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থা প্রত্যক্ষ করে সমবেত জনতা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে। তাদের কণ্ঠে বারবার উচ্চারিত হতে থাকে 'আল্লাহু আকবার' ধ্বনি। চোখে নেমে আসে অশ্রুর প্লাবন। তাদের এ কান্নায় শরীক হতে সালমান পার্কের পবিত্র ভূমিও যেন আবেগপ্লুত হয়ে কাঁদছিল সেদিন।

ইরাকের বাদশাহ ফয়সালের তাকদীরে এই সৌভাগ্য লিখা ছিল যে, তিনি নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দু’জন প্রখ্যাত সাহাবী- মাদায়েনের গভর্ণর হযরত হুযাইফাতুল ইয়ামান এবং সাইয়্যিদুনা হযরত জুবাইর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর আদেশ পালন করে তাদের লাশ মোবারক বহনের বিরল কিসমত অর্জন করে নিজের জীবন ধন্য করবেন, আর প্রায় সাড়ে তেরোশত বছর পরের এই যুগের লক্ষ লক্ষ মানুষ এই সাহাবীদের অবিকল অবিকৃত শরীর মোবারক প্রত্যক্ষ করে তাদের চক্ষু শীতল করবে আর নিজেদের সৌভাগ্যমন্ডিত মনে করবে।

কবর খননের পড়ে দেখা গেল, দুই সাহাবীর পবিত্র শরীর ছিল সম্পূর্ণ অক্ষত। এমনকি কাফন এবং দাড়ির সকল চুলও। চোখের পাপড়িও ছিল স্বাভাবিক। এটা ইসলাম ধর্মের সত্যতার একটি গায়েবী প্রমাণ।

বাদশাহ ফয়সালের নেতৃত্বে তার মন্ত্রী ও কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন ইসলামী দেশ থেকে আগত রাষ্ট্রদূতগণের সহায়তায় প্রথমে হযরত হুযাইফা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর লাশ মুবারক কবর থেকে ক্রেন দ্বারা তোলা হলো। ক্রেনের সাহায্যে তাঁর পবিত্র লাশটি এমনভাবে তোলা হয় যে, মোবারক লাশটি আপনাতেই ক্রেনের মাথায় ফিট করে রাখা ট্রেচারে এসে পৌঁছায়। অতঃপর স্ট্রেচারটি ক্রেন থেকে পৃথক করে নেয়া হলে বাদশাহ ফয়সাল, মুফতি সাহেব, সিরিয়া ও তুরস্কের নির্বাচিত মন্ত্রীবর্গ এবং মিশরের যুবরাজ শাহ ফারুক অত্যন্ত যত্ন ও তাজীম সহকারে শরীর মোবারককে তুলে এনে একটি কফিনের ভিতরে রাখেন। অতঃপর একইভাবে হযরত জুবাইর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর পবিত্র দেহটিও তুলে আনা হয়।

আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, শতশত বছর পেরিয়ে গেলেও শুধু দেহ মোবারকই নয়, কাফনের কাফন বাধার ফিতাগুলোর মধ্যেও কোন প্রকারের পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগে নি। দেহ-দু'টিকে দেখে কেউ কল্পনাও করতে পারছিল না যে, এগুলো দীর্ঘ তেরশত বছর আগে মৃত্যুবরণ করা মানবদেহ। আরো বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, তাদের চোখগুলো ছিল খোলা। তাকিয়েছিলেন তারা। দু'জনই। সেই খোলা চোখ থেকে এমন রহস্যজনক অপার্থিব উজ্জ্বল জ্যোতি ঠিকরে পড়ছিল যে, কেউই সরাসরি তাদের চোখের দিকে স্থির-দৃষ্টি দিতে পারছিলেন না।

এ অবস্থা প্রত্যক্ষ করে উপস্থিত বড় বড় ডাক্তারগণ হতবাক হয়ে যান। এসময় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জনৈক জার্মান চক্ষু বিশেষজ্ঞ অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে সবকিছু খুঁটে খুঁটে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখছিলেন। এ দৃশ্য তার উপর এমন প্রভাব বিস্তার করে যে, পবিত্র লাশ দু'টি কফিনে রাখার সাথে সাথে তিনি মুফতি সাহেবের হাত ধরে বললেন, ইসলামের সত্যতা আর সাহাবাগণের উচ্চ মর্যাদার স্বপক্ষে এর চেয়ে বড় প্রমাণ আর কি হতে পারে? এ বলে তিনি কালিমা পড়ে মুসলমান হয়ে যান।

পবিত্র লাশ দু'টিকে কবরে রাখার আগে উপস্থিত জনতা নামাজে জানাযা আদায় করেন। এরপর আলেম ও মন্ত্রীবর্গ কফিন দু'টো কাঁধে উঠিয়ে নেন। কিছুদূর যাওয়ার পর বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিগণ এবং সবশেষে বাদশাহ ফয়সাল আপন কাঁধে কফিন নিয়ে নিজেকে ধন্য করেন।

বাদশাহর অনুমতি নিয়ে জার্মানের একটি কোম্পানী বিশাল পর্দার সাহায্যে উপস্থিত সকলকে কবর স্থানান্তরের দৃশ্য শুরু থকে শেষ পর্যন্ত সরাসরি দেখার ব্যবস্থা করে দেয়, যার দরুন সবাই তাদের কৃতজ্ঞতা ও অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানায়।

দীর্ঘ চার ঘণ্টায় পরম ভক্তি ও শ্রদ্ধার সাথে পবিত্র লাশ দু'টি সালমান পার্কে এসে পৌঁছায়। যে সৌভাগ্যবানরা লাশ দু'টিকে প্রথমে কফিনে রেখেছিলেন, তারাই কফিন দু'টিকে নবনির্মিত কবরে নামিয়ে রাখেন। আর এভাবেই জনতার নারায়ে তাকবীর ধ্বনির মধ্য দিয়ে ইসলামের এই জিন্দা শহীদদের মাটির কোলে শুইয়ে দেওয়া হয়।

সাহাবীদ্বয়ের নতুন সমাধিস্থলে বিভিন্ন দেশের অনেক অ-মুসলিম পর্যটক বিস্ময়কর এই ঘটনা দেখতে আসেন। প্রভাব সৃষ্টিকারী এই দৃশ্যে শুধু প্রভাবান্বিত হননি বরং অনেকে মুসলমান হয়ে যান। সেই সময়ে হিন্দুস্তানের এক সাহিত্যিক দম্পতি ইরাকে গিয়েছিলেন, তারা স্বচক্ষে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে ইরাকের এই ভ্রমণকাহিনী তাদের এক পুস্তিকায় লিপিবদ্ধ করেন।

এ ঘটনাটি যেন সূরা বাকায়ায় বর্ণিত নিম্নো্ক্ত আয়াতেরই বাস্তব উদাহরণঃ-

وَلاَ تَقُولُواْ لِمَنْ يُقْتَلُ فِي سَبيلِ اللّهِ أَمْوَاتٌ بَلْ أَحْيَاء وَلَكِن لاَّ تَشْعُرُونَ

“যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তোমরা তাদের মৃত বলো না। প্রকৃত-পক্ষে তারা জীবিত। কিন্তু তোমরা তা অনুভব করতে পার না।” (আয়াত নং-১৫৪)

And say not of those who are slain in the way of Allah. "They are dead." Nay, they are living, though ye perceive (it) not.

আল্লাহ তাআলা স্বীয় নিপুণ শক্তিমত্তা এবং দ্বীনের অম্লান সত্যতার এমন মোজেজা কদাচিৎ দেখিয়ে থাকেন। আল্লাহ ও ইসলামের প্রতি অবিচল আস্থা, আনুগত্য ও বিশ্বস্থতার সাথে মৃত্যু পর্যন্ত অটল থাকার বিনিত তাওফিক কামনা করছি। আল্লাহ তাআ'লা তার সত্য দ্বীনের জন্য আমাদের কবুল করুন।

উইকিপিডিয়াতেও আলোচিত হয়েছে বিস্ময়কর এ ঘটনা:
উইকিপিডিয়ায় সাহাবি জাবের ইবনে আবদুল্লাহর জীবনীতে আলোচিত হয়েছে বিস্ময়কর এ ঘটনা।
Abd al-Malik's era and Jabir’s death
It was during this era that he retold the Hadith of Umar's speech of forbidding Mut'ah. Jabir had a big life. He was poisoned by Al-Hajjaj ibn Yusuf in the of 94 years because of his loyalty to Ahl al-Bayt and was buried in Madain near Baghdad at the bank of river Tigris. He died in 78 AH (697).[citation needed]he was initially buried near river Tigris along with Hudhayfah ibn al-Yaman another companion of prophet Muhammad. In 1932, the graves of Jabir and Hudhayfah were exhumed and their bodies reburied in Madyan beside the grave of Salman al-Farsi, another companion of Prophet Muhammad. The cause of exhumation was the water logging of graves. After 1300 years or so later their bodies were still in the same condition as they were buried.

উইকিপিডিয়া লিঙ্ক- Jabir ibn Abd Allah

নাম বিভ্রাট; একটি সংশোধনী:
মহান দুই সাহাবির লাশ সরানোর স্বপ্নের নির্দেশ ও সরানোর প্রস্তুতি এবং সর্বশেষ দাফনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপরে তুলে ধরা হয়েছে। তবে এ সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাই, তা হচ্ছে- একজন সাহাবির নাম প্রসঙ্গে। যাচাই-বাছাই না করে কথা নকল করা হলে বিভ্রাট-বিভ্রান্তির আশঙ্কা থাকে। দু'জন সাহাবির অক্ষত লাশ সরানোর আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিস্ময়কর ঘটনার মূল প্রতিপাদ্য দু'জনের একজন হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ আনসারী (রা.)-এর ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। ঘটনাটির বয়স এখন প্রায় ৮৭ বছর। প্রথম থেকেই নামটি সম্ভবত: ভুল হিসেবে নকল হয়ে আসছে। তখন থেকেই নামটি কেউ কখনো সংশোধনের কথা ভেবেছেন বলে মনে হয় না। কেননা সকল রিজালশাস্ত্র ও সিরাত গ্রন্থে বলা হয়েছে, হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ আনসারী (রা.) মদিনায় ইন্তেকাল করেন এবং সেখানেই তাকে দাফন করা হয়। সুতরাং, ইরাকের মাদায়েনে তার কবর থাকার কথা নয়, যেখান থেকে অক্ষত অবস্থায় তার লাশ সরিয়ে সালমান পাকে দাফন করা হয়েছে বলে সকল লেখকই উল্লেখ করেছেন- এটা কীভাবে সম্ভব?

আলোচনার সুবিধার জন্য আমরা দু'জন সাহাবিরই সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরছি।

এক. হযরত হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু:
বিখ্যাত সাহাবি হযরত হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু ছিলেন রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশ্বস্ত সার্বক্ষণিক সঙ্গী। বহু যুদ্ধে বিজেতা হিসেবে তিনি খ্যাতিমান। খলিফাতুল মুসলিমিন হযরত উমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর শাসনামলে মাদায়েনের গভর্নর ছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন অত্যন্ত নিষ্ঠাবান, সৎ ও ন্যায়পরায়ণ। তার পক্ষ থেকে হযরত আলী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, হযরত উমর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, হযরত আবু দারদা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু প্রমুখ সাহাবা ও বহু তাবেঈন হাদিস বর্ণনা করেন। হযরত উসমান রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর শাহাদাতের চল্লিশ দিন পর হিজরি ৩৫/৩৬ সাল মোতাবেক ৬৫৬ খৃস্টাব্দে মাদায়েনে তিনি ইন্তেকাল করেন এবং সেখানে তার কবর ছিল, যা পরবর্তীকালে অক্ষত অবস্থায় স্থানান্তরের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনার জন্ম দেয় যে বিষয়টি নিয়ে আমাদের আলোচনায় এসেছে। তার অক্ষত লাশ সরানোর ব্যাপারে কোনো প্রকারের দ্বিমত দেখা দেয়নি যা হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ আনসারী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর ক্ষেত্রে ঘটেছে।

হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ আনসারী রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু:
শুরু থেকে জাবের ইবনে আবদুল্লাহ আনসারী (রা.) নামটি বিনা তাহকীক অনুসন্ধানে প্রচারিত হয়ে যাওয়ার ফলে এ বিভ্রাট সৃষ্টি হয়েছে। অপর পক্ষে জাবের ও জুবায়রের মধ্যে বানানের দিক থেকে তেমন পার্থক্য না থাকায় জাবেরের ইন্তেকালের স্থানের বিষয়টি অনেকের মাথায় আসেনি এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। প্রসিদ্ধ সাহাবিদের মধ্যে তিনি ছিলেন এবং অধিক হাদিস বর্ণনাকারীদের মধ্যে তিনি গণ্য হতেন। বদর এবং ওহোদ যুদ্ধের পর সকল যুদ্ধে তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে ছিলেন এবং মোট ১৮টি যুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেন। শেষ জীবনে তিনি দৃষ্টিশক্তি হাবিয়ে ফেলেন। তার কাছ থেকে এক বিরাট দল হাদিস বর্ণনা করেন। উমাইয়া খলিফা আবদুল মালেক ইবনে মারওয়ানের খেলাফত আমলে হিজরি ৭৪ সালে মতান্তরে ৭৮ সালে (৬৯৭ খৃ.) মদিনায় ইন্তেকাল করেন। মদিনায় ইন্তেকালকারী সর্বশেষ সাহাবিও তাকে বলা হয়। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ অনসারী (রা.)-এর সিরিয়া ও মিসরে গমনের কথা জানা যায় এবং জানা যায় তার ইন্তেকালের কথা কিন্তু তার ইরাকের মাদায়েনে গমনের কোনো তথ্য নেই, সেখানে তিনি ইন্তেকাল করেন এবং তথায় সমাহিত হন বলে প্রচার করা হয়।

বর্ণিত আছে যে, ইরাকের নানা স্থানে যেমন বাগদাদ, বসরা, কুফা, মাদায়েন, নজফ প্রভৃতি স্থানে প্রায় দেড় হাজার সাহাবা চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। তাদের পূর্ণ তালিকা দেখলে তাতে হয়তো সাহাবি হজরত জুবায়ের (রা.)-এর নামও পাওয়া যাবে যার অক্ষত লাশ সালমান পার্কে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে তার পরিচিতি সন্ধান করা সম্ভব হয়নি। আমরা আবারও বলতে চাই, হজরত জুবায়র (রা.)-এর অক্ষত লাশ সালমান পাকে সরানো হয়েছে। মদিনায় সমাহিত হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ আনসারী (রা.)-এর লাশ মোবারক নয়। আরো একটি বৈশিষ্ট্য এই যে, ইরাকে বাদশাহ সাহাবির স্বপ্নের নির্দেশ অনুযায়ী যখন কবর খোলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেন তখন শাহী ফরমানও জারি করেন, যা প্রচারমাধ্যমগুলোতেও প্রচার হয়। সাহাবিদ্বয়ের নামও তাতে থাকার কথা। তখন জুবায়র নামটি জাবের হয়ে যাওয়া মোটেই বিচিত্র নয়। এরূপ নাম বিকৃত বা বদলে যাওয়ার অসংখ্য দৃষ্টান্ত ইতিহাসে রয়েছে। তবে সত্য উদ্ঘাটিত হওয়ার পর সেটাই গ্রহণ করা উচিত। প্রকৃত বিষয় একমাত্র আল্লাহ পাকই অবগত।

১. Click This Link
২. Click This Link
৩. Click This Link)-in-iraq
৪. https://lasjan.fandom.com/wiki/Companions_(RA)_of_the_Prophet_(SAW)
৫. Click This Link
৬. Click This Link
৭. https://www.youtube.com/watch?v=3TUXBDiGU_4
৮. https://www.youtube.com/watch?v=4SvnDG7EbJI
৯. https://www.dailymotion.com/video/x2g01qr
১০. https://www.youtube.com/watch?v=LaH3SmUrhXQ
১১. Click This Link
১২. Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৯
২৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×